Monday, June 30, 2014

ঢাকা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল

প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পাঁচ তারকা হোটেল। উন্নত গ্রাহক সেবা এবং
সর্বাধুনিক সুবিধা সংযোজনের নিরন্তর প্রচেষ্টায় দেশি-বিদেশি গ্রাহকদের কাছে ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে ব্যাপক আস্থা। অন্যান্য পাঁচ তারকা হোটেলের তুলনায় এই হোটেলের খরচও একটু কম।


হলরুম
এই হোটেলে বড় ধরনের ডিনার পার্টি অথবা বিশাল সমাবর্তন অনুষ্ঠান কিংবা মিটিং বা ভোজসভার জন্য রয়েছে বিশাল হলরুম। হলরুমে ১২০০ লোকের সমাগম হতে পারে।
হলরুম ভাড়ার জন্য যোগাযোগ
ফোন-৮১১১০০৫, মোবাইল-০১৭৩০০১৪১৭৭, ই-মেইল-yhasan@panpacific.com.
সোনারগাঁও হোটেলের রুম ভাড়া
ডিলাক্স টুইন
আয়তন ২৮ বর্গমিটার। এতে রয়েছে ফ্ল্যাট স্ক্রীন এলসিডি টিলিভিশন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ক্যাবল টেলিভিশন চ্যানেলস। এর ভাড়া ১২০ ডলার। তবে,১৪০ ডলার ভাড়ারও ডিলাক্স টুইন রয়েছে।
প্রিমিয়ার কিং
এর আয়তন ২৮ বর্গ মিটার। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ, লেড টিভি, ক্যাবল টেলিভিশন চ্যানেলস। নতুন সুবিধার মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল বা সিটি ভিউ সুবিধা । এছাড়াও বাড়তি সুবিধা হিসেবে রয়েছে বিনামূল্যে চা, কফি ও নাস্তা সরবরাহ। এর ভাড়া ১৬০ ডলার।
প্রিমিয়ার টুইন
প্রিমিয়ার কিং এর মতো সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন। এর ভাড়াও ১৬০ ডলার।

প্যাসিফিক সিঙ্গেল

রুমের আয়তন ২৮ বর্গমিটার । প্যাসিফিক লাউঞ্জে রয়েছে অত্যন্ত আরামদায়কভাবে নিযুক্ত নানাবিধ সুযোগ। এর ভাড়া ১৮০ ডলার।

প্যাসিফিক টুইন

প্যাসিফিক সিঙ্গেলের অনুরূপ সুবিধা সংবলিত। এর ভাড়া ২০০ ডলার।

জুনিয়র স্যুইট

৫৬ বর্গ মিটার আয়তনের কিং সাইজ বেড সিটি ভিউ। রয়েছে ইলেকট্রনিক নিরাপদ রুমে আলাদা থাকার জায়গা। ভাড়া ২২০ ডলার। আবার, ২৪০ ডলার ভাড়ারও জুনিয়র স্যুইট রয়েছে এই হোটেলে।
এক্সিকিউটিভ কিং স্যুইট
৬৩ বর্গ মিটার আয়তনের আরামদায়ক সুইমিং পুল বা সিটি ভিউ সুবিধা সংবলিত রুম। এর ভাড়া ২৯০ ডলার। অন্যদিকে, ৩১০ ডলার ভাড়ার এক্সিকিউটিভ কিং স্যুইটও রয়েছে এই হোটেলে।
বাঙ্গালী স্যুইট
ছয় বা ততোধিক অতিথিদের জন্য সুইমিং পুল সুবিধা বা সিটি ভিউ কিং বেড রুম সংবলিত এই স্যুইটের আয়তন ৮৪ বর্গমিটার। এর ভাড়া ৩৯০ ডলার। আবার, ৪১০ ডলার ভাড়ার বাঙ্গালি স্যুইটও রয়েছে।

রুম সংখ্যা, বুকিং ব্যবস্থা এবং বুকিং বাতিল

এই হোটেলে মোট ৩০৪ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত কক্ষ আছে। বুকিংয়ের জন্য সরাসরি যোগাযোগ করতে হয় কিংবা ফোন, ই-মেইল অথবা অনলাইনেও বুকিং করা যায় রুমের অগ্রীম বুকিং বাতিল করতে হলে বুকিংয়ের নির্দিষ্ট দিনের একদিন পূর্বে তা বাতিল করতে হবে। তবে কোন চার্জ কাটা হয়না।

রুম ব্যবহারের শর্তাবলী

রুম ভাড়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী থাকা সত্ত্বেও রুমের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত লোকজন বা শিশুদের জন্য কিংবা এরূপ ঘটনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও রুমের ভাড়া রুমের সহজ প্রাপ্তির উপর নির্ভর করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।

সুযোগ-সুবিধা এবং সেবা সমূহ

এই হোটেলের হেলথ ক্লাবে রয়েছে স্বয়ং সম্পূর্ণ ব্যায়ামাগার, রয়েছে মেসেজ ট্রিটমেন্টসহ স্যোনা এবং ষ্টীম রুম। বিনোদন পিয়াসীরা উপভোগ করতে পারবেন ঝাঁকালো সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট এবং স্কোয়াশ কোর্ট। এখানকার হেলথ ক্লাবে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য রয়েছে নির্দেশক। বিউটি ট্রিটমেন্ট এবং  চুলের জাঁকজমক সাজের জন্য রয়েছে সেলুন। এছাড়াও বিয়ের কনের সজ্জা, স্কিন কেয়ার, হেয়ার কাট, ফেসিয়াল এবং অন্যান্য বিউটি ট্রিটমেন্টের আয়োজন রয়েছে কাউন্টিএন্ড বিল্ডংয়ের তৃতীয় তলায়। অতিথিদেরকে দেয়া হয় সজীবকারক চা এবং কফি।
সুবিধা
হোটেলে নিম্নোক্ত সুবিধা সমূহ পাওয়া যায়।
১। এয়ার লাইন ট্রাভেল এজেন্সীজ ।
২। ব্যাংক ।
৩। স্যুভেনির এবং হস্তশিল্পের দোকান ।
৪। কার্পেটের দোকান।
৫। জুয়েলারী দোকান।
৬। বুক ষ্টল।
৭। আর্ট গ্যালারি।
৮। ফটোগ্রাফী শপ।
৯। বাণিজ্যিক অফিস।
১০। প্রহরা ব্যবস্থা।
১১। লিমুজিন রেন্টাল।
১২। স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
১৩। লন্ড্রি সেবা।
১৪। শপিং আর্কেড।
১৫। গলফ কোর্স।
১৬। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভাড়া ভিত্তিক অফিস।

নন-বোর্ডার সুবিধা

এই হোটেলের নন-বোর্ডার অতিথিদের জন্য সুইমিং পুল ব্যবহার তথা হেলথ ক্লাবের সদস্য হওয়ার সুবিধা রয়েছে। সদস্য ফি ১ বছরের জন্য ১,২০,০০০/= টাকা, ৬ মাসের জন্য ৮৪,০০০/= টাকা। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ১ দিনের জন্য ১,৩০০/=টাকা এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ৭০০/= টাকা। সদস্যরা বছরের যে কোন সময় সাঁতার কাটতে পারবে। এছাড়াও সুইমিংপুলে নারী, শিশু ও বড়দের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।  ১২ বা তদূর্ধ্ব বয়স্কদের জন্য ১ মাসের প্রশিক্ষণ খরচ ১৫,০০০/= টাকা এবং ১২ বছরের নীচে শিশুদের ১ মাসের প্রশিক্ষণ খরচ ১২,০০০/= টাকা। সপ্তাহে চারদিন করে ১৬টি ক্লাস। যোগাযোগ নং-৮১১১০০৫

অতিথিদের জন্য হেলথ ক্লাব সুবিধা

অতিথিদের জন্য সুইমিংপুল, হেলথ ক্লাব ফ্রি। হেলথ ক্বাবের জন্য বাহিরের অতিথিদের অর্থ প্রদান করতে হয়। সে তথ্য কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে দিবে।

ভিড়

সাধারণ: পর্যটন কাল শীতকালেই ভিড় বেশি হয়।

হোটেল প্রাঙ্গনে অন্যান্য স্থাপনা

হোটেলটির পাশেই রয়েছে ব্যাংক ও সৌদি এয়ারলাইন্স অফিস ও Money Exchange এর অফিস।

পরিবহন সুবিধা

নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে তার জন্য আগে থেকে যোগাযোগ করতে হয়।

বিল পরিশোধ

এখানে কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা যায়। সেক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড গ্রহন করা হয়। তাছাড়া বিদেশি মুদ্রা যেমন-ইউরো, পাউন্ড, রিয়েল ইত্যাদি গ্রহন করা হয়।

ঠিকানা ও যোগাযোগ
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ঠিকানা : ১০৭, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা-১২১৫।
টেলিফোন-৮৮০-২-৮১১০০৫,
ফ্যাক্স-৮৮০-২-৮১১৩৩২৪,
ই-মেইল-bizcenter.da@panpacific.com
ওয়েবসাইট- www.panpacific.com/Dhaka

ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

রাজধানী ঢাকার এয়ারপোর্ট রোডে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। বিমানবন্দরটি ১৯৮১ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। ১৯৭৯ সালে এই বিমান বন্দরটির নাম ছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। ১৯৮১ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। সবশেষে ২০১০ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাংলাদেশে প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক তেজগাঁও বিমান বন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে এর সকল কার্যক্রম কুর্মিটোলায় স্থানান্তর করা হয়। প্রতিবছর এই বিমানবন্দর থেকে আভ্যন্তরীন এবং আন্তর্জাতিক রুটে ৫২ শতাংশ ফ্লাইট ওঠানামা করে। এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিবছর ৪০ লক্ষ আন্তর্জাতিক এবং ১০ লক্ষ আভ্যন্তরীন যাত্রী যাতায়াত করে থাকে এবং বার্ষিক প্রায় ১,৫০,০০০ টন মালামাল পরিবহন করা হয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বাংলাদেশকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ বিমান এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে ইউরোপ এবং এশিয়ার ৩১টির বেশী শহরে তার ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করে আসছে।
বিমানবন্দরটি ঢাকার উত্তরে কুর্মিটোলায় অবস্থিত। কুর্মিটোলার অবস্থানটি হলো ৮টি লেন বিশিষ্ট ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে, যা এয়ারপোর্ট রোড নামে পরিচিত। এর উত্তরে দিকে চলে গেছে উত্তরা, টঙ্গী ডাইভারশন রোড এবং গাজীপুর যাওয়ার সড়কটি। রেলওয়ে ষ্টেশনটি এয়ারপোর্টের ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত। বিমানবন্দরের নিকটের আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন একটি হোটেল রয়েছে, তার নাম “The Dhaka Regency Hotel”।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দেশের প্রধানতম ৪টি এয়ারলাইন্সের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। এয়ারলাইন্সগুলো হলো: (০১) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স; (০২) জিএমজি এয়ারলাইন্স; (০৩) ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং (০৪) রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। এছাড়া ৩০টির বেশী আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটগুলো এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে।
বিমানবন্দরটিতে রয়েছে রানওয়ে, দুটি টার্মিনাল বিল্ডিং, হ্যাঙ্গারস, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাডার, গুদামঘর এবং এয়ারক্রাফট ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনার অত্যাধুনিক সকল যন্ত্রপাতি।
অবকাঠামো
বিমানবন্দরটিতে দুইটি প্রধান টার্মিনাল রয়েছে। টার্মিনাল দুটি হচ্ছে; (০১) Terminal 1 (T1) এবং (০২) Terminal 2 (T2)। আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটসমূহ পরিচালনায় T1  এবং T2  ব্যবহার করা হয়। T1  এবং T2 এর সংযোগ স্থানটিকে আভ্যন্তরীন রুটের ফ্লাইটসমূহ পরিচালনায় ব্যবহার করা হয়। এ্যারাইভেল ডেকটি বিমানবন্দরের নিচতলায় (Ground Floor) এ অবস্থিত। ডিপারচার হলটি বিমানবন্দরের প্রথম তলায় অবস্থিত (Upper Floor) এ অবস্থিত। এই বিমানবন্দরে একটি ভিআইপি টার্মিনাল (VIP Terminal) রয়েছে। ভিআইপি টার্মিনালটি ২০০ মিটার জুড়ে বিস্তৃত।এই টার্মিনালটি কদাচিত ব্যবহার করা হয়। বিমানবন্দর টার্মিনালে রয়েছে ডিউটি ফ্রি শপ, মেডিক্যাল সার্ভিসেস, ব্যাংকিং এবং এটিএম সেবা, শারিরীক অসুস্থতার জন্য গাড়ী ভাড়া করার কাউন্টার, কোন কিছু হারানো গেলে সেজন্য যোগাযোগ কাউন্টার, মালপত্র বহনের সুবিধাসহ রয়েছে ভিআইপি লঞ্জি সার্ভিস।
আন্তর্জাতিক রুটের অনেক এয়ারলাইন্সের বিমানগুলো শাহজালাল বিমানবন্দর ব্যবহার করে যাত্রী এবং মালপত্র বহন করে থাকে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; Aeroflot, British Airways, Emirates, Gulf Air, Indian Airlines, Kuwait Airways, Malaysia Airlines, Pakistan International Airlines, Royal Nepal Airlines, Saudi Airways, Singapore Airlines, Thai Airways অন্যতম। রিজিওনাল রুটের ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স; জিএমজি এয়ারলাইন্স; ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, এ্যারো বেঙ্গল এয়ারলাইন্স, এয়ার পারাবত এবং রিজেন্ট এয়ারওয়েজের মাধ্যমে। নিয়মিত ফ্লাইটগুলো ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগে যাতায়াত করে থাকে। রিজিওনাল ফ্লাইটগুলো সাশ্রয়ী হয় এবং সপ্তাহে ২/৩ দিন যাতায়াত করে।
পরিবহন এবং গাড়ি পার্কিং
গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে সুপ্রশস্ত তলাবিশিষ্ট নিজস্ব বহুতল ভবন। এখানে গাড়ি, বাস এবং কোচ সার্ভিসের গাড়িগুলো অনায়াসেই পার্ক করা যায়। এখান সবসময়ই সিএনজি, ক্যাব এবং অটোরিক্সা পাওয়া যায়। এছাড়া এয়ারপোর্টের যাত্রী পরিবহনের জন্য নিজস্ব সাটল বাস রয়েছে। এছাড়া ঢাকার আন্তর্জাতিকমানের হোটেলগুলোর নিজস্ব ট্যুরিস্ট পিক আপ বাসগুলো অপেক্ষমান অবস্থায় থাকে।
শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যেসব আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট চালু রয়েছে
Airlines
Destinations
Air Arabia Sharjah
Air Asia Kuala Lumpur
Air China Shanghai-Pudong
Air India Delhi, Kolkata, Mumbai
Air Mauritius Bangalore, Chennai, Mauritius
Bahrain Air Bahrain
Bangkok Airways Bangkok-Suvarnabhumi, Yangon
Biman Bangladesh Airlines Abu Dhabi, Bahrain, Bangkok-Suvarnabhumi, Barcelona, Chittagong, Colombo, Cox’s Bazar, Dammam, Delhi, Doha, Dubai, Guangzhou, Frankfurt, Ho Chi Minh City, Hong Kong, Jakarta-Sokerno-Hatta, Jeddah, Karachi, Kathmandu, Kolkata, Kuala Lumpur, Kuwait, London-Heathrow, Madrid, Male, Manchester, Milan-Malpensa, Moscow-Domodedovo, Mumbai, Muscat, New York-JFK, Paris-CDG, Riyadh, Rome-Fiumicino, Singapore, Sydney, Sylhet, Toronto-Pearson, Tokyo-Narita, Tripoli
China Airlines Taipei-Taoyuan
China Eastern Airlines Beijing-Capital, Kunming
China Southern Airlines Guangzhou
Dragonair Hong Kong
Druk Air Kathmandu, Paro
Egypt Air Cairo
Emirates Dubai
Etihad Airways Abu Dhabi
Flydubai Dubai
GMG Airlines Abu Dhabi, Bangkok-Suvarnabhumi, Cox’s Bazar, Chittagong, Delhi, Dubai, Jeddah, Jessore, Karachi, Kathmandu, Kolkata, Kuala Lumpur, Rajshahi, Riyadh, Saidpur, Sylhet
Gulf Air Bahrain
Jet Airways Delhi, Mumbai, Kolkata
Kenya Airways Beirut, Nairobi
Kingfisher Airlines Kolkata
Korean Air Seoul-Incheon
Kuwait Airways Kuwait
Malaysia Airlines Kuala Lumpur
Oman Air Muscat
Pakistan International Airlines Islamabad, Karachi, Lahore
Philippine Airlines Bangkok-Suvarnabhumi, Manila
Qatar Airways Doha
RAK Airways Ras Al Khaimah
Regent Airways Chittagong, Cox’s Bazar, Jessore, Sylhet
Royal Jordanian Amman-Queen Alia
Saudi Arabian Airlines Dammam, Jeddah, Riyadh, Madinah
Singapore Airlines Singapore
SriLankan Airlines Colombo
Thai Airways International Bangkok-Suvarnabhumi
Turkish Airlines Istanbul-Atatürk
United Airways Chittagong, Cox’s Bazar, Dubai, Jessore, Kathmandu, Kolkata, Kuala Lumpur, Rajshahi, Sylhet
মালবাহী কার্গো এয়ারলাইন্সের বিমানগুলোর সম্ভাব্য গন্তব্যস্থলসমূহ
Airlines
Destinations
British Airways World Cargo Chennai, Frankfurt, London-Stansted, Zaragoza
Cathay Pacific Cargo Hong Kong
China Cargo Airlines Chongqing, Nanning, Shanghai-Pudong
Etihad Crystal Cargo Abu Dhabi, Bangalore, Chennai
Lufthansa Cargo Frankfurt, Delhi, Mumbai
Qatar Airways Cargo Doha
Saudi Arabian Airlines Cargo Dammam
Singapore Airlines Cargo Amsterdam, Chennai, Sharjah, Singapore
 ইমিগ্রেশনে কড়াকড়ি
  • বাংলাদেশ পরিদর্শন করতে অন্যান্য দেশের নাগরিকের নিকট বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। ইউনাইটেড নেশন এর লোক যারা ঘনঘন বাংলাদেশে আসেন, যাদের পরিচয় সনদ রয়েছে এবং জাহাজের নাবিক যাদের ডিসচার্জ সনদ (সংশ্লিষ্ট দেশ কর্তৃক প্রদত্ত) রয়েছে এবং যেসকল নাবিকদের প্রত্যাবাসন দেয়া হয়েছে বা যারা যোগ দিতে যাচ্ছেন তাদের পাসপোর্ট বহন করতে হয়না।
  • বাংলাদেশ পরিদর্শনে নিম্নে উল্লেখিত দেশগুলোর নাগরিক ব্যাতিত অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ভিসা ব্যবহার করতে হয়: Bhutan, Barbados, Cyprus, Fiji, New Zealand, Western Samoa, Canada, Singapore, Tonga, Leone, Lesotho, Zambia, Tanzania, Malta, Nigeria, Kenya, Somalia, Nauru, Bahamas, Grenada, Papua New Guinea, Seychelles, Trinidad, Tobago, Ghana, Srilanka (একমাসের বেশী অবস্থান করা যাবেনা), Ireland, Tunisia, Vatican, Gabon এবং Spain. এছাড়া Yugoslavia, Japan এর যেসকল নাগরিক বাংলাদেশে ৩ মাসের বেশী অবস্থান করেননা তাদের ভিসা ব্যবহার করতে হয়না।
  • যেসকল নাগরিক ১৫ দিনের জন্য ট্রানজিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিদর্শনে আসেন এবং যাদের রিটার্ন টিকেট রয়েছে তাদের এন্ট্রি পারমিট বা ভিসা ব্যবহার করতে হয়না। এইসকল নাগরিকদের দেশগুলো নিম্নরুপ: U.S.A., Norway, Sweden, Denmark, Finland, Netherlands, France, Portugal, Spain Italy, Federal Republic Of Germany, Luxembourg, Belgium, Australia, Indonesia, Thailand, Nepal, Austria, Maldives, Philippines, Switzerland, U.K. এবং Greece. কালো তালিকাভূক্ত নাগরিকগন এই সুবিধা প্রযোজ্য নয়।
  • বিদেশী মিশনারী বা সমাজকর্মীর বাংলাদেশ পরিদর্শনে ভিসা ব্যবহার করতে হয়।
  • যেসকল বিদেশী নাগরিককে ভিসা নিতে হয় এবং যেসকল বিদেশী নাগরিক অনিবার্য পরিস্থিতিতে বা অবহেলার দরুন যারা ভিসা গ্রহন করতে পারেন নাই তাদেরকে ৭২  ঘন্টার ভিসা প্রদান করা হয়। তাদেরকে নিকটস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পরিচালক, ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট বিভাগে যোগাযোগ করতে হয়।
  • বিদেশী নাগরিককে রোড পারমিট গ্রহণ করতে হয়।
কাস্টমস এর নিয়মকানুন
  • বাংলাদেশ পরিদর্শনে আসার অথবা বাংলাদেশ থেকে গমনের সময় সকল নাগরিককে তাদের সাথে নিয়ে আসা মালপত্র এবং কারেন্সী কাষ্টম অফিসে চেক করাতে হয়। কারেন্সীর একটি স্টেটমেন্ট বা ফর্ম কাষ্টম অফিসারের নিকট জমা দিতে হয় এই মর্মে যে, ভিজিটর কি পরিমানে কারেন্সী সংগে রেখেছেন।
  • অবৈধ কোন পন্য বাংলাদেশে নিয়ে আসলে বা বাংলাদেশ থেকে গমনের সময় ধরা পড়লে কাষ্টম কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।
বাংলাদেশে মোট ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। যথা; (০১) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ঢাকা); (০২) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চট্টগ্রাম) এবং (০৩) ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সিলেট)। এছাড়াও ৭টি আভ্যন্তরীন বিমানবন্দর রয়েছে। যথা; (০১) সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট; (০২) শাহ মাখদুম এয়ারপোর্ট, রাজশাহী; (০৩) যশোর এয়ারপোর্ট; (০৪) বরিশাল এয়ারপোর্ট; (০৫) কক্সবাজার এয়ারপোর্ট; (০৬) তেজগাঁও এয়ারপোর্ট এবং (০৭) ইশ্বরদী এয়ারপোর্ট (কার্যক্রম বন্ধ)। এছাড়া শমসেরনগর এবং কুমিল্লায় স্টল পোর্ট রয়েছে। আভ্যন্তরীন রুটের বিমানগুলো সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য উঠানামার কাজে এই পোর্টটি ব্যবহৃত হয়। STOL PORT এর সম্পূর্ন নাম হচ্ছে “Short Take-off and Landing Port”। এই কার্যক্রম এখন আপাতত বন্ধ রয়েছে।

সৌন্দযের্র লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


চারপাশ গাছগাছালিতে ঢাকা, মাঝরাতে হঠাৎই একপাল শেয়ালের হুক্কা হুয়া চিৎকারের সাথে তাল মিলিয়ে ডেকে ওঠে রাতজাগা পাখি, ভেঙ্গে যায় মধ্য রাতের নিস্তব্ধতা। বনের তীর ঘেষে বয়ে চলা আঁকা বাঁকা জলাশয়ে সিঁদুরে হিজল ফুল আর ডালে ডালে মাছরাঙ্গার তীক্ষ চোখ শিকারের আশায় কিন্তু এটি কোন বনের অংশ নয়। সারি সারি সোডিয়াম বাতির হলুদ আলো সকল জাগতিকতাকে হার মানায়। কখনো হর্ণ বাঁজিয়ে ছুটে যায় দূরন্ত বাস, চারদিক সরগরম থাকে মানুষের কোলাহলে কিন্তু এটি কোন শহরের গল্প নয়। পাহাড়ের
টিলার মাঝে লাল মৃত্তিকার বন্ধুর ভূমিতে উঁচু নিচু পিচ ঢালা রাস্তা কিন্তু এটি কোন পার্বত্য অঞ্চল নয়। বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নান্দনিক এসব দৃশ্য ধারণ করে আছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে এটি দেশের অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয় হতে ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ক্যাম্পাসের যেমনি রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা তেমনি রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য। বিশ্ববিদ্যালয়টি নৈসর্গিক দৃষ্টিকোণে বাংলাদেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসের চেয়ে অনিন্দ্য সুন্দর। সবুজ বনভূমির ফাঁকে ফাঁকে লাল ইটের তৈরি ইমারতে সজ্জিত অনন্য ভূদৃশ্যাবলীযুক্ত ‘বৈচিত্রময় ক্যাম্পাস’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছ্ েএই বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো ক্যাম্পাসের ভূ-দৃশ্য উ্চুঁ নিচু পাহাড়ের ছোট ছোট টিলার মত। টিলা গুলো আবার সবুজ গাছে ঢাকা। দেখতে পার্বত্য অঞ্চলের প্রবেশ দ্বার বলেই মনে হয়।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে এবং ডেইরী ফার্মের বিপরীত পাশে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ক্যাম্পাসের দক্ষিণে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন কেন্দ্র, উত্তরে জাতীয় স্মৃতি সৌধ। ক্যাম্পাসের উঁচু নিচু বন্ধুর ভুমির মাঝ দিয়ে বয়ে চলা আঁকা বাঁকা প্রায় ২২ টি লেকের মাঝে ফুটে আছে নানা রঙের ফুল, বিশেষ করে লাল শাপলা কিংবা পদ্ম। লেকের ধার ঘেষে অতি যতেœ বেড়ে ওঠা সারি সারি গাছ আর তারই মাঝ দিয়ে উঁচু নিচু জালের মত ছড়িয়ে থাকা রাস্তাগুলো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে করেছে আরও মনোমুগ্ধকর, যেন শিল্পির তুলির ছোঁয়ায় জীবন্ত কোন ছবি।
দেশী-বিদেশী প্রায় ১০ লাখ গাছগাছালিতে ভরা এই সাতশ একরের ক্যাম্পাসকে পাখির চোখে মনে হয় সবুজের সমুদ্র। সুবৃহৎ এই ক্যাম্পাসে ঘন জঙ্গলের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা প্রায় ২২ টি লেক প্রতি শীতে সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আসা প্রায় শতাধিক প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখিরিত হয়ে ওঠে।
লেকের অভ্যন্তরে লাল সাদা শাপলার মাঝে অতিথি পাখির বিচরণ বাড়িয়ে দেয় ক্যাম্পাসের নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে। বাংলাদেশে এটিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে অতিথি পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে ক্যাম্পাসবাসীর। অতিথি পাখির আগমনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় পাখিবরণ উৎসব, দেশের একমাত্র পাখি ও পিঠা মেলা সহ নানান অনুষ্ঠানের। আর অতিথি পাখি দেখতে সকাল বিকাল দেশী বিদেশী পর্যটকের ভিড় পড়ে ক্যাম্পাসে ।
ক্যাম্পাসের এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি উন্নত কারিকুলামে পাঠ দান পদ্ধতি রয়েছে। যেখানে দেশের শীর্ষ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে। আগামীতে ক্যাম্পাসের এই নির্মল পরিবেশে থেকে এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভুমিকা রাখবে দেশবাসী সেটিই আসা করে।

দেখুন রূপলাল হাউজ

ধারনা করা হয় ইংরেজী উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ঢাকার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী রুপলাল দাস তার পরিবার সহ বসবাসের জন্য ইমারতের নকশা তৈরী করেন। পরবর্তীতে তিনি এই অভিজাত ও রাজকীয় রুপলাল হাউজ নির্মাণ করেছিলেন। অতঃপর তার উত্তরাধিকারীদের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে এ ইমারত ধীরে ধীরে রুপলাল হাউজের সম্প্রসারণের কাজ করতে থাকে।
ঠিকানা ও অবস্থান
ঢাকা শহরের সূত্রাপুর থানাধীন ৭৯ নং ওয়ার্ডের শ্যামবাজার এলাকার মোড়ের ৭০ গজ উত্তর দিকে হাতের বাম পাশে ১২ নং ফরাশগঞ্জে এই রুপলাল হাউজের অবস্থান।
ভবনের বর্ণনা
পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বি পরিকল্পিত এ ইমারতের সর্ব পশ্চিমাংশ উত্তর দিকে উদগত। এ উদগত অংশের সামনের দিকে একটি বারান্দা আছে। ফ্যাসাদে আছে ছয়টি করনিথীয় থামের একটি সারি। এদের ধড় শীরতোলা। অনুরুপ কার্নিস থামের আছে একটি বিরাট আকারের পডিয়াম। বারান্দা ব্যতীত ইমারতটির অপরটি দ্বিতল। মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে ইমারতের বিপরীত দিকে যাতায়াতের জন্য আছে একটি উম্মুক্ত অংশ। এ ফটকের অনতিদূরে পূর্বদিকে সম আকৃতির আরও একটি বারান্দা দেখা যায়। এ ইমারতের পূর্বাংশের প্রান্ত থেকে উদগত অংশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে এ অংশ মূল নির্মাণ যুগের পরবর্তীকালের বলে অনুমান করা যায়। সমতল ছাদের কয়েকটি ছাদের কয়েকটি স্থানে তিনটি চিলেকোঠা আছে। এর দরজা ও জানালাগুলোতে কাঠের ভেনেসীয় গ্রিল সম্বলিত পাল্লা ব্যবহৃত হয়েছে। সিঁড়ির বেড়িতে লোহার অলঙ্করণ খচিত ফ্রেম আছে। খিলানের টিমপেনামে রঙ্গিন কাঁচের অলঙ্করনও লক্ষ্য করা যায়।
স্থাপনার পরিবর্তন
রুপলাল হাউজের সর্বশেষ মালিক ছিল শ্রী রুপলাল দাসের পৌত্র যোগেন্দ্র দাস ও তারক নাথ দাস। তারা ১৯৭১ ইং সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পূর্বে এদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে গিয়ে কলকাতার রোটারি উকিলের মাধ্যমে দলিল করে রুপলাল হাউজের মালিকানা ভারতের বাসিন্দা জনাব জালালের পূত্র মোহাম্মদ সিদ্দিক জামালকে প্রদান করে। এই রুপলাল হাউজের সর্বশেষ মালিক মোঃ সিদ্দিক জামাল পরবর্তীতে ১৯৭৩ ইং সালে জামাল পরিবার ভারতে চলে যায়।
কর্তৃপক্ষ
১৯৭৪ ইং সালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এ পরিত্যাক্ত বাড়িটি রক্ষী বাহিনীর জন্য রিকুইজিশন করে নেন। রক্ষী বাহিনীর বিলুপ্তি ঘোষনার পর ১৯৭৬ ইং সালে রুপলাল হাউজ পরিত্যাক্ত সম্পত্তি ঘোষিত হয়। পরবর্তী সময় থেকে এ বাড়িটি পূর্ত মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রনে আছে।
বর্তমান অবস্থা
বার্তমান রুপলার হাউজ তথা জামাল হাউজ এর বিভিন্ন কোঠায় কিছু বি.ডি  আর সদস্য নিজ নিজ পরিবার পরিজনসহ বসবাস করছে। তারা পোস্তগোলাস্থ ১২৪৩ নং খুটির সদস্য এবং কমান্ডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রনাধীন। উক্ত ভবনে বসবাসকারীদের কোন ভাড়া পরিশোধ করতে হয় না। এছাড়া ইমারতে অপরাপর কোঠাগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তারা মাসিক নির্ধারিত হারে ভাড়া প্রদানের বিনিময়ে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে লীজ নিয়ে কোঠাগুলো নিজ নিজ কাজে ব্যবহার করছে। তারা তাদের প্রদেয় RGH খাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান করে চালান সংরক্ষন করে আসছে। রুপলাল হাউজ আহসান মঞ্জিলের প্রতিপক্ষের ভূমিকা পালন করতো এবং এর একটি অংশ রংমহল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
 

ঘুরে আসুন রাজশাহীর পুঠিয়া

বাংলাদেশের যে কয়েকটি জেলা স্বনামে খ্যাত রাজশাহী তার মধ্যে অন্যতম। রাজশাহী জেলায় ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ অনেক স্থান রয়েছে। পুঠিয়া ঐতিহাসিক স্থানটি রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।
কোথায় অবস্থিত
পুঠিয়া রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। রাজশাহী জেলার একটি উপজেলাও এই পুঠিয়া। পুঠিয়া উপজেলায় রয়েছে, পুঠিয়া রাজবাড়ী, পুঠিয়া মন্দির ছাড়াও অনেক দৃষ্টিনন্দন স্থান।
যা যা দেখতে পাবেন
পুঠিয়ায়  দেখার মতো রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক স্থান ও বিষয়। নিচে এ সর্ম্পকে আলোচনা করা হলো:
  • পুঠিয়া রাজবাড়ী
  • বড় আহ্নিক মন্দির
  • পুঠিয়া বড় শিবমন্দির
  • পুঠিয়া দোল মন্দির
  • পুঠিয়া গোবিন্দ মন্দির
পুঠিয়া রাজবাড়ী
পুঠিয়া বাজারে দক্ষিণ পার্শ্বে দ্বিতল বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত পুঠিয়া রাজবাড়িটি একটি আকর্ষণীয় ইমারত। বহুকক্ষ বিশিষ্ট রাজবাড়ীর প্রধান প্রবেশপথ সিংহ দরজা উত্তরদিকে অবস্থিত। জমিদার বা রাজারা এখান থেকে তাদের রাজকর্ম পরিচালনা করতেন। এ রাজবাড়ীতে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দানের ব্যবস্থাসহ বন্দীশালার ব্যবস্থা ছিল। চুন সুড়কীর মসলনা ও ছোট আকৃতির ইট দ্বারা নির্মিত বাজবাড়ীর সম্মুখভাগে আকর্ষণীয় ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। রাজবাড়ির নিরাপত্তার জন্য চারপার্শ্বে জলাশয়ের ব্যবস্থা ছিল। স্থানীয় জমিদার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা উনবিংশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়েছিল। রাজবাড়ির প্রত্নতত্তণ অধিদপ্তরের নিয়মত্রণাধীন পুরাকীর্তির হলেও বর্তমানে এটি লস্করপুর ডিগ্রী কলেজ হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে।
বড় আহ্নিক মন্দির
পুঠিয়া রাজবাড়ী লেকের প্রায় ১০০ মিটার পশ্চিমে জমিদার বাড়ীর বৃহৎ দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বে পাশাপাশি তিনটি মন্দির আছে। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মন্দিরটি চারআনী বড় আহ্নিক নামে পরিচিত। উত্তর দক্ষিণে লম্বা আয়তকার পরিকল্পনায় নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট মন্দিরের প্রবেশ পথ পূর্বদিকে অবস্থিত। এই মন্দিরের মাঝের কক্ষটির ছাদ দোচালা পদ্ধতিতে নির্মিত। দু’পাশের কক্ষ দু’টি বর্গাকার এবং চার চালা ছাদ দ্বারা আচ্ছাদিত। মন্দিরের পূর্বপার্শ্বে সম্মুখ দেওয়াল বিভিন্ন ধরণের পোড়ামাটির ফলক চিত্র দ্বারা সজ্জিত। স্থাপিত বিন্যাস অনুযায়ী মন্দিরটি খ্রিষ্টীয় ১৭/১৮ শতকে নির্মিত বলে অনুমিত হয়।
পুঠিয়া বড় শিবমন্দির
পুঠিয়া বাজারে প্রবেশ করতেই হাতের বাম পার্শ্বে দিঘীর দক্ষিণ পাড়ে বড় শিব মন্দির অবস্থিত। ৪ মিটার উঁচু মঞ্চের উপর নির্মিত মন্দিরের প্রধান প্রবেশ পথ দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। মন্দিরে উঠার জন্য দক্ষিণ দিকে সিড়ি আছে। মন্দিরের উপর চার কোণে চারটি কেন্দ্রস্থলে একটি চূড়া  বা রত্ন আছে। কেন্দ্রীয় চূড়াটি প্রায় বিশ মিটার উঁচু। চতুষ্কোণাকৃতির কাঠামোর উপরে পিরামিড আকৃতির চূড়াগুলো নির্মিত হয়েছে। এগুলোর চার পার্শ্বে সন্নিবেশিত রয়েছে বিভিন্ন সতরে মোচার আকারে নির্মিত অসংখ্য ছোট ছোট চূড়া মন্দিরের দেয়ালের বর্হিমূখে হিন্দু দেব-দেবীর ষ্ট্যাকূ অলংকরণ ছিল। যা বর্তমানে প্রায় ধংসপ্রাপ্ত মন্দিরের কেন্দ্রীয় অংশে ৩.০০ মিটার বর্গাকার কক্ষ এবং এক-চার কোণে চারটি কক্ষ। কোণের চারটি কক্ষের মধ্যবর্তী স্থানে বারান্দা সন্নিবেশিত রয়েছে। মন্দিরের কেন্দ্রীয় কক্ষে বৃহৎ আকারের শিবলিঙ্গ ও গৌরী পট্র রয়েছে। যাতে পূজারীরা এখনও পূজা অর্চণা করে থাকে। পুঠিয়ায় অবস্থিত মন্দিরগুলোর মধ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি। ১৮২৩ খ্রিঃ পাঁচআনী জমিদার বাড়ীর রাণীভূবনময়ী দেবী এ মন্দির নির্মাণ করেন। এ মন্দির ভূবনেশ্বর মন্দির বলা হয়ে থাকে।
পুঠিয়া দোল মন্দির
পুঠিয়া রাজবাড়ীর সম্মুখস্থল মাঠের উভয় পার্শ্বে বর্গাকার পরিকল্পনায় নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট মন্দিরে প্রত্যেক বাহুর পরিমাপ ২১.৫৪ মিটার। ইষ্ট চুন ও সুড়কীর তৈরী দোল মঞ্চ মন্দিরটি ক্রমশঃ ছোট থাকে থাকে উপরে উঠে গেছে। চতুর্থ তলের উপরে আছে মন্দিরের গম্বুজ আকৃতির চূড়া। চূড়ার শীর্ষদেশে ফিনিয়েল দ্বারা শোভিত। প্রত্যেক তলার চারদিকে প্রশস্ত  টানা বারান্দা আছে। নীচতলায় প্রত্যেক বাহুতে সাতটি করে দ্বিতলের পাঁচটি, ত্রিতলের তিনটি এবং চতুর্থ তলের প্রত্যেক বাহুতে একটি করে প্রবেশ পথ আছে। পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি  থেকে এ মন্দিরের উচ্চতা ২০ মিটার। মন্দিরটি উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে পুঠিয়ার পাঁচআনী জমিদার  বাড়ীর হেমন্ত কুমারী দেবী কর্তৃক নির্মিত।
পুঠিয়া গোবিন্দ মন্দির
পুঠিয়া পাঁচআনী জমিদার বাড়ীর অঙ্গনে অবস্থিত গোবিন্দ মন্দির। গোবিন্দ মন্দির একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি। উঁচু বেদীর উপর প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি বর্গাকার পরিকল্পনায় নির্মিত। মন্দির গাত্রে অসংখ্য পোড়ামাটির ফলক চিত্র আছে। রামায়ন,মহাভারত ও পৌরাণিক কাহিনীর রুপায়ন ছাড়াও ফলক চিত্রের মাধ্যমে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে। এই মন্দিরটি ১৮ শতকে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।
বানেশ্বর আমের হাট
পুঠিয়া থেকে রাজশাহীর দিকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে বানেশ্বরে মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকা জুড়ে বসে বিশাল এক বাজার। আমের মৌসুমে সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত অবধি চলে এ বাজার। এ ছাড়া শনিবার ও মঙ্গলবার খুব সকালে এখানে বসে বিশাল কলার হাট। সাধারণত বেলা দশটার মধ্যেই এ হাটের লোক সমাগম কমে যায়।
কীভাবে যাবেন
নিজস্ব গাড়িতে জায়গাটিতে ভ্রমণে গেলে রাজশাহী শহরের প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার আগে পড়বে জায়গাটি। এ ছাড়া রাজশাহীগামী যেকোনো বাসে গিয়েও পুঠিয়া নামা যায়। আবার রাজশাহী থেকে লোকাল বাসে পুঠিয়া আসতে সময় লাগে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। রাজশাহী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে নাটোরগামী বাসে চড়ে পুঠিয়া নামা যায়।
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশপথে রাজশাহী যাওয়া যায়। এ পথে দেশ ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, গ্রীন লাইনের এসি বাসে ভাড়া ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ন্যাশনাল ট্রাভেলস, শ্যামলি পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, দেশ ট্রাভেলস প্রভৃতি পরিবহনের নন এসি বাসে ভাড়া ৪০০-৪৫০ টাকা। ঢাকার কমলাপুর থেকে রোববার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেস এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা এক্সপ্রেস।
কোথায় থাকবেন
পুঠিয়া ভ্রমণে গেলে রাত যাপন করার জন্য রাজশাহীই উত্তম। এ শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের বেশ কিছু হোটেল আছে। এসব হোটেলে ৫০০-৪০০০ টাকায় বিভিন্ন মানের কক্ষ পাওয়া যাবে। রাজশাহী চিড়িয়াখানার সামনে পর্যটন মোটেল, রাজশাহী কলেজের সামনে রেড ক্যাসল, সাহেব বাজারে হোটেল নাইস, সাহেব বাজারে হোটেল মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল, বিন্দুরমোড় রেল গেইটে হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল, গণকপাড়ায় হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল, মালোপাড়ায় হোটেল সুকর্ণা ইন্টারন্যাশনাল, শিরোইলে হকস্ ইন ইত্যাদি।

ঘুরে আসুন লালবাগ কেল্লা

লালবাগ কেল্লা, মোঘল আমলের বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন যাতে একই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে কষ্টি পাথর, মার্বেল পাথর আর নানান রঙবেরঙের টালি। লালবাগ কেল্লা ছাড়া আর বাংলাদেশের আর কোন ঐতিহাসিক নিদর্শনে এমন কিছুর সংমিশ্রণ পাওয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। প্রায় প্রতিদিন হাজারো দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীর পদচারণয় মুখরিত হয় ঢাকার লালবাগ এলাকার এই দুর্গটি।
লালবাগ কেল্লার নামকরণঃ
স্বাভাবিকভাবে যেকেউ যদি এর নামকরণের কারণ চিন্তা করে তাহলে স্বাভাবিকভাবে তার মাথায় আসবে যে লালবাগে থাকার কারণেই এর নাম লালবাগ কেল্লা রাখা হয়েছে। ধারণাটি মোটেও ভুল নয়, আসলেই এর নামকরণ করা হয়েছে এলাকার উপর ভিত্তি করে। তবে প্রথমে এর নাম ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন, যাতে এলাকার কোন প্রভাব ছিলনা। একদম শুরুর দিকে এই কেল্লার নাম ছিল “কেল্লা আওরঙ্গবাদ”।
লালবাগ কেল্লার ইতিহাসঃ
লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬৭৮ সালে। তৎকালীন মুঘল সম্রাট আজম শাহ এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। যদিও আজম শাহ খুব কম সময়ের জন্যেই মুঘল সম্রাট হিসেবে ছিলেন। তবুও তার অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি তার এই অসাধারণ কাজটি শুরু করেন। উল্লেখ্য আজম শাহ ছিলেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর পুত্র আর সম্রাট শাহ জাহানের নাতি, যিনি তাজমহল তৈরির জন্যে বিশ্ব মহলে ব্যাপক সমাদৃত।
এই দুর্গ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার প্রায় এক বছরের মাথায় তার বাবার ডাকে তাকে দিল্লিতে চলে যেতে হয় সেখানকার মারাঠা বিদ্রোহ দমন করবার জন্যে। সম্রাট আজম শাহ চলে যাওয়ার পর দুর্গ নির্মাণের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তখন এই দুর্গ নির্মাণের কাজ আদৌ সম্পূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৎকালীন নবাব শায়েস্তা খাঁ পুনরায় লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন কাজ থেমে যাওয়ার প্রায় এক বছর পরে। পুরো উদ্যমে আবার কাজ চলতে থাকে দুর্গ নির্মাণের।
তবে শায়েস্তা খাঁ পুনরায় কাজ শুরু করার প্রায় চার বছরের মাথায় দুর্গের নির্মাণ কাজ আবার বন্ধ হয়ে যায়, এরপর দুর্গটি নির্মাণের কাজ আর শুরু করা হয়নি। নবাব শায়েস্তা খাঁ এর মেয়ে পরী বিবি মারা যাওয়ার কারণেই মূলত শায়েস্তা খাঁ লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরী বিবির মৃত্যুর পরে সবার মধ্যে দুর্গটি সম্পর্কে বিদ্রূপ ধারণা জন্ম নেয়, সবাই দুর্গটিকে অপয়া ভাবতে শুরু করে দেয়।
পরী বিবির মৃত্যুর পর তাকে লালবাগ দুর্গের মাঝেই সমাহিত করা হয়, আর এরপর থেকে একে পরী বিবির সমাধি নামে আখ্যায়িত করা হয়। পরী বিবির সমাধির যে গম্বুজটি আছে তা একসময় স্বর্ণখোচিত ছিল, কিন্তু এখন আর তেমনটি নেই, তামার পাত দিয়ে পুরো গম্বুজটিকে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরীবিবির সমাধিঃ
এই ভবনটি মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এই একটি মাত্র ইমারতে মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর ও বিভিন্ন রং এর ফুল-পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে। কক্ষগুলির ছাদ কষ্টি পাথরে তৈরি। মূল সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত। ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের পুর্বে নির্মিত। তবে এখানে পরীবিবির মরদেহ বর্তমানে নেই বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
দেখার মত যা যা রয়েছেঃ
লালবাগ কেল্লার তিনটি বিশাল দরজার মধ্যে যে দরজাটি বর্তমানে জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া সেই দরজা দিয়ে ঢুকলে বরাবর সোজা চোখে পড়ে পরী বিবির সমাধি। সচরাচর টেলিভিশনে, খবরের কাগজে, ম্যাগাজিনে লালবাগ কেল্লার যে ছবিটি দেখা যায় সেটা মূলতঃ পরী বিবির সমাধির ছবি।
কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-
১। কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা
২। পরীবিবির সমাধি
৩। উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ
কেল্লাতে একটি মসজিদ আছে, আজম শাহ দিল্লি চলে যাওয়ার আগেই তিনি এই মসজিদটি তৈরি করে গিয়েছিলেন। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি যে কারো দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। মসজিদটিতে জামায়াতে নামায আদায় করা হয়। ঢাকায় এতো পুরনো মসজিদ খুব কমই আছে।
লালবাগ কেল্লাতে এখানে ওখানে বেশ কয়েকটি ফোয়ারার দেখা মিলবে, যা শুধুমাত্র কোনো বিশেষ দিনে চালু থাকে (যেমনঃ ঈদ)। কেল্লাতে সুরঙ্গ পথ ও আছে, লোক মুখে শোনা যায় যে আগে নাকি সুরঙ্গ পথগুলোতে যাওয়া যেতো, তবে এখন আর যাওয়া যায়না। উল্লেখ্য সুরঙ্গ পথ এ যাওয়ার কথাটি নিতান্তই শোনা কথা, এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
লালবাগ কেল্লায় সর্বসাধারণের দেখার জন্যে একটি জাদুঘর রয়েছে, যা পূর্বে নবাব শায়েস্তা খাঁ এর বাসভবন ছিল আর এখান থেকেই তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। জাদুঘরটিতে দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। মুঘল আমলের বিভিন্ন হাতে আঁকা ছবির দেখা মিলবে সেখানে, যেগুলো দেখলে যে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারবে না। শায়েস্তা খাঁ এর ব্যবহার্য নানান জিনিসপত্র সেখানে সযত্নে রয়েছে। তাছাড়া তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, পোশাক, সেসময়কার প্রচলিত মুদ্রা ইত্যাদিও রয়েছে।
টিকেট প্রাপ্তিস্থানঃ
লালবাগ কেল্লার দরজার ঠিক ডান পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার, জনপ্রতি টিকেট এর দাম দশ টাকা করে, তবে পাঁচ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্যে টিকেট এর দরকার পড়েনা। যেকোনো বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে টিকেট মূল্য একশত টাকা করে।
বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ
গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সহ সকল সরকারি ছুটির দিন লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে।


ঘুরে আসুন নুহাশ পল্লী

নুহাশ পল্লী ঢাকার অদুরে গাজীপুরে অবস্থিত একটি বাগানবাড়ী। কার্যত: এটি এটি নুহাশ চলচিত্রের শুটিংস্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। নুহাশ পল্লীতে ঢুকে মাঠ ধরে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই হাতের বাঁ-পাশে শেফালি গাছের ছায়ায় নামাজের ঘর। এর পাশেই তিনটি পুরনো লিচুগাছ নিয়ে একটি ছোট্ট বাগান। লিচু বাগানের উত্তর পাশে জাম বাগান আর দক্ষিণে আম বাগান। ওই লিচুবাগের ছায়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।
অবস্থান
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজার। সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পিরুজালী গ্রাম। ওই গ্রামেই ১৫ বছর আগে ৪০ বিঘা জায়গা নিয়ে নুহাশ পল্লী তৈরি করেন হুমায়ুন আহমেদ।
নুহাশ পল্লীর ইতিহাসঃ
রাজধানীর অদূরে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক দুর্গম এলাকায় প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লী গড়ে তুলেছেন। সেখানকার নানা স্থাপনা আর অসংখ্য ফলজ, বনজ গাছের পাশাপাশি তিনি বানিয়েছেন ঔষধি গাছের বাগান। সব মিলিয়ে মনের মতো করেই ছেলের নামে রাখা নুহাশ পল্লীকে এক স্বপ্নজগত করে তুলেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তাই আড়াইশ প্রজাতির সবুজ গাছের সেই নন্দন কাননে বারবারই ছুটে গেছেন তিনি। নুহাশ পল্লীতেই হুমায়ূন আহমেদ গড়ে তুলেছেন স্যুটিং স্পট, দিঘি আর তিনটি সুদৃশ্য বাংলো। একটিতে থাকতেন আর বাকি দুটি ছিল তার শৈল্পিক চিন্তাধারার আরেক রূপ। শানবাঁধানো ঘাটের দিঘির দিকে মুখ করে বানানো বাংলোর নাম দিয়েছেন ‘ভূত বিলাস’। দুর্লভসব ঔষধি গাছ নিয়ে যে বাগান তৈরি করা হয়েছে তার পেছনেই রূপকথার মৎস্যকন্যা আর রাক্ষস। আরো রয়েছে পদ্মপুকুর, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়োথেবড়ো সুইমিং পুল।
নুহাশ পল্লী ও হুমায়ূনঃ
কিংবদন্তী কথাসাহিত্যক হুমায়ুন আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে নুহাশ পল্লী প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকার ধানমণ্ডিতে তার বাসস্থান হলেও তিনি সুযোগ পেলই নুহাশ পল্লীতে চলে আসতেন সময় কাটাতে। কখনো আসতেন সপরিবারে, কখনো আসতেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে রাতভর আড্ডা দিতে। প্রতি বছর ১লা বৈশাখে নুহাশ পল্লীতে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হতো।

ঘুরে আসুন বরিশাল

দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম একটি জেলা বরিশাল। এটি বাংলাদেশের একটি বিভাগীয় জেলা। নদ-নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত জেলা বরিশাল। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরের পুরাতন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশষ্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। একে বাংলার ‘ভেনিস’ বলা হয়। বরিশাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর।
অবস্থান
বরিশাল জেলার উত্তরে চাঁদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা;  দক্ষিণে ঝালকাঠি,  বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা;  পূর্বে লক্ষীপুর,  ভোলা জেলা ও  মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও  গোপালগঞ্জ জেলা অবস্থিত।
যাতায়াত পদ্ধতি
এই জেলায় যাতায়াতের জন্য নৌ-পথই সবচেয়ে সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। এছাড়া সড়ক পথেও এই জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
সড়কপথে ভ্রমণ
ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলো হল এসি চেয়ার কোচ, হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ। এসি চেয়ার কোস ও হিনো চেয়ার কোচগুলো গুলো ফেরী পারাপার এবং নরমাল চেয়ার কোস গুলো লঞ্চ পারাপার। এছাড়া লোকাল পথেও বরিশাল যাওয়া যায়।
ঢাকা গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো হল:
এসি চেয়ার কোচ (ফেরী পারাপার)
গাড়ির নাম
ভাড়া
সুরভী পরিবহন
৬০০/-
সৌদিয়া পরিবহন
৬০০/-
নন এসি চেয়ার কোচ (ফেরী পারাপার)
গাড়ির নাম
ভাড়া
সাকুরা পরিবহন
৪০০/-
সোনারতরী পরিবহন
৪০০/-
ঈগল পরিবহন
৪০০/-
হানিফ
৪০০/-
নরামল চেয়ার কোচ (লঞ্চ পারাপার)
গাড়ির নাম
ভাড়া
সূর্যমূখী পরিবহন
২৫০/-
সাউদিয়া পরিবহন
২৫০/-
সূবর্ণ পরিবহন
২৫০/-
শাপলা পরিবহন
২৫০/-
রেখা পরিবহন
২৫০-
ঢাকা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যেসব ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো হল
হিনো চেয়ার কোচ (লঞ্চপারাপার)
গাড়ির নাম
ভাড়া
সাকুরা পরিবহন
৪০০/-
নরামল চেয়ার কোচ (লঞ্চপারাপার)
গাড়ির নাম
ভাড়া
মেঘনা
২৫০/-
সুগন্ধা
২৫০/-
ফাড়ি পথে গুলিস্তান থেকে বরিশাল যাওয়ার বিবরণ
কাটা লাইনে গুলিস্তান যেতে চাইলে গুলিস্তান থেকে যেসব গাড়ীগুলো ছেড়ে যায় সেগুলো শুধু মাওয়াঘাট পর্যন্ত যায়। তারপর যাত্রীগণকে গাড়ী থেকে নেমে লঞ্চে অথবা স্প্রীড বোর্ডে কাওরাকান্দি যেতে হয়। লঞ্চে পদ্মা নদী পার হতে হলে ১.৩০ মিনিট থেকে ২.০০ ঘন্টা সময় লাগে। লঞ্চ ভাড়া ৩০ টাকা। স্প্রীড বোর্ডে নদী পার হলে আনুমানিক ২০মিনিট সময় লাগে। স্প্রীড বোর্ডে ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কাওরাকান্দি থেকে বাস অথবা মাইক্রোবাসে বরিশাল যাওয়া যায়। বাসে ডাইরেক্ট বরিশাল ভাড়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। মাইক্রোবাসে ডাইরেক্ট বরিশাল ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা। এছাড়া কাওরাকান্দি থেকে ভাংগা পর্যন্তও বাসে যাওয়া যায়। কাওড়াকান্দি থেকে ভাংগা পর্যন্ত বাস ভাড়া-৪০, ভাংগা থেকে বরিশাল পর্যন্ত বাস ভাড়া- ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
গুলিস্তান সুন্দরবন স্কোয়ার সুপার মার্কেট (কাপ্তান বাজার মোড়) থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় তার বিবরণ নিম্নে দেওয়া হল:
গাড়ির নাম
ভাড়া
গ্রেট বিক্রমপুর প্রাঃ লিঃ
৬০/-
আনন্দ পরিবহন প্রাঃ লিঃ
৬০/-
ইলিশ পরিবহন প্রাঃ লিঃ
৬০/-
আপন পরিবহন প্রাঃ লিঃ
৬০/-
গাংচিল পরিবহন প্রাঃ লিঃ
৬০/-
ডি এম পরিবহন প্রাঃ লিঃ
৬০/-
ঢাকা থেকে বরিশাল পৌছানোর ব্যপ্তিকাল
ফেরীপারাপার গাড়ীতে ভ্রমন করলে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে পাটুরিয়া ফেরীঘাটে যাওয়ার সাথে সাথে ফেরী পেয়ে গেলে ওপার যেতে আনুমানিক ৩০ মিনিট সময় লাগে। এক্ষেত্রে বরিশাল পৌছাতে সর্বমোট ৫ ঘন্টা থেকে ৫.৩০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু লঞ্চ পারাপার গাড়ীতে গেলে গাড়ীগুলো ফেরীপারাপার গাড়ীর চেয়ে ধীর গতিতে চলে আবার পাটুরিয়ার এপার পর্যন্ত যায়। তাই যাত্রীকে গাড়ী থেকে নেমে লঞ্চে উঠে ওপার গিয়ে একই পরিবহনের গাড়িতে উঠতে হয়। তাই বরিশাল পৌছাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে।
ফেরীপারাপার গাড়ীতে ভ্রমন
ফেরীপারাপার গাড়ীগুলোতে ভাড়া একটু বেশী হলেও লঞ্চ পারাপার গাড়ির চেয়ে আরামে যাওয়া যায়। ফেরীপারাপার গাড়ি থেকে নামতে হয় না। একই গাড়িতে করে ডাইরেক্ট গাবতলী থেকে বরিশাল পৌছা যায়।
লঞ্চপারাপার গাড়ীতে ভ্রমন
লঞ্চ পারাপার গাড়ীতে ভ্রমন করলে ভাড়া কম লাগে। কিন্তু যাত্রীকে অনেক অসুবিধার সম্মূখীন হতে হয়। যেমন:- পাটুরিয়া লঞ্চঘাট গাড়ী পৌছালে গাড়ী থেকে যাত্রীকে নেমে লঞ্চে উঠে ওপার যেতে হয়। লঞ্চ থেকে নেমে আবার একই কোম্পানীর গাড়ীতে উঠতে হয়। যাদের সাথে ব্যাগ, লাগেজ ও অন্যান্য মালামাল থাকে তাদের একটু বেশী অসুবিধা হয়।
খাওয়া দাওয়ার জন্য যাত্রা বিরতী
ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে পাটুরিয়া ফেরী ঘাটে খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে হয়। এছাড়া অন্য কোথাও কোন যাত্রা বিরতী নেই।
খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা
গাড়ী ফেরীতে উঠলে ফেরীর ২য় তলায় খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আছে। বাহিরের খাবারের তুলনায় ফেরীতে খাবারের দাম তুলনামূলক ২/৪ টাকা বেশী নেয়। ভাত মাছ-৮০/-, ভাত মাংস-৮০/-। অন্যান্য কোল্ড ড্রিংকস ও মিনারেল ওয়াটার ও ফাস্টফুড আইটেমের কিছু কিছু খাবারও ফেরীতে পাওয়া যায়। এছাড়া নিচ তলায় বিভিন্ন প্রকার ফল ও ডিম সিদ্ধ, চানাচুর, মুড়ি ও অন্যান্য হালকা খাবার পাওয়া যায়।
টয়লেট ব্যবস্থা
ফেরীতে নীচ তলায় টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ফেরীর টয়লেটে যেতে আলাদা কোন চার্জ দিতে হয় না। দ্বিতীয় তলায় ভিআইপিদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
নৌ-পথে ভ্রমণ
ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যেসব লঞ্চ ছেড়ে যায় সেগুলো হল এম.ভি সুন্দরবন-৭, এম.ভি সুন্দরবন-৮, সুরভী-৭, সুরভী-৮, পারাবত-২, পারাবত-৯, পারাবত-১১, কীর্তনখোলা-১ ও দ্বীপরাজ।
ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার সময়
ঢাকা সদরঘাট থেকে রাত ৮.১৫ মিনিট হইতে রাত ৮.৩০ মিনিটের মধ্যে লঞ্চগুলো বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বরিশাল পৌছানোর সময়
সকাল ৬টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে লঞ্চগুলো বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে পৌছে থাকে।
যাত্রীধারন ক্ষমতা
লঞ্চগুলোতে যাত্রীধারণ ক্ষমতা ১০০০ জন থেকে ১২০০ জন পর্যন্ত।
নামাজের স্থান
লঞ্চগুলোর ৩য় তলায় নামাজের স্থান রয়েছে। এখানে একসাথে ২৫ জন নামাজ পড়তে পারে।
টয়লেট
নীচ তলায় ডেকের যাত্রীদের জন্য, ভিআইপি/কেবিনের যাত্রীদের জন্য ২য় ও ৩য় তলায় কেবিনের পাশেই টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
শ্রেণী/আসনভাড়া  সুবিধাসমূহ
এম.ভি সুন্দরবন-
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
এম.ভি সুন্দরবন-
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
সুরভী-
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
সুরভী-
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
পারাবত-
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
পারাবত-
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
পারাবত-১১
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
কীর্তনখোলা-
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
দ্বীপরাজ
শ্রেণী/আসন
ভাড়া
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
ভিআইপি কেবিন
৪,০০০/-
বক্সখাট, টেলিভিশন LCD, বাথরুম, সোফা, ওয়াড্রপ, এসি
সেমি ভিআইপি/সৌখিন
২২০০/-
খাট দুইটি, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল, টেলিভিশন ওয়াড্রপ, ফ্যান+এসি
ডাবল কেবিন
১৬০০/-
টেলিভিশন, সোফা, এসি
ডাবল কেবিন
১২০০/-
টেলিভিশন, সোফা, ফ্যান
সিঙ্গেল কেবিন
৮৫০/-
এসি, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সিঙ্গেল কেবিন
৬৫০/-
ফ্যান, টেলিভিশন, ওয়াড্রপ
সোফা
৪০০/-
টেলিভিশন, ফ্যান, বাথরুম ৩টি, মালামাল রাখার লকার
ডেক/৩য় শ্রেণী
২০০/-
টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, বাথরুম ৬টি
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
লঞ্চগুলোতে ৫-৬ জন করে আনসার সদস্য ও ১৫-১৬ জন বয় রয়েছে। লঞ্চগুলোতে নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট না থাকলেও প্রায় ২০০ করে বয়া রয়েছে। লঞ্চের প্রতি তলার ছাদে এবং সাইডে এই বয়া সংরক্ষিত থাকে।
লঞ্চের ষ্ট্যাফ
লঞ্চগুলোতে ৪ জন করে প্রধান মাষ্টার, সুপারভাইজার, ২ জন ড্রাইভারসহ খালাসী, কেরানী, গিরিজার, সুকানী, ইলেকট্রিসিয়ান সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন করে ষ্ট্যাফ রয়েছে।
বিবিধ
লঞ্চের ভিতর নিচতলায় ক্যান্টিন, ফাস্টফুড, সেলুন, ফার্সেমী ও দোকান রয়েছে।
দর্শণীয় স্থান
  • এবাদুল্লাহ মসজিদ
  • অশ্বনীকুমার টাউনহল
  • দুর্গাসাগর দিঘী
  • মুকুন্দ দাসের কালিবাড়ী
  • বিবির পুকুর পাড়,গুটিয়া মসজিদ
  • মাহিলারা মঠ
  • সংগ্রাম কেল্লা
  • শরিফলের দুর্গ
  • শের-ই-বাংলা জাদুঘর
  • শংকর মঠ
  • জমিদার বাড়ি (মাধপ পাশা)
  • লন্টা বাবুর দিঘী (লাকুটিয়া)

ঘুরে আসুন আহসান মঞ্জিল

ইসলামপুরের কুমারটুলী নামে পরিচিত পুরনো ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বর্তমান ইসলামপুরে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। এটি ব্রিটিশ ভারতের উপাধিপ্রাপ্ত ঢাকার নওয়াব পরিবারের বাসভবন ও সদর কাচারি ছিল। অনবদ্য অলঙ্করন সমৃদ্ধ সুরম্য এ ভবনটি ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন।
নওয়াব আব্দুল গনির পিতা খাজা আলিমুল্লাহ ১৮৩০ সালে ফরাসিদের নিকট থেকে এই কুঠিটি ক্রয়পূর্বক সংস্কারের মাধ্যমে নিজ বাসভবনের উপযোগী করেন। পরবর্তীতে নওয়াব আব্দুল গনি ১৮৬৯ সালে এই প্রাসাদটি পুন:নির্মাণ করেন এবং প্রিয় পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।
পরিদর্শনের সময়সূচী
  • গ্রীষ্মকালীন সময়সূচী: (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) – (শনিবার-বুধবার) সকাল ১০.৩০ টা – বিকাল ৫.৩০ টা। শুক্রবার- বিকেল ৩.০০ টা – সন্ধ্যা ৭.৩০ টা।
  • শীতকালীন সময়সূচী: (অক্টোবর –মার্চ) – (শনিবার-বুধবার) সকাল ৯.৩০ টা – বিকাল ৪.৩০ টা। শুক্রবার – দুপুর ২.৩০ টা – সন্ধ্যা ৭.৩০ টা।
  • বৃহস্পতিবার – সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন জাদুঘর বন্ধ থাকবে।
টিকেট কাউন্টার
আহসান মঞ্জিলের পূর্ব পাশে যে ফটকটি উন্মূক্ত, তার ডান পাশে টিকেট কাউন্টার অবস্থিত। কাউন্টার হিসেবে যেসব কক্ষ ব্যবহৃত হচ্ছে , পূর্বে এগুলো সৈনিকদের ব্যারাক ও গার্ডরুম ছিল।
টিকেটের মূল্য তালিকা
প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশি দর্শক = ৫ টাকা জনপ্রতি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশি শিশু দর্শক (১২ বছরের নিচে) = ২ টাকা জনপ্রতি, সার্কভুক্ত দেশীয় দর্শক = ৫ টাকা জনপ্রতি, অন্যান্য বিদেশি দর্শক = ৭৫ টাকা জনপ্রতি, উল্লেখ্য যে, প্রতিবন্ধি দর্শকদের জন্য কোন টিকিটের প্রয়োজন হয় না ও পূর্ব থেকে আবেদনের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে জাদুঘর দেখতে দেয়া হয়।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা টিকিটে প্রবেশ করতে দেয়া হয়ে থাকে।
অগ্রিম টিকিটের কোন ব্যবস্থা নেই। তবে উল্লিখিত দিনগুলোতে আহসান মঞ্জিল বন্ধ হওয়ার ৩০ মিনিট আগ পর্যন্ত টিকেট সংগ্রহ করা যায়।
দর্শনীয় জিনিস
ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন হলো আহসান মঞ্জিল। নবাব পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত এই প্রাসাদটি বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বর্তমানে আহসান মঞ্জিলের মূল প্রাসাদটি গ্যালারি আকারে রূপান্তর করা হয়েছে। মোট গ্যালারি ২৩ টি। ১৯০৪ সালে তোলা ফ্রিৎজকাপের আলোকচিত্র অনুযায়ী বিভিন্ন কক্ষ ও গ্যালারীগুলো সাজানো হয়েছে।
গ্যালারি নং বিবরণ
০১. উনিশ শতকের সৈনিকের বর্ম, ভবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, সংস্কারপূর্ব ও পরবর্তী আলোকচিত্র ও পেইন্টিং। আহসান মঞ্জিল নিলামে বিক্রির জন্য এবং নতুন ভবন তৈরির নির্দেশ নামা।
০২. নবাবদের ব্যবহৃত আলমারি, তৈজসপত্র, ফানুস ও ঝাড়বাতি।
০৩. প্রাসাদ ডাইনিং রুম, নবাবদের আনুষ্ঠানিক ভোজন কক্ষ্ এটি।
০৪. বক্ষস্ত্রান ও শিরস্ত্রান, হাতির মাথার কংকাল (গজদন্তসহ), অলংকৃত দরমা বেড়া/কাঠ ছিদ্র অলংকরন সম্বলিত।
০৫. প্রধান সিড়িঘর নিচতলা। দরজার অলংকৃত পাল্লা, ঢাল-তরবারি, বল্লম, বর্শাফলক।
০৬. স্যার আহসানুল্লাহ জুবিলী মেমোরিয়াল হাসপাতালে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক কিছু সরঞ্জামাদি ও খাতপত্র এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে।
০৭. মুসলিম লীগ কক্ষ। এ কক্ষটি নবাবদের দরবার হল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠাকালে শাহবাগের সম্মেলনে আগত সর্ব ভারতীয় মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দর একটি বড় তৈলচিত্র এই গ্যালারিতে আছে।
০৮. বিলিয়ার্ড কক্ষ। ১৯০৪ সালে তোলা আলোকচিত্র অনুযায়ী বিলিয়ার্ড টেবিল, লাইটিং ফিটিংস, সোফা ইত্যাদি তৈরি করে সাজানো হয়েছে।
০৯. সিন্দুক কক্ষ- ঢাকার নবাবদের কোষাগার হিসেবে ব্যবহৃত কক্ষ। এতে আছে ৯৪ লকার বিশিষ্ট বৃহদাকার লোহার সিন্দুক। বড় কাঠের আলমারি ও মাঝারি ও ছোট কয়েকটি সিন্দুক। লোহার গ্রীল, দরজার পাল্লা ইত্যাদি।
১০. নওয়াব পরিচিতি- এই গ্যালারিতে ঢাকার নওয়াব পরিবারের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের পরিচিতি ও বংশ তালিকা এবং নবাবদের কাশ্মীরবাসী আদিপুরুষ থেকে সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত বংশ তালিকা ও ইংরেজীতে লেখা আহসানউল্লাহর ডায়েরি ও উর্দূতে জমি পত্তন দেয়ার দলিল।
১১. প্রতিকৃতি- এই গ্যালারিতে খ্যাতনামা, দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী, ভূস্বামী, বুদ্ধিজীবী, সমাজসংস্কারক, কবি সাহিত্যিক ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের তৈলচিত্র ছবি রয়েছে।
১২. নওয়াব সলিমুল্লাহ স্মরণে- নওয়াব সলিমুল্লাহর ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন সময়ের আলোকচিত্র, নবাবের ব্যবহার্য ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল জিনিস।
১৩. প্রতিকৃতি- নবাব পরিবারের সদস্যগণদের অন্দর মহলে প্রবেশ করার জন্য রংমহল থেকে পশ্চিমাংশের একটি গ্যাংওয়ের মাধ্যমে যাতায়াত করতেন। বর্তমানে তা নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বন্ধ।
১৪. হিন্দুস্তানি কক্ষ-১৯০৪ সালে ফ্রিৎজকাপের তোলা আলোকচিত্র অবলম্বনে এই গ্যালারি নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলিতেছে।
১৫. প্রধান সিড়িঘর দোতলা- সাদা সিমেন্টের ভাস্কর্য, আলোকচিত্র ও খোদাই করা কাঠের সিড়ি লাল গালিচার্য এবং ছাদে কাঠের অলংকৃত সিলিং।
১৬. লাইব্রেরি কক্ষ- এই গ্যালারির সংস্কার কাজ চলছে।
১৭. কার্ডরুম- ঢাকার নওয়াবদের তাশ খেলার কক্ষ। সংস্কার চলছে।
১৮. নবাবদের অবদান ঢাকায় পানিয় জলের ব্যবস্থা। এ কক্ষটি গেষ্টরুম হিসেবে ব্যবহার হতো। এখানে পানির ড্রাম, আইসক্রীম, বালতি, কফি তৈরির মেশিন, কফির কাপ, কুলফি গ্লাস, পানির ট্যাপ, অলংকৃত বালতি রয়েছে।
১৯. স্টেট বেডরুম-রাজকীয় অতিথীদের থাকা ও বিশ্রামের জন্য এই বেডরুম, শোবার খাট, আলমারী, ঘড়ি, ড্রেসিং টেবিল, আয়না, তাক, টেবিল-চেয়ার এখানে রয়েছে।
২০. নওয়াবদের অবদান ঢাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ঢাকায় বিদ্যুৎ, কেরোসিন বাতি, হারিকেন চুল্লি, হারিকেন সার্চ বাতি, দেশে বিদেশে জনকল্যাণ কাজে ঢাকার নওয়াবদের অর্থদানের বিবরণ, সিগন্যাল বাতি, বিভিন্ন দেশী বৈদ্যুতিক বাল্ব, কেরোসিন চালিত পাখা, বিভিন্ন প্রকার কাঁচের লাইট, মোমবাতি ষ্ট্যান্ড, ফানুস ইত্যাদি।

ঘুরে আসুন ফয়েজ লেক

ফয়েজ লেক চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত একটি  কৃত্রিম হ্রদ। ১৯২৪ সালে এই লেকটি খনন করা হয়।  লেকটি খনন কাজের সাথে প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রকৌশলী ফয়েজ। প্রকৌশলী ফয়ে’সের নামানুসারে লেকটির নামকরণ করা হয় ফয়েজ লেক। এই লেকটি তৈরীর উদ্দেশ্য ছিল রেল কোলনীতে বসবাসকারী লোকদের কাছে পানি পৌঁছানো।
কোথায় অবস্থিত
প্রাকৃতিক অনন্য সৌন্দর্য্যের অধিকারী সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ফয়েজ লেক পাহারতলী রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বে ও খুলশী আবাসিক এলাকার পশ্চিমে অবস্থিত।  এই লেকটি ১৯৪২ সালে বেঙ্গল রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ খাবার পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে তৈরী করেন। এটি জিরো পয়েন্ট থেকে ৮কিমি দূরে অবস্থিত।
কিভাবে যাবেন          
চট্টগ্রাম থেকে ফয়েজ লেকে  যাওয়ার জন্য বাস বা অটোরিক্সা ব্যবহার করা যেতে পারে। সিএনজিতে গেলে ১০ মিনিটেই ফয়েজ লেকে যাওয়া যায়।
দেখতে পাবেন
এই লেকে দেখার মতো রয়েছে অনেক কিছু। ইচ্ছা করলেই নবদম্পতিরা মধুচন্দ্রিমা সেরে আসতে পারেন ফয়ে’জ লেক থেকে। শিশুদের জন্য যেমন নানা রকম রাইডের ব্যবস্থা আছে তেমনি বড়রাও খুজেঁ পাবেন পাহাড়, লেক সব মিলে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। অঞ্চলের চারদিকে পাহাড় আর মাঝখানে রয়েছে অরুনাময়ী, গোধূলী, আকাশমনি, মন্দাকিনী, দক্ষিনী, অলকানন্দা নামের হৃদ। হৃদের পাড়ে যেতেই দেখা মিলবে সারি সারি নৌকা। নৌকায় যেতে মিনিট দশেক লাগবে। তার পরই দেখা মিলবে চমৎকার  রিসোর্ট; দুই দিকে সবুজ পাহাড়, মাঝে মধ্যে দু-একটি বক  এবং নাম –না- জানা হরেক রকম পাখি। এর সাথে রয়েছে মনোরম পরিবেশে হরিন বিচরণ স্থান।
বিনোদনের জন্য থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড,অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডে আছে বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক মানের রাইডস যেমন—সার্কাস ট্রেন,ফ্যামিলি কোস্টার,ফেরিস হুইল,রেডড্রাই স্লাইড,বাম্পার কার,সার্কাস সুইং,স্পিডবোট,ওয়াটার বি। লেকের ওপর ঝুলন্ত সেতু,পাহাড়ের বনাঞ্চলে ট্রাকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সুউচ্চ টাওয়ার। রিসোর্টে যাঁরা থাকবেন,তাঁদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকমের সুবিধা যেমন—প্রতিদিনের সকালের নাশতা থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড রাইডসগুলো উপভোগ করার সুযোগ এবং দিনভর জলে ভিজে আনন্দ করার জন্য ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড কনকর্ড। তাছাড়া করর্পোরেট  গ্রাহকদের জন্য সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বিভিন্ন রকম ইভেন্টের সুবিধা রয়েছে।
কোথায় থাকবেন
ফয়েজ লেকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আপনার জন্য আছে বিলাসবহুল থাকার আবাস। পাহাড়ের ধারে লেকের পাড়ে রয়েছে দারুন সব কটেজ ও রিসোর্ট। নবদম্পতিদের জন্য রয়েছে হানিমুন কটেজ। অবশ্য ইচ্ছা করলে অন্য আবাসিক হোটেলে থেকেও আপনি ফয়’স লেক ঘুরে দেখতে পারেন। এট্রি ফি ও রাইড খরচটা হাতের নাগালেই। থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামাউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডে প্রবেশসহ সব রাইড ২০০ টাকা,ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড কনকর্ড প্রবেশসহ সব রাইড ৩৫০ টাকা। রিসোর্ট ও কটেজ ভাড়া ফয়েজ লেক রিসোর্টে প্রতিদিন রাত যাপন দুই হাজার ৫০০ থেকে সাত হাজার টাকা এবং রিসোর্ট বাংলোয় প্রতিদিন রাত যাপন দুই হাজার ৫০০ থেকে ছয় হাজার টাকা।