Wednesday, May 29, 2019

ধর্ষন চেষ্টা, দোতলা থেকে লাফিয়ে ইজ্জত বাঁচালো কলেজ ছাত্রী


 ধর্ষন চেষ্টা, দোতলা থেকে লাফিয়ে ইজ্জত বাঁচালো কলেজ ছাত্রী dorson Rape, ভিডিওটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ধর্ষন থেকে রেহাই পেতে দোতলা থেকে লাফিয়ে এক কলেজ ছাত্রী তার সম্ভ্রম বাঁচিয়েছে।
এ ঘটনায় আফিয়া বেগম নামে এনজিও’র এক নারী কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাকুল্যা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আফিয়া বেগম দেলদুয়ার উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। সে যুগবাণী সমাজকল্যাণ নামে একটি এনজিওর কর্মচারী। আর এই ঘটনার মুল আসামী তানজিরুল হাসান জীবন পলাতক রয়েছে। ঘটনায় আহত ছাত্রী এ বছর টাঙ্গাইল কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তার বাড়ি মির্জাপুরের জামুর্কী ইউনিয়নের চুকুরীয়া গ্রামে। চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল যুগবাণী সমাজকল্যাণ সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার তানজিরুল হাসান জীবন। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।

মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বাজারে অবস্থিত আব্দুল হকের ভবনে অবস্থিত যুগবাণী সমাজকল্যাণ নামে এক এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার তানজিরু হাসান জীবনের সঙ্গে কয়েক দিন আগে টাঙ্গাইল যাওয়ার সময় বাসে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিচয় হয়। এ সময় জীবন নিজেকে এশিয়া ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়।  পরে ওই ছাত্রীকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে অফিসে আসতে বললে ওই ছাত্রী গতকাল মঙ্গলবার জীবনের অফিসে গেলে পেছন থেকে আরেক মহিলা কর্মচারী আফিয়া বেগম অফিসের মুল দরজা তালা লাগিয়ে দেয়। সেখানে অফিস কক্ষে জীবন ছাড়া অন্য কেউ ছিলো না। এ অবস্থায় ছাত্রীটি অফিস কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে জীবন তাকে আটকাতে চেষ্টা করেন। ছাত্রীটে কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলেও দোতলার গেটটিও বন্ধ পান। এসময় জীবনের অসৎ উদ্দেশ্য আঁচ করতে পেরে ইজ্জত বাঁচাতে  সে দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’তলা থেকে লাফিয়ে পড়ায় তার কোমরের হাড় ভেঙে গেছে বলে চিকিৎসক মিথুন কুমার রায় জানিয়েছেন। আহত ওই ছাত্রী বর্তমানে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের কেবিন ‘এ’ তে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মির্জাপুর থানায় জীবন ও আফিয়ার নামে মামলা করলে পুলিশ আফিয়াকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। অপরদিকে ওই কলেজ ছাত্রী আজ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

No comments:

Post a Comment