Wednesday, July 23, 2014

সবুজের মাঝে বনবাংলো


পর্দা সরালেই জানালার সামনে সবুজ পাহাড়। ছবির মতো চা বাগান। একটু দূরেই নদী। এক অসাধারণ কোলাজ! সারাক্ষণ পাখির কলতান। যত দূরে চোখ যাবে শুধুই সবুজ। এমন একটি মনোরম জঙ্গল ঘেরা এলাকায় বনবাংলো তৈরি করেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (পূর্ব)।

২০০৭-এর মাঝামাঝি চালু হওয়া এই বনবাংলোর নামকরণ হয়েছে অডওয়ার্ড ওসওয়াল্ড শেবেয়ার সাহেবের নামে। যিনি ১৯১১ সালে ছিলেন জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডি এফ ও। জলদাপাড়া জঙ্গলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অপরিসীম মনে করেন পরিবেশেপ্রমীরা।
যারা নির্জনতা চুটিয়ে উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য হাতিপোতার ওই বনবাংলোটি আদর্শ।
বনবাংলো থেকে চা বাগানের বাংলোর দিকে যাওয়ার রাস্তা নিঝুম। পথেই হাতিপোতা বাজার। রোববার হাতিপোতায় হাট বসে। হাটের ভিড়ে গরম ভাজাভুজির খোজ করতে পারেন।
যাতায়াত
– হাতিপোতার বনবাংলোয় পৌছনো সহজ ব্যাপার। আলিপুরদুয়ার থেকে ঘন ঘন বাস, জিপ সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পাওয়া যায়। সলসলা বাড়ি, শামুকতলা ধওলাঝোরা হয়ে দু’ঘণ্টায় পৌছে যায়। নামতে হয় আমতলায়। সবুজ চা বাগান ছুয়ে পিচ বাধানো রাস্তা ধরে একটু হাটা পথ। চিংড়িখোলা পার হলেই হাতিপোতা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস। একেবারে শেষ প্রান্তে সেবেয়ার বনবাংলো।
– শিলিগুড়ি থেকে বাসে কামাখ্যাগুড়ি। সেখান থেকে জিপ বা ট্রেকার ভাড়া করা যায়।
– এন জে পি ও শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া নিয়েও যাওয়া যায়।
আস্তানা
– শেবেয়ার বনবাংলো-য় তিনটে দুই শয্যার ঘর রয়েছে। রান্নাবান্নার লোক পাওয়া যায় হাতের কাছেই। যোগাযোগ
ফিল্ড ডিরেক্টর, বক্সা টাইগার রিজার্ভ (ইস্ট),
আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি।
ফোন ০৩৫৬৪-২৫৫০০৪।
মাথাপিছু আনুমানিক খরচ দৈনিক প্রায় ২০০০ হাজার টাকা

আশেপাশে

– হাতিপোতার বাংলো থেকে অনায়াসেই যাওয়া যায়
– ফাসখাওয়া, ভুটানঘাট, দক্ষিণ জয়ন্তী বিটের পানবাড়িতে
– ভুটিয়াবিস্ত হয়ে জয়ন্তী,
– কার্তিকা হয়ে রায়ডাক, ছিপড়া, নারারথলি, রসিক বিল অবধি ঘুরে আসা যায়
– হাতে একটু বেশি সময় থাকলে ময়নাবাড়ি, তুরতুরি হয়ে নদী পেরিয়ে ধূমপাড়া, সঙ্কোশ, কুমারগ্রামদুয়ার অবধিও যাওয়া যায়

No comments:

Post a Comment