Thursday, May 30, 2019

টাঙ্গাইলে কুমারী মেয়ের সন্তান প্রসব, ১০ মাস আগে গণধর্ষন


টাঙ্গাইলে কুমারী মেয়ের সন্তান প্রসব, ১০ মাস আগে গণধর্ষন | ভিডিওটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।


 টাঙ্গাইলোর কালিহাতি উপজেলার বেতডোবা এলাকার ১২ বছরের এক শিশু গণধর্ষিত হওয়ার ১০ মাস পর কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সন্তানের  পিতৃ পরিচয় ও সম্ভ্রম হারানোর বিচার দাবী করছেন প্রসুতি ও তার স্বজনরা। সদ্য ভুমিষ্ট কন্যা সন্তানটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আশংকা জনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসকের ততাবধানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিশু বিভাগের ডা. তাহমিনা বেগম।

প্রসুতি ও তার স্বজনরা জানান, গত ১০ মাস পূর্বে ধর্ষিতা প্রসুতি গোসল করে জামা কাপর পাল্টানোর সময় তার চাচাত ভাইয়ের ছেলে রুদ্র পাল গোপনে তার নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারন করে প্রতিবেশি মিঠুন পাল ও বসন্ত পালকে দেখায়। পরে মিঠুন পাল ও বসন্ত পাল ধর্ষিতাকে ডেকে কু প্রস্তাব দেয় এবং ফেসবুকে নগ্ন ছবি ছরিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষন করে। নিজের ইজ্জত রক্ষার্থে বিষয়টি গোপন রাখে ধর্ষিতা। ১৫দিন পর আবারও একই কায়দায় দজনের কাছে ধর্ষনের স্বিকার হয়। এঘটনার দুই মাস নিজের আপন চাচা কৌশলে তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে হাতপা বেধে ধর্ষন করে। এবং এঘটনা কাউকে জানালে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পুরো ব্যাপারটি দীর্ঘ ৮মাস গোপন রাখে। গত দুই মাস পূর্বে প্রসুতি শারিরিকভাবে বেশি অসুস্থ হলে তাকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে পরিক্ষার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে তার গর্ভে সন্তান রয়েছে। পরে ধর্ষনের কথা পরিবারকে বিস্তারিত জানালে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মিঠুন পালকে প্রধান আসামী করে কালিহাতি থানায় ৩জনের নামে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তাদের তিনজনকেই গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। আজ দুুপুরে প্রসব ব্যাথা শুরু হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আসে এবং কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ধর্ষিতা শিশুটি। সদ্য ভুমিষ্ট শিশু কন্যার জন্ম পরিচয় নিয়ে বিপাকে রয়েছে শিশুটি। দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী তার।

স্বজনরা জানান, সে নিজেই শিশু এখন আবার বাচ্চা জন্ম দিলো কি হবে শিশুর পিতৃ পরিচয় আর কে করবে এর ভরন পোষন। তারাও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে কর্তব্যরত শিশু বিভাগের ডাক্তার জানিয়েছেন শিশুটিকে ইনকেবিটরে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক।
গত ১০ মাসে বার বার ধর্ষনের স্বিকার হয়েছে ধর্ষিতা শিশুটি। নিজের আপন চাচার হাত থেকেও বাচাতে পারেনি তার সম্ভ্রম। লালশার স্বিকার হতে হয়েছে তাকে।

No comments:

Post a Comment