কিছুদিনের জন্য নিজের কাজগুলোকে তুলে রেখে স্ত্রী আর বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে
এলাম চীন দেশ। চীন দূর বটে, কিন্তু এখন আর সুদূর নেই, চায়না ইস্টার্ন
এয়ারলাইনসে ঢাকা-কুনমিং ফ্লাইট চালু আছে। সরাসরি বাংলাদেশ থেকে চীনে যেতে
সময় লাগে মাত্র দুই ঘণ্টা। এ শহরের নামের মানেটা বেশ অদ্ভুত। কুন শব্দের
অর্থ দেশ আর মিং শব্দের অর্থ বসন্ত। তো কুনমিং হচ্ছে বসন্তের এক দেশ।
সাত-সকালে জানালায় দাঁড়িয়ে এই কুনমিং শহরকেই দেখছিলাম। আকাশ-পাতাল ভাবনার
মধ্যে সহধর্মিণীর ডাকাডাকি। জানালা বন্ধ করে ফিরে আসতে হলো। এখানে
খাওয়াদাওয়া করতে যাওয়াটা মোটামুটি একটা অভিযানের মতো। তাই সকালে উঠেই
লোকজন আসার আগে রেস্টুরেন্টে ছুটি। হোটেলে গিয়ে আমরা কী খেতে চাই এটা
ওদের বোঝাতে মোটামুটি গলদঘর্ম হতে হয়। অর্ডার দেওয়ার সময় হাত-পা ছুড়ে
নেচে-কুদে ছবি এঁকে তাদের বোঝাতে হয় কী খেতে চাই।
এখানে বসেই ঠিক হয় আমাদের পরবর্তী গন্তব্য স্টোন ফরেস্ট-পাথরের অরণ্য। দেশ থেকেই এর খুব নামডাক শুনে এসেছি, তাই চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে আমরা চললাম স্টোন ফরেস্টের দিকে।
কুনমিং শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এ পাথরের বন। পাথর সেখানে আর পাথর হয়ে নেই, ভারি অদ্ভুত তাদের আকার-আকৃতি। দেখলে মনে হবে বুঝি কোনো ভাস্কর পাথর কেটে ধীরে-সুস্থে তৈরি করেছেন এসব। কোনো পাথর দেখতে সিংহের মতো, কোনোটা আবার ঠিক যেন বাঘ থাবা মেলে আছে আকাশের দিকে। শুঁড় দোলানো হাতিও যে আছে! বড় বড় পাথরের খণ্ডে আছে বিচিত্র সব জীবজন্তু। পুরোটা জায়গা জুড়েই লম্বা লম্বা পাথরের স্তম্ভ। গাছের গুঁড়ির মতো দাঁড়িয়ে আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। স্তম্ভগুলোর ফাঁক-ফোকর গলে ভেতরে চলে গেছে পাথুরে রাস্তা। ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ি পাথরের ছায়ায়। দীর্ঘ দিন ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনে ক্ষয় প্রক্রিয়ায় চুইয়ে পড়া পানির প্রভাবে অসংখ্য পাথর শিলাস্তম্ভ ও চুনের দণ্ড সৃষ্টি হয়। এগুলো পাহাড়ের মতো না হয়ে অদ্ভুত সব আকার-আকৃতির রূপ নিয়েছে।
চীনে এসেছি, মহাপ্রাচীর না দেখলে চলে! এবার বেইজিং।চীনের এই রাজধানী শহর থেকে দল বেঁধে চললাম মহাপ্রাচীরের দিকে। অনেক দূর থেকেই চোখে পড়ছিল প্রাচীরটা, মস্ত অজগরের মতো কখনো পাহাড়ের ওপর দিয়ে আবার কখন নিচ দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে প্রাচীর। এবার কেবল কারে চেপে উঠে পড়ি প্রাচীরে। কত দেশের কত ভাষার মানুষের যে মিলনমেলা এখানে, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আর পর্যটকদের পকেট খালি করতে চীনারা দারুণ সিদ্ধহস্ত। ছোট ছোট দোকানে কত না অদ্ভুত জিনিসপত্র। সেখানে বেচাকেনাও হয় দেদার। আমরা হেঁটে এগোতে থাকি। বি্নয় আর আবেগের স্রোত বয়ে যায় হৃৎপিণ্ড দিয়ে। একসময় সন্ধ্যা উতরে আকাশে এক ফালি চাঁদ ওঠে। আমরা ফিরে চলি উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ ধরে। পেছনে পড়ে থাকে মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর বি্নয়-চীনের মহাপ্রাচীর।
এখানে বসেই ঠিক হয় আমাদের পরবর্তী গন্তব্য স্টোন ফরেস্ট-পাথরের অরণ্য। দেশ থেকেই এর খুব নামডাক শুনে এসেছি, তাই চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে আমরা চললাম স্টোন ফরেস্টের দিকে।
কুনমিং শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এ পাথরের বন। পাথর সেখানে আর পাথর হয়ে নেই, ভারি অদ্ভুত তাদের আকার-আকৃতি। দেখলে মনে হবে বুঝি কোনো ভাস্কর পাথর কেটে ধীরে-সুস্থে তৈরি করেছেন এসব। কোনো পাথর দেখতে সিংহের মতো, কোনোটা আবার ঠিক যেন বাঘ থাবা মেলে আছে আকাশের দিকে। শুঁড় দোলানো হাতিও যে আছে! বড় বড় পাথরের খণ্ডে আছে বিচিত্র সব জীবজন্তু। পুরোটা জায়গা জুড়েই লম্বা লম্বা পাথরের স্তম্ভ। গাছের গুঁড়ির মতো দাঁড়িয়ে আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। স্তম্ভগুলোর ফাঁক-ফোকর গলে ভেতরে চলে গেছে পাথুরে রাস্তা। ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ি পাথরের ছায়ায়। দীর্ঘ দিন ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনে ক্ষয় প্রক্রিয়ায় চুইয়ে পড়া পানির প্রভাবে অসংখ্য পাথর শিলাস্তম্ভ ও চুনের দণ্ড সৃষ্টি হয়। এগুলো পাহাড়ের মতো না হয়ে অদ্ভুত সব আকার-আকৃতির রূপ নিয়েছে।
চীনে এসেছি, মহাপ্রাচীর না দেখলে চলে! এবার বেইজিং।চীনের এই রাজধানী শহর থেকে দল বেঁধে চললাম মহাপ্রাচীরের দিকে। অনেক দূর থেকেই চোখে পড়ছিল প্রাচীরটা, মস্ত অজগরের মতো কখনো পাহাড়ের ওপর দিয়ে আবার কখন নিচ দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে প্রাচীর। এবার কেবল কারে চেপে উঠে পড়ি প্রাচীরে। কত দেশের কত ভাষার মানুষের যে মিলনমেলা এখানে, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আর পর্যটকদের পকেট খালি করতে চীনারা দারুণ সিদ্ধহস্ত। ছোট ছোট দোকানে কত না অদ্ভুত জিনিসপত্র। সেখানে বেচাকেনাও হয় দেদার। আমরা হেঁটে এগোতে থাকি। বি্নয় আর আবেগের স্রোত বয়ে যায় হৃৎপিণ্ড দিয়ে। একসময় সন্ধ্যা উতরে আকাশে এক ফালি চাঁদ ওঠে। আমরা ফিরে চলি উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ ধরে। পেছনে পড়ে থাকে মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর বি্নয়-চীনের মহাপ্রাচীর।
No comments:
Post a Comment