সিলেটের লাউয়াছড়া, মাধবপুর দেখা হয়েছে। এবার ভাবলাম জৈন্তাপুর ঘুরে আসি।
জৈন্তাপুর সিলেটের একটি প্রাচীন জনপদ। এখানে রয়েছে জৈন্তা রাজবাড়ি, খাসিয়াপাড়া আর সাইট্রাস গবেষণাকেন্দ্র। তা ছাড়া লালাখাল আর জাফলং জৈন্তাপুর থেকে একেবারে কাছে। পাশেই রয়েছে জৈন্তা হিল রিসোর্ট। এর আশপাশের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের সঙ্গে এখানকার ঝরনা আপনাকে মুগ্ধ করবে। খুব কাছে দাঁড়িয়ে মেঘালয়ের উঁচু উঁচু সব পাহাড়।
আমরা জৈন্তাপুরে গিয়ে উঠেছিলাম খাসিয়া আদিবাসীদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সুমেরের বাংলোয়। বাড়িটিতে আমার বন্ধু আরিফ ভাড়ায় থাকেন। প্রথম দেখায় যে কেউ বাড়িটির প্রেমে পড়ে যাবেন। আশপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালিতে ভরা। জাম্বুরা আর কমলাগাছ প্রচুর। তা ছাড়া এখানে বিশাল দুটি পালানগাছ আছে, যেন আকাশছোঁয়া।
এখানকার বাড়িগুলো খুব সুন্দর। প্রতিটি বাড়িতে সুপারি, স্থলপদ্ম আর জবাগাছের দেখা মিলবেই। এখানকার সুপারিগাছে সবাই পানের চাষ করে থাকে। প্রতিটি বাড়ির সামনের অংশ পাথর দিয়ে বাঁধাই করা। অনেকের মতে, এসব পাথরের বয়স প্রায় ২০০ বছর, একেবারে জৈন্তা রাজার আমলের।
এখানে পথের ধারে পড়ে আছে বিশাল সব পাথরখণ্ড, যা বহু আগে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এসব একেকটা মেগালিথিক সমাধি। এখানে বলে রাখি, মেগালিথিক হচ্ছে স্থাপনা তৈরির জন্য ব্যবহূত বিশাল সব পাথরখণ্ড। সিমেন্ট ব্যবহার না করে কেবল পাথর দিয়ে তৈরি হয় একেকটা মেগালিথিক, যার নিদর্শন আপনি এই জৈন্তাপুরে এলে দেখতে পাবেন। জৈন্তাপুরের রাজকীয় স্থাপনা বা পুরাকীর্তি আমাদের দেশের পুরাকীর্তিগুলোর একটি। এখানে রয়েছে জৈন্তেশ্বরী বাড়ি বা দরবার হল। বেশির ভাগ মানুষ দরবার হলকেই রাজবাড়ি বলে মনে করে। আমরা দরবার হল, রাজবাড়ি আর বটতলা ঘুরে দেখে চলে যাই কাছের সাইট্রাস গবেষণাকেন্দ্রে। প্রতিদিন এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় জমে। আমরা ভেতরে মসলা গবেষণাকেন্দ্র ঘুরে দেখি। এখানে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দেখে সোজা পথে সামনে চলে যাই। এই পথ ধরে সামনে গেলে মেঘালয় দেখা যায়। যত সামনে যাই, মেঘালয় তত স্পষ্ট হয়।
সাইট্রাস গবেষণাকেন্দ্রের শেষ সীমানা থেকে একেবারে কাছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। এপাশ থেকে স্পষ্ট দেখা যায় ভারতের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। দেখা যায় বেশ কিছু পাহাড়ি ঝরনা আর মেঘেদের খেলা। এবার তারা খেলা শুরু করে দিল আমাদের সঙ্গেই। ঝিরিঝিরি ধারায় ভেজাল আমাদের। এদিনের মতো তাই পা বাড়ালাম ফেরার পথে।
দরকারি তথ্য
ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে সিলেট। সিলেট থেকে এক ঘণ্টার পথ জৈন্তাপুর। বাস, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মাইক্রোবাসে চড়ে জৈন্তাপুর চলে যেতে পারেন। উঠতে পারেন জৈন্তা হিল রিসোর্টে অথবা কাছের নলজুড়িতে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয়। আগে থেকেই বুকিং দিয়ে যেতে হবে ডাকবাংলোয়। আর যদি পরিচিত কেউ জৈন্তাপুরে থাকে, তাহলে খাসিয়াদের বাড়িতেও ভাড়ায় থাকতে পারবেন। জৈন্তাপুর, কাছের গুচ্ছগ্রাম, লালাখাল, জাফলং বেড়িয়ে আসতে ভুলবেন না। আর মনে রাখবেন, জৈন্তা হিল রিসোর্টের গোধূলিবেলাটা কিন্তু অসাধারণ!
জৈন্তাপুর সিলেটের একটি প্রাচীন জনপদ। এখানে রয়েছে জৈন্তা রাজবাড়ি, খাসিয়াপাড়া আর সাইট্রাস গবেষণাকেন্দ্র। তা ছাড়া লালাখাল আর জাফলং জৈন্তাপুর থেকে একেবারে কাছে। পাশেই রয়েছে জৈন্তা হিল রিসোর্ট। এর আশপাশের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের সঙ্গে এখানকার ঝরনা আপনাকে মুগ্ধ করবে। খুব কাছে দাঁড়িয়ে মেঘালয়ের উঁচু উঁচু সব পাহাড়।
আমরা জৈন্তাপুরে গিয়ে উঠেছিলাম খাসিয়া আদিবাসীদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সুমেরের বাংলোয়। বাড়িটিতে আমার বন্ধু আরিফ ভাড়ায় থাকেন। প্রথম দেখায় যে কেউ বাড়িটির প্রেমে পড়ে যাবেন। আশপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালিতে ভরা। জাম্বুরা আর কমলাগাছ প্রচুর। তা ছাড়া এখানে বিশাল দুটি পালানগাছ আছে, যেন আকাশছোঁয়া।
এখানকার বাড়িগুলো খুব সুন্দর। প্রতিটি বাড়িতে সুপারি, স্থলপদ্ম আর জবাগাছের দেখা মিলবেই। এখানকার সুপারিগাছে সবাই পানের চাষ করে থাকে। প্রতিটি বাড়ির সামনের অংশ পাথর দিয়ে বাঁধাই করা। অনেকের মতে, এসব পাথরের বয়স প্রায় ২০০ বছর, একেবারে জৈন্তা রাজার আমলের।
এখানে পথের ধারে পড়ে আছে বিশাল সব পাথরখণ্ড, যা বহু আগে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এসব একেকটা মেগালিথিক সমাধি। এখানে বলে রাখি, মেগালিথিক হচ্ছে স্থাপনা তৈরির জন্য ব্যবহূত বিশাল সব পাথরখণ্ড। সিমেন্ট ব্যবহার না করে কেবল পাথর দিয়ে তৈরি হয় একেকটা মেগালিথিক, যার নিদর্শন আপনি এই জৈন্তাপুরে এলে দেখতে পাবেন। জৈন্তাপুরের রাজকীয় স্থাপনা বা পুরাকীর্তি আমাদের দেশের পুরাকীর্তিগুলোর একটি। এখানে রয়েছে জৈন্তেশ্বরী বাড়ি বা দরবার হল। বেশির ভাগ মানুষ দরবার হলকেই রাজবাড়ি বলে মনে করে। আমরা দরবার হল, রাজবাড়ি আর বটতলা ঘুরে দেখে চলে যাই কাছের সাইট্রাস গবেষণাকেন্দ্রে। প্রতিদিন এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় জমে। আমরা ভেতরে মসলা গবেষণাকেন্দ্র ঘুরে দেখি। এখানে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দেখে সোজা পথে সামনে চলে যাই। এই পথ ধরে সামনে গেলে মেঘালয় দেখা যায়। যত সামনে যাই, মেঘালয় তত স্পষ্ট হয়।
সাইট্রাস গবেষণাকেন্দ্রের শেষ সীমানা থেকে একেবারে কাছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। এপাশ থেকে স্পষ্ট দেখা যায় ভারতের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। দেখা যায় বেশ কিছু পাহাড়ি ঝরনা আর মেঘেদের খেলা। এবার তারা খেলা শুরু করে দিল আমাদের সঙ্গেই। ঝিরিঝিরি ধারায় ভেজাল আমাদের। এদিনের মতো তাই পা বাড়ালাম ফেরার পথে।
দরকারি তথ্য
ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে সিলেট। সিলেট থেকে এক ঘণ্টার পথ জৈন্তাপুর। বাস, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মাইক্রোবাসে চড়ে জৈন্তাপুর চলে যেতে পারেন। উঠতে পারেন জৈন্তা হিল রিসোর্টে অথবা কাছের নলজুড়িতে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয়। আগে থেকেই বুকিং দিয়ে যেতে হবে ডাকবাংলোয়। আর যদি পরিচিত কেউ জৈন্তাপুরে থাকে, তাহলে খাসিয়াদের বাড়িতেও ভাড়ায় থাকতে পারবেন। জৈন্তাপুর, কাছের গুচ্ছগ্রাম, লালাখাল, জাফলং বেড়িয়ে আসতে ভুলবেন না। আর মনে রাখবেন, জৈন্তা হিল রিসোর্টের গোধূলিবেলাটা কিন্তু অসাধারণ!
No comments:
Post a Comment