Wednesday, July 16, 2014

সোনালি পাথরের প্রকাণ্ড সোমনাথ মন্দির

ভোপালে পৌছনোর পর থেকেই শুনছি কাছেপিঠে বেশ কিছু দেখার জায়গা রয়েছে। যেমন, উত্তর পশ্চিমে সাচি, বিদিশা, ইসলামনগর। আবার দক্ষিণে ভোজপুর ভীমবৈঠকা রাতাপানি অভয়ারণ্য। দুটোই সমান লোভনীয়। তবে কি না আমরা ভীমবৈঠকা যাওয়া এক রকম ঠিকই করে রেখেছিলাম, কাজেই ভোজপুর যাওয়াই স্থির হল। ভীমবৈঠকা যাওয়ার রাস্তাতেই পড়বে, তা ছাড়া কাছে একটা প্রাচীন জৈন মন্দিরও রয়েছে বলে শোনা গেল।
ভোপাল থেকে সকাল সকাল ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কখনও মেঘ, কখনও রোদ। দু’পাশে সয়াবিনের ক্ষেত হলুদ ফুলে ঝলমল করছে। ভোপাল জেলা শেষ হলে রাইসেন জেলা শুরু হয়। দু’পাশে সমতল জমি। পাহাড়ের কোনও আভাস নেই। কে বলবে বিন্ধ্যার উত্তর প্রােন্ত এই এলাকা! মাইলের পর মাইল ধু ধু করছে রাস্তা। কোথাও জনমানব নেই। মাঝেমাঝে দু’একজন গ্রামের মেয়েকে দেখা যাচ্ছে মাথায় বোঝা নিয়ে চলে যেতে। মধ্যপ্রদেশের আর পাচটা জেলার মতো রাইসেনেও তেমন মানুষের ভিড় চোখে পড়ে না। এক সময় রাস্তায় ঢেউ খেলল। একটা বাক পেরোল। তারপরেই চোখের সামনে ভেসে উঠল সবুজে ঘেরা টলটলে জল। এই হল বেতওয়া নদী। ছোট্ট গ্রামের নদীর মতই শান্ত, নীরব। বেতওয়া নর্মদা নয়। তবু মধ্যপ্রদেশের কত জেলা ঘুরে ঘুরে যে চলে তার হিসেব রাখা মুশকিল। আর একটু এগোতেই কয়েকটা অস্থায়ী ফুলের দোকান দেখা দিল। বাজার হয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সারি দেওয়া দোকান ঘর।
গাড়ি পার্ক করে আমরা নেমে পড়লাম। সামনে পরিষ্কার চওড়া রাস্তা। ওখানে গাড়ি যায় না। পেছনে ফিরে দেখি বেতওয়া নদী। কখন যে কাছে এসে পড়েছে টেরই পাইনি। সামনে খাড়া রাস্তা উঠে গিয়েছে। একটু এগোতেই দেখতে পেলাম পুবের সোমনাথ মন্দির বলে বিখ্যাত ভোজেশ্বরের মন্দির। খোলা আকাশের নীচে ঝকঝক করছে সোনালি পাথরের প্রকাণ্ড মন্দির। দাড়িয়ে পড়তেই হল। পাহাড়ের ওপরে একা মাথা উচু করে দাড়িয়ে রয়েছে, ত্রিসীমানায় কিছু নেই। নীচে উপত্যকায় মাইলের পর মাইল যতদূর চোখ যায় ক্ষেত দেখা যাচ্ছে। দর্শনার্থীদের পায়ের আওয়াজ ছাড়া কোনও শব্দই নেই।
ভারী অবাক করা। আশেপাশে দোকানপাট নেই, পুরোহিত পাণ্ডার উপদ্রব নেই গাড়ি নেই, গোলমাল নেই। সারি দিয়ে কিছু মানুষ দর্শন করতে চলেছে ঠিকই, কিন্তু বাকি দেশের তুলনায় এরা একেবারেই আলাদা। মনে পড়ে গেল কলকাতায় আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশের মানুষ নিয়ে কথা বলছিলাম। বন্ধুটি হঠাৎ বলে উঠেছিল, ওদের দেখলে আমাদের দেশের লোক বলে মনে হয় না। কথাটা আমার আগেই মনে হয়েছিল। সেই প্রথম যে বার মধ্যপ্রদেশ যাই। তখন আমল দিইনি। ভেবেছিলাম, ওটা আমার আবেগের রঙিন চশমার ফল। সেদিন বন্ধুর উক্তি শুনে বুঝলাম, কথাটা সম্পূর্ণ সত্যিই। এখানকার মানুষ সত্যি সত্যিই বাকি দেশের লোকের তুলনায় আলাদা। আত্মসম্মান আত্মবিশ্বাস সম্পন্ন। একান্ত সভ্য জগতের মানুষের মতো আন্তরিক ভদ্র মিষ্টভাষী, অথচ অন্যদের ব্যাপারে অযথা কৌতূহল নেই। ভোজপুরের দর্শনার্থীরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। কে এল কে গেল, কে ছবি তুলল কে প্রণাম করল তা নিয়ে ওদের আদৌ কোনও মাথাব্যথা নেই।

সে বার কানহার চায়ের দোকানে বসে আপনমনে চা খাচ্ছি আর টাইগার শোয়ের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি, এক ভদ্রলোক এগিয়ে এসেছিলেন। তার পরেই ভদ্রতার সীমা প্রায় অতিক্রম করে প্রশ্ন শুরু করেছিলেন। প্রথম শিকার আমার বান্ধবী। সে দেশি না বিদেশি। বিদেশি হলে কোন দেশের লোক, হেনতেন। তার পর আমার পালা। ইংরেজিতে নিতান্ত বাঙালি লোকটি প্রশ্ন শুরু করল। আমি কোন দেশ থেকে এসেছি, ইত্যাদি ইত্যাদি। অহেতুক কৌতূহল দেখে ততক্ষণে আমার ব্রহ্মতালু জ্বলছে। পরিষ্কার বাংলায় তাকে জানাতে বাধ্য হয়েছিলাম, তিন পুরুষ ধরে কলকাতাবাসী, বাঙলি বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ শাণ্ডিল্য গোত্র। আরও কিছু? বলাবাহুল্য, তথাকথিত শিক্ষিত বাঙালিদের এখনও মধ্যপ্রদেশের লোকেদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
শেখার আছে কালীঘাট, পুরীর মতো বড়বড় তীর্থস্থানের পুরোহিতেদেরও। ভোজেশ্বরের অত বড় মন্দির, অথচ পুজো দেওয়া কিংবা দর্শন করার জন্য কোনও পীড়াপীড়ি নেই। পুরী আর কালীঘাটের পাণ্ডাদের একবার ভোজেশ্বর ঘুরিয়ে আনা গেলে ওদের বোধোদয় হত যে মন্দির, বিশেষ করে প্রাচীন মন্দির শুধুই ধর্ম আর তীর্থস্থান নয়। এই সব মন্দিরের ঐতিহাসিক, স্থাপত্যগত গুরুত্ব অনেক। যারা দেখতে আসেন, তাদের অনেকেই শিবের মাথায় ফুলপাতা দিতে যতটা উৎসুক তার চেয়ে অনেক বেশি উৎসাহী মিন্দরের স্থাপত্য আর দেয়ালের কারুকাজ দেখতে। এক অলৌকিক উপায়ে ভোজপুরের পুরোহিতেরা সে কথা টের পেয়ে গিয়েছেন।
ভোজেশ্বরের মিন্দরের ইতিহাসটা এই রকম। ১০১০ সাল থেকে ১০৫৩ সাল পর্যন্ত ধার শাসন করেন পারমার রাজা ভোজ। ভোজপুরের শিবমিন্দরের কাজ শুরু করেন রাজা ভোজ। মিন্দরের ভেতরে তিন থাক পাথরের ওপর এক বিশাল শিবলিঙ্গ। এর উচ্চতা সাড়ে সাত ফুট আর ব্যাস ১৭.৮ ফুট। একাদশ শতাব্দীর অন্যতম বিখ্যাত এই মন্দিরটি কিন্তু অসমাপ্ত। শেষ করার আগেই যুেদ্ধ রাজা ভোজ প্রাণ হারান। তবু মন্দিরটি দেখার মতো। মিন্দরের চূড়ার কাজ শেষ হয়নি। শিবলিঙ্গের ওপর খোলা আকাশ দেখা যায়। পেছন দিকে ওপরে ওঠার জন্য যে র্যাম্প তৈরি হয়েছিল, তা আজও রয়েছে। মন্দিরটি সম্পূর্ণ করা গেলে এ যে কী অসাধারণ হত তা সহজেই অনুমান করা যায়। মিন্দরের দরজা দুটি একেবারেই অনাড়ম্বর, তবে দরজার বাইরে দু’পাশে অসাধারণ মূর্তি রয়েছে যার একটা গঙ্গা আর একটি যমুনা, জানালেন পুরোহিত।
মন্দির দেখে পুরোহিতকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছি। উনি কাকে যেন ডেকে পাঠালেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই িদ্বতীয় ব্যক্তি এসে হাজির। অার্কিওলজিকাল সার্ভের গাইড। মিন্দরের উেল্টাদিকে মেঞ্চর মতো করা আছে, সেখানে কী হয় জিগ্যেস করাতে উনি বললেন, ওখানে সাধু সন্ন্যাসীদের সমাধি রয়েছে। একটু আলাদা করা হয়েছে যাতে সাধারণ লোক ওগুলোর ওপর দিয়ে হেঁটে চলে না যায়। তাকিয়ে দেখলাম, দর্শনার্থীদের কেউই এ দিকে আসছেন না। অর্থাৎ ওরা জানেন। গাইড ভদ্রলোক জানালেন, মিন্দরের চারপাশে বাধানো চত্ত্বরে গোটা মিন্দরের নকশা খোদাই করা রয়েছে। মন্দির শেষ হয়নি ঠিকই, কিন্তু শেষ হলে তার চেহারা কেমন হত তা ওই নকশা থেকে নাকি স্পষ্ট বোঝা যায়। যতদূর চোখ যায় শুধুই মাঠ আর ক্ষেত দেখা যাচ্ছে। এতক্ষণ ধরে যে কথা জানার জন্যে ছটফট করছিলাম, সেই প্রশ্নটা করেই ফেললাম। ‘‘এখানে একটা লেক ছিল না, অনেককাল আগে?’’ জিগ্যেস করলাম আমি। ছিল, জানালেন উনি।
আড়াই শো বর্গ মাইল জুড়ে প্রকাণ্ড একটা লেক ছিল ভোজেশ্বর মিন্দরের সামনে। চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা। দু’টি মাত্র জল যাওয়ার পথ। এই দু’টি জায়গায় বাধ বসানো হয়। জলাধারটি করেন রাজা ভোজ। হয়েছিল কি, রাজা ভোজ এক ভীষণ অসুখের কবলে পড়েছিলেন। তখন এক সন্ন্যাসী তাকে ভারতের সবচেয়ে বড় লেক নির্মাণ করার পরামর্শ দেন। সেই কথা মতো ভোজপুরে লেক তৈরি হয়। সেই হ্রদে স্নান করে রাজা ভোজ রোগমুক্ত হন, বলে কথিত আছে। সেটা কতদূর সত্যি বলা মুশকিল, তবে এ কথা ঠিক যে এত বড় জলাশয়ের ফলে গোটা মালওয়ার অাবহাওয়া ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল।

কয়েক শো বছর এইভাবে চলে। তার পর মালওয়ার সেই সময়কার শাসক, হোসাঙ্গ শাহ লেকটি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। যে দু’টি বাধ ছিল তিনি লোক লাগিয়ে তাদের মধ্যে ছোট বাধটি কাটার নির্দেশ দেন। তিন মাস ধরে লোকেরা বাধটি কাটতে থাকে। জলাশয় থেকে জল বেরোতে সময় লাগে তিন বছর। মনে রাখতে হবে হ্রদটি ছিল ২৫০ বর্গমাইলের। লেক থেকে সব জল বেরিয়ে যাওয়ার পর গোটা মালওয়ার আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়। এই গল্প আমি আগে শুনেছি। শুনেছি আর মন খারাপ করেছি। প্রত্যেকবারই মনে হয়েছে, হোসাঙ্গ শাহ অমন আসুরিক কাণ্ড করলেন কেন। পরিবেশের এই ব্যাপক সর্বনাশই বা করতে গেলেন কী কারণে। যতবার মনে করেছি প্রকাণ্ড লেকটা কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে ততবারই অত্যন্ত বিরক্ত লেগেছে। যেটুকু ব্যাখ্যা পেয়েছি, তাতেও মনঃপূত হয়নি। কেউ কেউ বলেছেন, ধ্বংসাত্মক আবেগের বসে তিনি এই কাজ করেন। অন্যেরা বলেন, প্রচণ্ড রাগে পাগল হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোনওটাই ঠিক জুতসই মনে হয়নি। কী এমন রাগ যে তিন মাস ধরে হোসাঙ্গ শাহ তা পুষে রেখেছিলেন! এ বার সুযোগ পেয়ে গাইডকে জিগ্যেস করে ফেললাম, হোসাঙ্গ শাহ লেকটা ধ্বংস করলেন কেন?
গাইড আমার মুখের দিকে তাকিয়ে অত্যন্ত সহজভাবে জবাব দিলেন, ওই লেকে ওর ছেলে ডুবে গিয়ে ছিলেন। তার মৃতদেহ উদ্ধার করতে হোসাঙ্গ শাহ লেকটা খালি করে ফেলার নির্দেশ দেন। আমি স্তিম্ভত হয়ে তাকিয়ে রইলাম। এই কাহিনীর ঐতিহাসিক সত্যতা আছে কিনা আমার জানা নেই। কয়েক দিন পরে মাণ্ডুতে হোসাঙ্গ শাহের সৌধ দেখতে গিয়ে হোসাঙ্গ শাহ, তার স্ত্রী ছেলেমেয়ে, সকলের সমাধি দেখেছি, সে সময় হোসাঙ্গ শাহের এক ছেলের জলে ডুবে মারা যাওয়ার গল্প ওখানকার গাইডকে জিগ্যেস করার কথা মনে আসেনি। সত্যি বলতে কি, তখন আমার সে কথা প্রাসঙ্গিকই মনে হয়নি। যেমন প্রাসঙ্গিক মনে হয়নি ভোজপুরের গাইডকে জিগ্যেস করা, শেষ পর্যন্ত হোসাঙ্গ শাহ তার ছেলের মৃতদেহ খুজে পেয়েছিলেন কি না। সেই মুহূর্তে আমার এই কথা ভেবে অনুতপ্ত লাগছিল যে, আমরা কত সহজে লোকের বিচার করে ফেলি। অমন অসাধারণ একটা লেক শ্রেফ নিজের খেয়ালে নষ্ট করে ফেলা নিঃসেন্দহে পাষণ্ডসুলভ কাজ। কিন্তু তার পেছনে যে শুধু পুত্রশোকে ব্যাকুল এক বাবার হাহাকার ছাড়া আর কিছু ছিল না, এ কথা জানব কী করে। এতদিনের জমে থাকা রাগ কোথায় উড়ে গেল। গোটা ঘটনার চেহারাই বদলে দিল ওই কয়েকটা কথা।
ভোজেশ্বর থেকে বিদায় নিলাম বিষণ্ণ মনে। নীচে দোকানে দোকানে কিছু কিছু লোক জমেছে। বেতের ঝুড়িতে বড় বড় সাপ নিয়ে বসেছে সাপুড়ে। ফুলের দোকানের বুড়ি মা বারবার ফুলের মালা কিনে পুজো দেওয়ার জন্যে জোর করতে আরম্ভ করেছেন। বেগতির দেখে আমরা পালানোর ব্যবস্থা করলাম। খুব বেশি দূর নয়। ভোপাল থেকে ভোজপুর ২৮ কিলোমিটার। আর ভোজপুর থেকে জৈন মন্দির আধ কিলোমিটারও নয়। দূরে গাড়ি রেখে আমরা কাচা রাস্তা দিয়ে এগোলাম। দু’পাশে ধর্মশালার ঘর, জৈন পুস্তকের দোকান। জলসত্র। দু’চার জন এ দিক ও দিক ঘোরাঘুরি করছে। খানিকটা পরে বাধনো চত্ত্বরে উঠলাম। তার পরেই সাদা ধপধপে মন্দির। দরজা বন্ধ। পুরোহিত নেই। জানলা দিয়ে যা দেখলাম, তা সহজে ভোলার নয়। ধপধপে সাদা ওই মিন্দরের ভেতরে চকচকে কালো পাথরের ২০ ফুট লম্বা মহাবীরের মূর্তি। তার পাশে পাশ্বর্নাথের দুটি কালো পাথরের মূর্তি। জানলার শিকে নাক লাগিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ওই মূর্তি দেখালাম। পরে জানতে পেরেছি, এই জৈন মন্দির ভোজেশ্বরের মন্দিরেরই সমসাময়িক। শুধু তাই নয়, ভোজেশ্বরের মতো, এই মন্দিরও নাকি অসমাপ্ত।
আমাদের ভোপাল ফেরার সময় হয়ে এসেছে। কিছুক্ষণ যেতেই খেয়াল করলাম, যে রাস্তা দিয়ে এসেছি, এটা সে রাস্তা নয়। তবে কি পথ ভুল হল? আরে না, না। এ দিকে বিশাল এক জলাধার আছে, সেটা দেখতে হবে না! হবে বুঝি? যে লেকের গল্প শুনেছিলাম তার তো আর অস্তিত্ব নেই। এ তবে কোন জলাধার? ক্ষেতের মধ্যে এবড়ো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে নাচতে নাচতে গাড়ি চলেছে। চলেছে তো চলেইছে। এত দিনে গন্তব্যের জন্য হা হুতাশ না করে, পথের দৃশ্য উপভোগ করতে শিখেছি। সূর্য একটু একটু রঙ পাল্টাচ্ছে। তবে এখনও সোনালি হওয়ার কোনও চিহ্ন নেই। ধানক্ষেত, গমক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতে মন্দ লাগছে না। তারপর ঠিক যেই মনে হল জলাধার বোধহয় নেই তখনই সাইনবোর্ডে দাহোদ নামটা ভেসে উঠল। সামনে উচু পাড়। ওই তো, বাধ। জলের ধারে দাড়ালাম আমরা। ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে। কিছু লোক ছিপ ফেলে মাছ ধরছে। সামান্য জল ক্যানাল ধরে চলে যাচ্ছে ভেতর দিকে।। চেনা পরিচিত জগৎ থেকে অনেক দূরে, এখানে অনেক শান্তি।
লেকের ধার ঘেষে রাস্তা দিয়ে আমাদের গাড়ি চলল। এ বার সত্যিই সত্যিই ফিরছি। এখনও ভোপাল দেখা বাকি। তবে সে গল্প এ বার নয়।




No comments:

Post a Comment