Sunday, July 27, 2014

উত্তরাখণ্ডের ভ্রমণ তথ্য

আবহাওয়া
গাড়োয়াল হিমালয়ে প্রধানত তিন ধরণের ঋতু। নভেম্বর থেকে এপ্রিল চারপাশ বরফে ঢেকে যায়। এটাই এখানে শীতলতম সময়। আরামদায়ক আবহাওয়া, অর্থাৎ সহনীয় ঠাণ্ডা থাকে মে থেকে নভেম্বর মাস। বর্ষা আসে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। বেড়ানোর সেরা সময় অবশ্যই মে-জুন ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। বর্ষায় বৃষ্টির দাপট প্রচণ্ড তবে সাধারণত ক্ষণস্থায়ী।
থাকা
উখিমঠে থাকার জায়গা:
গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের পর্যটক আবাস;
রামকৃষ্ণ মিশন-এর অতিথি নিবাস;
পি ডিব্লউ ডি ইনেস্পকশন বাংলো; মদমহেশ্বরে থাকার ভাল ব্যবস্থা বিরল।
তবে আশেপাশের অনেক দৃিষ্টনন্দন
জায়গায় ইদানিং কালে গড়ে উঠেছে
বহু বেসরকারি আশ্রয়:
সেচ দফতরের ডাক বাংলো; প্রচুর বেসরকারি হোটেল।
গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের পর্যটক আবাস কোন কোন শহরে আছে,
তার সমস্ত খবরাখবর পাওয়া যাবে:
www.gmvnl.com/newgmvn/touristbunglows/
গাড়ওয়াল পর্যটনের ওয়েবসাইট: www.garhwaltourism.com
এদের কলকাতা অফিসের ঠিকানা:
গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম
মার্শাল হাউজ, রুম নং: ২২৪,
সেকেণ্ড ফ্লোর,
৩৩/১ এন এস রোড,
কলকাতা- ৭০০ ০০১।
ফোন নং: ০৩৩-২২৩১-৫৫৫৪
দেওরিয়াতাল
টেন্ট রিসর্ট
যোগাযোগ: রঘুবীর।
ফোন: (০১৩৬৪) ২৬৪২৭৯/ ০৯৪১১ ৫৫৪২৯১।
গৌণ্ডার
যোগাযোগ: রমেশ পানওয়ার।
ফোন: ০৯৪১১ ৩৮৯২৭৪।
বানতোলি
যোগাযোগ: অনিল পানওয়ার।
ফোন: ০৯৪১১ ৩৫২১৫৭
০৯৪১২ ১১৫৮৪০
মেলা-পার্বণ
এই অঞ্চলে বিভিন্ন হিন্দু উৎসব যেমন বসন্তে হোলি, নবরাত্রিতে দশেরা এবং হেমন্তে দীপাবলি উৎসাহের সঙ্গে পালন করা হয়। এ ছাড়াও উদযাপন করা হয় হিমালয়কে বন্দনা করে নন্দা দেবী মেলা।
টুকিটাকি
  1. বছরের অন্যান্য সময় ভারি উলের পোশাক সঙ্গে রাখা জরুরী তবে জুন থেকে সেেপ্টম্বর মাসে হালকা শীত পোষাক থাকলেই চলে। পাহাড়ি পথে েট্রক করার জন্য দরকার হান্টার বা েট্রকিং জুতো। ফাস্টর্-এড কিট ও টুকটাক ওষুধপত্র কাছে রাখা উচিত হবে। শ্বাসকেষ্টর রোগীদের এই ভ্রমণ পরিকল্‌রনায় সামিল না হওয়াই ভাল।
  2. বর্ষায় পাহাড়ের নতুন রূপ দেখতে হলে সঙ্গে বর্ষাতি, ছাতা, ইত্যাদি থাকা চাই। পাহাড়ি পথে হাটার জন্য বিশেষ গ্রিপযুক্ত জুতোও ব্যবহার করা দরকার।
  3. এই অঞ্চলে পানীয় জল-এর ব্যাপারে সাবধান। জল ফুটিয়ে বা জিওলিন ধরণের পিউরিফায়ার দিয়ে পরিশ্রুত করে ব্যবহার করা উচিত হবে। রাস্তায় যথেষ্ট পরিমান জলের প্রয়োজন হবে, তাই উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখা জরুরী।
  4. গাড়োয়ালের এই দিকে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ। টিনের খাবার নিয়ে যাওয়া যায় তবে আঞ্চলিক মানুষের সংবেদনশীলতার
    ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

No comments:

Post a Comment