কক্সবাজার যাওয়া হয়েছে বেশ কবার। আর একটু দূরে যাওয়া যায় না? ঠিক করলাম
কক্সবাজার ছাড়িয়ে মহেশখালী, সোনাদিয়ার দিকে চলে যাব এবার। কক্সবাজার থেকে
সরাসরি সোনাদিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও মহেশখালী হয়েই যাওয়ার সিদ্ধান্ত
নিলাম।
মহেশখালীতে গিয়ে সঙ্গী পেলাম দুজনকে। একজন সেন টেং ইউন, বাড়ি মহেশখালী; আরেকজন গিয়াস উদ্দিন, বাড়ি পশ্চিম সোনাদিয়া।
পরের দিন সকালে আমরা তিনজন যাত্রা করলাম। মহেশখালীর গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত একটি বেবিট্যাক্সি নিলাম। দূরত্ব ২৫ কিমি। ঘটিভাঙা নেমে খেয়ানৌকায় সোনাদিয়া চ্যানেল পার হলাম। খালে খুব বেশি পানি নেই। তবে জোয়ার শুরু হয়েছে। এখানে সোনাদিয়াকে মহেশখালীর সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য একটি সেতু বানানোর ‘উদ্যোগ’ চোখে পড়ল। সেতুটির অসম্পূর্ণ অবকাঠামো দেখে এর চেয়ে আর কোনো উৎকৃষ্ট শব্দ মনে এল না।
সোনাদিয়া যাওয়ার দুটো উপায়: হেঁটে যাওয়া অথবা জোয়ার এলে নৌকা। আমরা প্রথমটিই বেছে নিই। প্রতিদিন জোয়ারের সময় পশ্চিম সোনাদিয়া থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত মাত্র একবার একটি ট্রলার ছেড়ে আসে। এই ট্রলারটিই কিছুক্ষণের মধ্যে যাত্রীদের তুলে নিয়ে আবার ফিরতি যাত্রা করে। আমরা একটি নির্মাণাধীন কাঁচাপথ ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। রাস্তাটির দুই পাশ বেশ খাড়াভাবে বাঁধানো। মাটি নেওয়া হয়েছে একেবারে গোড়া থেকে। প্যারাবনের ভেতর দিয়ে তৈরি এ পথের নিম্নাংশ প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে ক্ষয় হয়। আমরা হাঁটছি খালি পায়ে। চারপাশ অসম্ভব নির্জন। গিয়াস উদ্দিনের হাতে এক পোঁটলা তরিতরকারি। জিজ্ঞেস করলাম, ‘এত দূর থেকে কেন এসব বয়ে নিয়ে যাচ্ছ?’ সে জানাল, সোনাদিয়ায় কোনো হাটবাজার নেই।
বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমরা একটি উঁচু সেতুর ওপর এসে দাঁড়ালাম। এই জায়গাটির নাম মাঝের খাল। এখানে দাঁড়ালে অনেক দূর চোখ যায়। চারপাশ স্বপ্নের মতো সুন্দর। জীবনের কিছু কিছু দৃশ্য মনের ফ্রেমে গেঁথে থাকে। এ দৃশ্যটি ঠিক তেমন। সব সময় চোখে ভাসে। আমার সঙ্গে কথা বলে। খালের পানি স্বচ্ছ, টলটলে। মনে হয় এ পানি কেউ কখনো ছুঁয়ে দেখেনি; যদি তার ঘুম ভেঙে যায়! সেতুর দুই পাশের খাল কয়েকটি শাখা-প্রশাখায় ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দূর। কোথাও কোথাও থিকথিকে পলিভূমি। এদিকটায় মাঝারি আকৃতির প্যারাবন। সাদা ও কালো বাইন, কেওড়া, হাড়গোজা, উড়িঘাস—মূলত এরাই এ বনের বাসিন্দা।
আমরা পথ থেকে নেমে ডান দিকে হাঁটতে থাকি। খানিকটা আলপথ, বাকিটা বাইনগাছের ফাঁকে ফাঁকে। তারপর লবণঘেরের উঁচু বাঁধ ধরে হাঁটা। কোথাও বসতির কোনো চিহ্ন নেই। তবে লবণচাষিদের দেখা গেল বিক্ষিপ্তভাবে। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। আমার দুই চোখ তখন কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মতো সোনাদিয়ার গ্রাম খুঁজছিল। তেষ্টা পেয়েছে ভীষণ। অবশেষে আমরা গ্রামের সীমানায় এসে পৌঁছলাম। হিসাব করে দেখলাম, স্থানীয়দের হেঁটে যেতে লাগে এক ঘণ্টা, আমাদের লাগল প্রায় দুই ঘণ্টা। কেয়াবন ও বালির পথ মাড়িয়ে ঢুকে পড়লাম গ্রামে। হাঁটতে গেলে বালিতে পা ডুবে যায়। গিয়ে বসলাম গিয়াস উদ্দিনের ঘরে। দুপুরের খাবারটা ওখানেই সারলাম। এ ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। এখানে কোনো হোটেল তো দূরের কথা, একটা দোকানও চোখে পড়ল না।
খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম। দ্বীপের পশ্চিমে শেষপ্রান্ত বেশ খোলামেলা। এখানেই শেষ বসতি। সবুজ ঘাসে মোড়ানো মাঠে বসলে মন ভরে যায়। আছে নির্জনতা আর বিশুদ্ধ বাতাস। একদিকে সমুদ্র আর পবন ঝাউয়ের বীথি, অন্যদিকে খাল আর প্যারাবন। পড়ন্ত বিকেলে এখানে আবার ফিরে আসব, মনকে এ আশ্বাস দিয়ে উঠে পড়লাম। পথে পড়ল তরমুজখেত। সবাই মিলে তরমুজ খেলাম। এবার সাগরমুখী হলাম। সমুদ্রের গর্জন ভেসে আসছে। বালুতটে ছাগলখুরীর গড়ান লতা। বেগুনি রঙের ফুল ফুটে আছে। স্থানীয় লোকেরা বলে সাগরলতা। এখানে বালির ঢিবিগুলোতে বালি আটকাতে এ লতা কাজে লাগানো হয়।
আমরা নির্জন সৈকত ধরে হাঁটছি। আরও খানিকটা সামনে গেলে সৈকতের বাঁকটা স্পস্ট হয়ে ওঠে। এবার চোখে পড়ল সামুদ্রিক কচ্ছপের হ্যাচারি। কচ্ছপ ডিম পেড়ে গেলে সেগুলো সংগ্রহ করে এখানে রাখা হয়। তারপর ডিম ফুটিয়ে ছানাগুলোকে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাজটি করছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
সূর্যাস্ত দেখব বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু লাল গোলকটি সাগর স্পর্শ করার আগেই একটি বিশাল কালো পর্দা তাকে ঢেকে দিল।
হঠাৎ দেখি, গ্রামের ছেলেমেয়েরা দলবেঁধে হইহই করতে করতে সৈকতে নামল।
সন্ধ্যায় আবার গিয়ে বসলাম সেই খোলা মাঠে। আঁধার ঘনিয়ে আসছে দ্রুত। সাদা পালক দুলিয়ে এক সারি বক উড়ে গেল উত্তরের খালে। একটি মৌন সন্ধ্যা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছিল মুক্তাখচিত রাতের দিকে। মাঠের পাশেই একটি চায়ের দোকানের সন্ধান মিলল। এমন ভর সন্ধ্যায় কি চা না খেয়ে থাকা যায়! অতঃপর চা এবং একটি দীর্ঘ আড্ডা। রাতে একটি আধপাকা অফিস ঘরে থাকার ব্যবস্থা হলো। গভীর রাতে নোনা দরিয়ার ডাক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন দুপুরের আগেই গিয়াস উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, কামাল পাশা ও বাবুল মিয়া আমাদের বিদায় জানাল। নৌকা চলছে তিরতির করে। দুই পাশের দৃশ্য আগের চেয়ে স্বপ্নবোনা। এই জলপথ, পলিমাটির চরা, প্যারাবন, উড়িঘাস, বকপাখি, পানকৌড়ি—সবকিছুই নির্জনতার; আমাদের কিছু নয়। আমরা ওখানে বড্ড বেমানান।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে যাবেন কক্সবাজার। কক্সবাজারের কস্তুরিঘাট থেকে স্পিডবোট বা ট্রলারে চেপে মহেশখালী। মহেশখালীর গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত যেতে হবে বেবিট্যাক্সিতে। সেখান থেকে ট্রলারে করে যাবেন সোনাদিয়া। আবার কক্সবাজার থেকে সরাসরি স্পিডবোট ভাড়া করেও সোনাদিয়া যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক ভাড়া গুনতে হবে। তবে সোনাদিয়ায় কোনো হোটেল কিংবা বাংলো নেই। থাকতে হবে স্থানীয়দের সঙ্গে।
মহেশখালীতে গিয়ে সঙ্গী পেলাম দুজনকে। একজন সেন টেং ইউন, বাড়ি মহেশখালী; আরেকজন গিয়াস উদ্দিন, বাড়ি পশ্চিম সোনাদিয়া।
পরের দিন সকালে আমরা তিনজন যাত্রা করলাম। মহেশখালীর গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত একটি বেবিট্যাক্সি নিলাম। দূরত্ব ২৫ কিমি। ঘটিভাঙা নেমে খেয়ানৌকায় সোনাদিয়া চ্যানেল পার হলাম। খালে খুব বেশি পানি নেই। তবে জোয়ার শুরু হয়েছে। এখানে সোনাদিয়াকে মহেশখালীর সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য একটি সেতু বানানোর ‘উদ্যোগ’ চোখে পড়ল। সেতুটির অসম্পূর্ণ অবকাঠামো দেখে এর চেয়ে আর কোনো উৎকৃষ্ট শব্দ মনে এল না।
সোনাদিয়া যাওয়ার দুটো উপায়: হেঁটে যাওয়া অথবা জোয়ার এলে নৌকা। আমরা প্রথমটিই বেছে নিই। প্রতিদিন জোয়ারের সময় পশ্চিম সোনাদিয়া থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত মাত্র একবার একটি ট্রলার ছেড়ে আসে। এই ট্রলারটিই কিছুক্ষণের মধ্যে যাত্রীদের তুলে নিয়ে আবার ফিরতি যাত্রা করে। আমরা একটি নির্মাণাধীন কাঁচাপথ ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। রাস্তাটির দুই পাশ বেশ খাড়াভাবে বাঁধানো। মাটি নেওয়া হয়েছে একেবারে গোড়া থেকে। প্যারাবনের ভেতর দিয়ে তৈরি এ পথের নিম্নাংশ প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে ক্ষয় হয়। আমরা হাঁটছি খালি পায়ে। চারপাশ অসম্ভব নির্জন। গিয়াস উদ্দিনের হাতে এক পোঁটলা তরিতরকারি। জিজ্ঞেস করলাম, ‘এত দূর থেকে কেন এসব বয়ে নিয়ে যাচ্ছ?’ সে জানাল, সোনাদিয়ায় কোনো হাটবাজার নেই।
বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমরা একটি উঁচু সেতুর ওপর এসে দাঁড়ালাম। এই জায়গাটির নাম মাঝের খাল। এখানে দাঁড়ালে অনেক দূর চোখ যায়। চারপাশ স্বপ্নের মতো সুন্দর। জীবনের কিছু কিছু দৃশ্য মনের ফ্রেমে গেঁথে থাকে। এ দৃশ্যটি ঠিক তেমন। সব সময় চোখে ভাসে। আমার সঙ্গে কথা বলে। খালের পানি স্বচ্ছ, টলটলে। মনে হয় এ পানি কেউ কখনো ছুঁয়ে দেখেনি; যদি তার ঘুম ভেঙে যায়! সেতুর দুই পাশের খাল কয়েকটি শাখা-প্রশাখায় ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দূর। কোথাও কোথাও থিকথিকে পলিভূমি। এদিকটায় মাঝারি আকৃতির প্যারাবন। সাদা ও কালো বাইন, কেওড়া, হাড়গোজা, উড়িঘাস—মূলত এরাই এ বনের বাসিন্দা।
আমরা পথ থেকে নেমে ডান দিকে হাঁটতে থাকি। খানিকটা আলপথ, বাকিটা বাইনগাছের ফাঁকে ফাঁকে। তারপর লবণঘেরের উঁচু বাঁধ ধরে হাঁটা। কোথাও বসতির কোনো চিহ্ন নেই। তবে লবণচাষিদের দেখা গেল বিক্ষিপ্তভাবে। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। আমার দুই চোখ তখন কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মতো সোনাদিয়ার গ্রাম খুঁজছিল। তেষ্টা পেয়েছে ভীষণ। অবশেষে আমরা গ্রামের সীমানায় এসে পৌঁছলাম। হিসাব করে দেখলাম, স্থানীয়দের হেঁটে যেতে লাগে এক ঘণ্টা, আমাদের লাগল প্রায় দুই ঘণ্টা। কেয়াবন ও বালির পথ মাড়িয়ে ঢুকে পড়লাম গ্রামে। হাঁটতে গেলে বালিতে পা ডুবে যায়। গিয়ে বসলাম গিয়াস উদ্দিনের ঘরে। দুপুরের খাবারটা ওখানেই সারলাম। এ ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। এখানে কোনো হোটেল তো দূরের কথা, একটা দোকানও চোখে পড়ল না।
খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম। দ্বীপের পশ্চিমে শেষপ্রান্ত বেশ খোলামেলা। এখানেই শেষ বসতি। সবুজ ঘাসে মোড়ানো মাঠে বসলে মন ভরে যায়। আছে নির্জনতা আর বিশুদ্ধ বাতাস। একদিকে সমুদ্র আর পবন ঝাউয়ের বীথি, অন্যদিকে খাল আর প্যারাবন। পড়ন্ত বিকেলে এখানে আবার ফিরে আসব, মনকে এ আশ্বাস দিয়ে উঠে পড়লাম। পথে পড়ল তরমুজখেত। সবাই মিলে তরমুজ খেলাম। এবার সাগরমুখী হলাম। সমুদ্রের গর্জন ভেসে আসছে। বালুতটে ছাগলখুরীর গড়ান লতা। বেগুনি রঙের ফুল ফুটে আছে। স্থানীয় লোকেরা বলে সাগরলতা। এখানে বালির ঢিবিগুলোতে বালি আটকাতে এ লতা কাজে লাগানো হয়।
আমরা নির্জন সৈকত ধরে হাঁটছি। আরও খানিকটা সামনে গেলে সৈকতের বাঁকটা স্পস্ট হয়ে ওঠে। এবার চোখে পড়ল সামুদ্রিক কচ্ছপের হ্যাচারি। কচ্ছপ ডিম পেড়ে গেলে সেগুলো সংগ্রহ করে এখানে রাখা হয়। তারপর ডিম ফুটিয়ে ছানাগুলোকে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাজটি করছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
সূর্যাস্ত দেখব বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু লাল গোলকটি সাগর স্পর্শ করার আগেই একটি বিশাল কালো পর্দা তাকে ঢেকে দিল।
হঠাৎ দেখি, গ্রামের ছেলেমেয়েরা দলবেঁধে হইহই করতে করতে সৈকতে নামল।
সন্ধ্যায় আবার গিয়ে বসলাম সেই খোলা মাঠে। আঁধার ঘনিয়ে আসছে দ্রুত। সাদা পালক দুলিয়ে এক সারি বক উড়ে গেল উত্তরের খালে। একটি মৌন সন্ধ্যা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছিল মুক্তাখচিত রাতের দিকে। মাঠের পাশেই একটি চায়ের দোকানের সন্ধান মিলল। এমন ভর সন্ধ্যায় কি চা না খেয়ে থাকা যায়! অতঃপর চা এবং একটি দীর্ঘ আড্ডা। রাতে একটি আধপাকা অফিস ঘরে থাকার ব্যবস্থা হলো। গভীর রাতে নোনা দরিয়ার ডাক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন দুপুরের আগেই গিয়াস উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, কামাল পাশা ও বাবুল মিয়া আমাদের বিদায় জানাল। নৌকা চলছে তিরতির করে। দুই পাশের দৃশ্য আগের চেয়ে স্বপ্নবোনা। এই জলপথ, পলিমাটির চরা, প্যারাবন, উড়িঘাস, বকপাখি, পানকৌড়ি—সবকিছুই নির্জনতার; আমাদের কিছু নয়। আমরা ওখানে বড্ড বেমানান।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে যাবেন কক্সবাজার। কক্সবাজারের কস্তুরিঘাট থেকে স্পিডবোট বা ট্রলারে চেপে মহেশখালী। মহেশখালীর গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত যেতে হবে বেবিট্যাক্সিতে। সেখান থেকে ট্রলারে করে যাবেন সোনাদিয়া। আবার কক্সবাজার থেকে সরাসরি স্পিডবোট ভাড়া করেও সোনাদিয়া যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক ভাড়া গুনতে হবে। তবে সোনাদিয়ায় কোনো হোটেল কিংবা বাংলো নেই। থাকতে হবে স্থানীয়দের সঙ্গে।
No comments:
Post a Comment