Monday, July 7, 2014

কায়রো উৎসব-মুখর শহর

কায়রো শহরের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত মান-এর। সম্প্রসারিত সড়ক ব্যবস্থা, রেল যোগাযোগ, ভূগর্ভ রেল, সাবওয়ে ও জলযান চলাচল- সব নিয়ে যাত্রী-স্বাচ্ছেন্দ্যর যাবতীয় সুবিধে পাওয়া যায় কায়রোয়। মিশরের পরিবহন কাঠামোর কেন্দ্রস্থল হল এই শহর।
কায়রোর ভূগর্ভ রেল ব্যবস্থার নাম ‘মেট্রো’। শহর ও তার আশপাশ ঘুরে বেড়ানোর দ্রুততম উপায় এই যান। দিনে অফিস যাত্রীদের ভিড় থাকলেও অন্য সময় মেট্রোয় যাতায়াত করা আরামের। সকালে ২টি ট্রেন মহিলা যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত।
কায়রো থেকে মিশরের অন্যান্য জায়গায় পৌছতে হলে রেল ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখা যায়। উল্লেখ্য, মিশরীয় রেলওয়ে পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
কায়রো শহরের রাস্তাঘাট যানজটের কবলে পড়ে প্রায়শই। নবনির্মিত রিং রোড ধরলে যাতায়াত করা তুলনামূলক সুবিধেজনক। শহরের যান চলাচলে গতি আনতে তৈরি হয়েছে সিক্সথ এভিনিউ ব্রিজ যা কায়রোর দুই প্রান্ত যোগ করেছে।
উড়ানপথের হদিস পেতে: http://www.mapsofindia.com/flight-schedule/index.html
রেলপথের যাবতীয় খবরের জন্য: www.seat61.com/Egypt.htm
আবহাওয়া
কায়রো শহর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলের আবহাওয়া সাধারণত মরুভূমি এলাকার মতো। তবে নীল নদ উপত্যকার একাংশ হওয়ার দরুণ বছরের কয়েক সময় এখানে আদ্রর্তা বৃদ্ধি পায়। মার্চ-এপ্রিল মাসে, গ্রীষ্মের গোড়ার দিকে ধুলোর ঝড় বয় এই অঞ্চলে। এই সময় বেড়াতে এলে শরীর আপাদমস্তক ঢেকে বেরোতে হবে। সারা গরমকালেই তাপমাত্রা বাড়ে হু-হু করে ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড অবধি। তবে রাতে তা নেমে যায় প্রায় ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি। শীতকালে তাপমান দিনের
বেলায় বেড়ে যায় ১৫ ডিগ্রি সেিন্টগ্রেড আর রাতে তা নামে ৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। কায়রো শহর ও তার আশেপাশে বৃিষ্টপাতের হার খুব বেশি নয়। আবার মাঝেমধ্যে হঠাৎ বৃিষ্ট হওয়াও বিচিত্র নয়।
কায়রো শহরের বছরভর গড় তাপমান
ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড জানু ফেব্রু মার্চ এিপ্রল মে জুন জুলাই অগাস্ট সেপ্ট অক্টো নভে ডিসে
বেশি ১৮ ২১ ২৪ ২৮ ৩৩ ৩৫ ৩৬ ৩৫ ৩২ ৩০ ২৬ ২০
কম ৮ ৯ ১১ ১৪ ১৭ ২০ ২১ ২২ ২০ ১৮ ১৪ ১০
থাকা
কায়রোয় থাকার জায়গা প্রচুর। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে হবে:
www.HolidayInn.com
www.InterContinental.com www.marriott.com
www.hotelclub.net/hotel.reservations/Cairo.htm
মেলা-পার্বণ
কায়রো উৎসব-মুখর শহর
। সারা বছর জুড়ে এখানে নানা মেলা ও ফেস্টিভাল চলে। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রােন্তর মানুষ ভিড় করেন ‘কায়রো ডান্স ফেস্টিভাল’ দেখতে। মূলত ‘বেলি-ডান্সিং’-এর জন্যই বিখ্যাত এই উৎসব। বিশ্বের তাবৎ বেলি-ডান্সার এই নৃত্যোৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
কায়রো চলচ্চিত্র উৎসব এক বাৎসরিক পরব। ১৯৭৬ সাল থেকে চালু এই উৎসবে প্রদর্শিত হয় ভুবন-বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তৈরি ছবি।
বিভিন্ন মুসলমান ধর্মীয় পার্বন ও উৎসব বছরভর মহা সমারোহে পালন করা হয় এই শহরে।
কায়রো শহরের অলি-গলিতে প্রায়ই হদিশ মেলে দুষ্প্রাপ্য ছবি, বই ও প্রত্ন সামগ্রীর প্রদর্শনীর। রসিকজনের কৌতুহল মেটাতে এই সব আপাত কৌলীন্যহীন এক্‌জিবিশন অদ্বিতীয়।
টুকিটাকি
গ্রীষ্মে গা-ঢাকা সুতির পোষাক, রোদ চশমা ও হাল্কা টুপির প্রয়োজন হয়। রোদে বেরোতে হলে ছাতা আর সান-স্ক্রিন লোশন থাকা দরকার। শীতে আবার মোটামুটি ভালই ঠাণ্ডা পড়ে। হাঁড়-কাপানো হাওয়ার মোকাবিলা করতে সঙ্গে রাখুন উলের পোষাক আর উইণ্ড-চিটার।

No comments:

Post a Comment