আমাদের দেশে ঘুরে দেখার মতো অনেক পরিচিত জায়গা আছে। আবার এমন কিছু জায়গা
আছে, যেগুলো কম পরিচিত হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এমনই একটি জায়গা
হলো কুয়াকাটার কাছে ফাতরার বন।
কুয়াকাটা যান অনেকেই। কিন্তু এর কাছেই ফাতরার বনে অনেকেই যায় না। ওই বনে যাওয়ার জন্য অবশ্য খুব নিরাপদ ব্যবস্থা না থাকাটাও অবশ্য একটা কারণ। মাসখানেক আগে সাত বন্ধু মিলে কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে একদিন কাটিয়ে পরদিন তথ্য সংগ্রহ করে সকাল নয়টায় ফাতরার বনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে ছোট্ট একটা ট্রলারে করে শুরু হয় আমাদের সমুদ্রযাত্রা। ছিল ভয় পাওয়ার মতো যথেষ্ট উত্তাল ঢেউ। তাতেই বোঝা যায়, কেন খুব একটা পর্যটকদের আনাগোনা নেই এ পথে। এ পথে যেতে একটু রোমাঞ্চপ্রিয় হতে হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা ট্রলারে টানা চলার পর চোখে পড়ল সাত-আট কিলোমিটার বিস্তৃত সারি সারি গাছ আর ঘন বনজঙ্গল। দূর থেকে মনে হলো একটা সবুজ বনের দ্বীপ। শেষে ট্রলারটি বনের কোলঘেঁষে একটা খালে ঢুকল। এই খালটিই বনের গভীরে চলে গেছে। খালের মধ্য দিয়ে কিছু দূর এগোনোর পর ট্রলারটি ছোট জেটির মতো এক জায়গায় থামল। প্রথমে মনে হচ্ছিল, সুন্দরবনের কোনো খাল পার হচ্ছি। একে একে সবাই নামলাম ট্রলার থেকে। নেমেই দেখা গেল, বনের মধ্যে সাজানো-গোছানো একটি পুকুর। এর পাশে বাংলোর মতো একটা বাড়ি। আর আশপাশে দু-একজন মানুষ। জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা বললেন, এটা আমতলী ফরেস্ট রেঞ্জের বাংলো। এই বনের মাঝেমধ্যে জেলেরা মাছ ধরতে আসে। এ ছাড়া মানুষ বা কোনো বন্যপ্রাণীর আনাগোনাও নেই। চারদিকে শুধুই ঘন বন। প্রায় ঘণ্টাখানেক ঘন বনের মধ্যে ঘুরেফিরে বেরিয়ে আবার ট্রলারে চড়লাম। ট্রলারের চালককে খালের মধ্য দিয়ে বনের আরো গভীর যেতে বললাম। চারদিকে এত ঘন জঙ্গলে ভরা ভাবতেই পরিনি। চারদিকে নিস্তব্ধতা শুধু। মোট ঘণ্টা দুয়েক থেকে আবার ফেরার পধ ধরলাম নদী হয়ে সমুদ্রপাড় ঘেঁষে।
যাবেন কীভাবে
ঢাকা থেকে সড়কপথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। কুয়াকাটায় থাকার জন্য বন বিভাগের রেস্টহাউস ও বেসরকারি হোস্টেল রয়েছে। কুয়াকাটা থেকে ট্রলারে করে ফাতরার বনে যেতে পারেন।
কুয়াকাটা যান অনেকেই। কিন্তু এর কাছেই ফাতরার বনে অনেকেই যায় না। ওই বনে যাওয়ার জন্য অবশ্য খুব নিরাপদ ব্যবস্থা না থাকাটাও অবশ্য একটা কারণ। মাসখানেক আগে সাত বন্ধু মিলে কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে একদিন কাটিয়ে পরদিন তথ্য সংগ্রহ করে সকাল নয়টায় ফাতরার বনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে ছোট্ট একটা ট্রলারে করে শুরু হয় আমাদের সমুদ্রযাত্রা। ছিল ভয় পাওয়ার মতো যথেষ্ট উত্তাল ঢেউ। তাতেই বোঝা যায়, কেন খুব একটা পর্যটকদের আনাগোনা নেই এ পথে। এ পথে যেতে একটু রোমাঞ্চপ্রিয় হতে হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা ট্রলারে টানা চলার পর চোখে পড়ল সাত-আট কিলোমিটার বিস্তৃত সারি সারি গাছ আর ঘন বনজঙ্গল। দূর থেকে মনে হলো একটা সবুজ বনের দ্বীপ। শেষে ট্রলারটি বনের কোলঘেঁষে একটা খালে ঢুকল। এই খালটিই বনের গভীরে চলে গেছে। খালের মধ্য দিয়ে কিছু দূর এগোনোর পর ট্রলারটি ছোট জেটির মতো এক জায়গায় থামল। প্রথমে মনে হচ্ছিল, সুন্দরবনের কোনো খাল পার হচ্ছি। একে একে সবাই নামলাম ট্রলার থেকে। নেমেই দেখা গেল, বনের মধ্যে সাজানো-গোছানো একটি পুকুর। এর পাশে বাংলোর মতো একটা বাড়ি। আর আশপাশে দু-একজন মানুষ। জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা বললেন, এটা আমতলী ফরেস্ট রেঞ্জের বাংলো। এই বনের মাঝেমধ্যে জেলেরা মাছ ধরতে আসে। এ ছাড়া মানুষ বা কোনো বন্যপ্রাণীর আনাগোনাও নেই। চারদিকে শুধুই ঘন বন। প্রায় ঘণ্টাখানেক ঘন বনের মধ্যে ঘুরেফিরে বেরিয়ে আবার ট্রলারে চড়লাম। ট্রলারের চালককে খালের মধ্য দিয়ে বনের আরো গভীর যেতে বললাম। চারদিকে এত ঘন জঙ্গলে ভরা ভাবতেই পরিনি। চারদিকে নিস্তব্ধতা শুধু। মোট ঘণ্টা দুয়েক থেকে আবার ফেরার পধ ধরলাম নদী হয়ে সমুদ্রপাড় ঘেঁষে।
যাবেন কীভাবে
ঢাকা থেকে সড়কপথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। কুয়াকাটায় থাকার জন্য বন বিভাগের রেস্টহাউস ও বেসরকারি হোস্টেল রয়েছে। কুয়াকাটা থেকে ট্রলারে করে ফাতরার বনে যেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment