যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে মন চায় একটুখানি শান্তির পরশ।
চড়ুইভাতি হতে পারে সেই শান্তির জাদুর কাঠি; যার পরশে ভুলে যেতে পারেন
ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি। বছরের এই সময়টায় চড়ুইভাতি বা পিকনিক জমে ভালো।
পারিবারিক বনভোজন কিংবা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পিকনিক—যেমনটিই হোক
না কেন, আনন্দের পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি জিনিসগুলোর
কথাও। নয়তো আপনার সাধের বনভোজন হয়ে উঠতে পারে নিরানন্দের।
আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরুন চড়ুইভাতির দিন। সকালে গরম কাপড় পরে বের হলেন, কিন্তু বেলা বাড়তে রোদ উঠতেই দেখা গেল গরম লাগছে। এ জন্য কয়েক স্তরে পোশাক পরুন। যেমন সোয়েটারের নিচে পাতলা টি-শার্ট পরতে পারেন, যাতে পরে সোয়েটার খুলে ফেলতে পারেন। খুব ভোরে বের হলে মাথার টুপি, হাত ও পায়ের মোজা নিতে পারেন। জুতাটা যেন নরম ও আরামদায়ক হয়। এদিনের সাজটি হওয়া উচিত ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী। তবে ত্বকের ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। পিকনিকে যেখানেই যান না কেন, ভ্রমণ তো করতেই হয়। আর ভ্রমণে ত্বকের লোমকূপগুলোতে জমে ধুলোবালু। তাই সঙ্গে নিন ফেসওয়াশ। শীতকালের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে পরতে পারেন রোদচশমা বা সানগ্লাস। আর রোদে সঙ্গে নিতে পারেন একটি হালকা ফোল্ডিং ছাতাও। ফেসিয়াল টিস্যু, ছোট্ট একটি আয়না, চিরুনি, ময়েশ্চারাইজার আর ভ্যাসলিনের মতো টুকিটাকি জিনিসগুলো একটি বড় ব্যাগে করে নিতে পারেন। ইদানীং পাটের তৈরি ব্যাগ বেশ জনপ্রিয়। তা ছাড়া কাপড় বা চামড়ার ব্যাগও নিতে পারেন। বড় ব্যাগ পাবেন ১৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। বাজেট বেশি হলে কিনতে পারেন চামড়ার ব্যাগও।
পিকনিক স্পটে বসার জন্য নিতে পারেন একটি প্লাস্টিক চাদর বা সুতির কাপড়। কিংবা নিতে পারেন কাপড় বা প্লাস্টিকের ফোল্ডিং চেয়ারও। আরাম কেদারায় আয়েশ করে বসে প্রকৃতির দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে কার না ভালো লাগে। আবার খাওয়াদাওয়া বা চেয়ার সিটিং খেলার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন চেয়ার। কাপড়ের ফোল্ডিং চেয়ার বেশ হালকা। চারটি ধাতব রডের সঙ্গে মোটা কাপড় বসিয়ে তৈরি করা হয় এ ধরনের চেয়ার। এগুলোকে ভাঁজ করলে কেবল চারটি রডের জায়গা দখল করে। ফলে সহজেই ভাঁজ করে গাড়ির এক কোণে রেখে নিয়ে যেতে পারেন পিকনিক স্পটে। এসব চেয়ার পাবেন এক হাজার থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে। প্লাস্টিক বা কাঠের ফোল্ডিং চেয়ারও সহজে বহনযোগ্য। একটু ভারী হলেও স্টিলের ফোল্ডিং চেয়ার বেশ মজবুত। এগুলো পাবেন ৭৫০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। চেয়ারের পরিবর্তে নিতে পারেন প্লাস্টিক বা রডের টুলও। প্লাস্টিকের টুল ৭৫ থেকে ৬০০ টাকা আর রডের টুল পাবেন ৩০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। ঢাকার পান্থপথ কিংবা গুলশান ডিসিসি মার্কেটে একটু ঘুরলেই পাবেন আপনার পছন্দের ফোল্ডিং চেয়ার।
পিকনিকে ছোট্ট সোনামণিদের জন্য চাই একটু বাড়তি যত্ন। স্কুলের ভারী ব্যাগ আর নিত্যদিনের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে চড়ুইভাতিতে মাত্র একটি দিনের আনন্দ। তাই তাদের পছন্দের খেলনা যেমন—ব্যাট, বল, গাড়ি, পুতুল নিতে ভুলবেন না। ইদানীং ছোট সোনামণিদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বাতাস দিয়ে ফোলানো প্লাস্টিকের ছোট চেয়ার। বাতাস বের করে দিলে এই চেয়ার একটি ভাঁজ করা টেবিল ক্লথের জায়গা দখল করে মাত্র। ফলে সহজেই পিকনিক স্পটে নিয়ে পাম্পার দিয়ে ফুলিয়ে এটিকে চেয়ার আকৃতিতে নিয়ে আসতে পারেন। এ ধরনের চেয়ার পাবেন ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, গুলশানের ডিসিসি মার্কেটে এসব চেয়ার পাবেন। ছোটদের পোশাক এমন হওয়া উচিত যেন তারা ছোটাছুটি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আর বাচ্চারা যেহেতু ভারী খাবার খেতে পারে না, তাই তাদের খাবার বাড়ি থেকেই তৈরি করে নিন। যেহেতু সারা দিনের ঝক্কি, তাই বাচ্চাদের ডায়াপার সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
সুন্দর জায়গার সুন্দর মুহূর্তগুলো কে না চায় ফ্রেমবন্দী করে রাখতে। তাই এত কিছুর পর যদি ছবি তোলার ক্যামেরাটাই সঙ্গে নিতে ভুলে যান, তাহলে পিকনিকের পুরো আনন্দটাই ফিকে হয়ে যেতে পারে। আবার সাউন্ড বক্স আর মাইক্রোফোন না থাকলে পিকনিকটা ঠিক জমজমাট হয় না। তাই এ দুটো জিনিসের ব্যাপারেও সচেতন থাকা উচিত।
অনেকেই পিকনিকের ভ্রমণটা ঠিক উপভোগ করেন না। তাঁরা সঙ্গে নিতে পারেন কিছু জোকস বা হালকা ধরনের বই। মাথাব্যথা বা বমির আশঙ্কা থাকলে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে নিয়ে নিন একটি ফার্স্ট এইডের বক্স। এ ছাড়া পানির বোতল, বিস্কুট কিংবা চিপসের মতো কিছু শুকনো খাবার রেখে দিতে পারেন ব্যাগে। পিকনিক থেকে ফিরতে সাধারণত রাত হয়। তাই ব্যাগে একটি ছোট্ট টর্চলাইটও রাখুন। আর সঙ্গে রাখুন পরিচয়পত্রটি।
শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ছুটি নিন। হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে।
সঙ্গে নিতে পারেন
সানগ্লাস মাথার টুপি হাত ও পায়ের মোজা নরম জুতা ফেসওয়াশ ফোল্ডিং ছাতা ফেসিয়াল টিস্যু ছোট আয়না চিরুনি ময়েশ্চারাইজার বড় ব্যাগ প্লাস্টিকের চাদর বা সুতির কাপড় ফোল্ডিং চেয়ার ছোটদের খেলনা পাম্পার দিয়ে ফোলানো চেয়ার বাচ্চাদের ডায়াপার বাচ্চাদের খাবার ক্যামেরা সাউন্ড বক্স মাইক্রোফোন জোকস বা হালকা ধরনের বই পানির বোতল শুকনো খাবার টর্চলাইট ফার্স্ট এইড বক্স পরিচয়পত্র।
আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরুন চড়ুইভাতির দিন। সকালে গরম কাপড় পরে বের হলেন, কিন্তু বেলা বাড়তে রোদ উঠতেই দেখা গেল গরম লাগছে। এ জন্য কয়েক স্তরে পোশাক পরুন। যেমন সোয়েটারের নিচে পাতলা টি-শার্ট পরতে পারেন, যাতে পরে সোয়েটার খুলে ফেলতে পারেন। খুব ভোরে বের হলে মাথার টুপি, হাত ও পায়ের মোজা নিতে পারেন। জুতাটা যেন নরম ও আরামদায়ক হয়। এদিনের সাজটি হওয়া উচিত ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী। তবে ত্বকের ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। পিকনিকে যেখানেই যান না কেন, ভ্রমণ তো করতেই হয়। আর ভ্রমণে ত্বকের লোমকূপগুলোতে জমে ধুলোবালু। তাই সঙ্গে নিন ফেসওয়াশ। শীতকালের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে পরতে পারেন রোদচশমা বা সানগ্লাস। আর রোদে সঙ্গে নিতে পারেন একটি হালকা ফোল্ডিং ছাতাও। ফেসিয়াল টিস্যু, ছোট্ট একটি আয়না, চিরুনি, ময়েশ্চারাইজার আর ভ্যাসলিনের মতো টুকিটাকি জিনিসগুলো একটি বড় ব্যাগে করে নিতে পারেন। ইদানীং পাটের তৈরি ব্যাগ বেশ জনপ্রিয়। তা ছাড়া কাপড় বা চামড়ার ব্যাগও নিতে পারেন। বড় ব্যাগ পাবেন ১৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। বাজেট বেশি হলে কিনতে পারেন চামড়ার ব্যাগও।
পিকনিক স্পটে বসার জন্য নিতে পারেন একটি প্লাস্টিক চাদর বা সুতির কাপড়। কিংবা নিতে পারেন কাপড় বা প্লাস্টিকের ফোল্ডিং চেয়ারও। আরাম কেদারায় আয়েশ করে বসে প্রকৃতির দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে কার না ভালো লাগে। আবার খাওয়াদাওয়া বা চেয়ার সিটিং খেলার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন চেয়ার। কাপড়ের ফোল্ডিং চেয়ার বেশ হালকা। চারটি ধাতব রডের সঙ্গে মোটা কাপড় বসিয়ে তৈরি করা হয় এ ধরনের চেয়ার। এগুলোকে ভাঁজ করলে কেবল চারটি রডের জায়গা দখল করে। ফলে সহজেই ভাঁজ করে গাড়ির এক কোণে রেখে নিয়ে যেতে পারেন পিকনিক স্পটে। এসব চেয়ার পাবেন এক হাজার থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে। প্লাস্টিক বা কাঠের ফোল্ডিং চেয়ারও সহজে বহনযোগ্য। একটু ভারী হলেও স্টিলের ফোল্ডিং চেয়ার বেশ মজবুত। এগুলো পাবেন ৭৫০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। চেয়ারের পরিবর্তে নিতে পারেন প্লাস্টিক বা রডের টুলও। প্লাস্টিকের টুল ৭৫ থেকে ৬০০ টাকা আর রডের টুল পাবেন ৩০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। ঢাকার পান্থপথ কিংবা গুলশান ডিসিসি মার্কেটে একটু ঘুরলেই পাবেন আপনার পছন্দের ফোল্ডিং চেয়ার।
পিকনিকে ছোট্ট সোনামণিদের জন্য চাই একটু বাড়তি যত্ন। স্কুলের ভারী ব্যাগ আর নিত্যদিনের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে চড়ুইভাতিতে মাত্র একটি দিনের আনন্দ। তাই তাদের পছন্দের খেলনা যেমন—ব্যাট, বল, গাড়ি, পুতুল নিতে ভুলবেন না। ইদানীং ছোট সোনামণিদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বাতাস দিয়ে ফোলানো প্লাস্টিকের ছোট চেয়ার। বাতাস বের করে দিলে এই চেয়ার একটি ভাঁজ করা টেবিল ক্লথের জায়গা দখল করে মাত্র। ফলে সহজেই পিকনিক স্পটে নিয়ে পাম্পার দিয়ে ফুলিয়ে এটিকে চেয়ার আকৃতিতে নিয়ে আসতে পারেন। এ ধরনের চেয়ার পাবেন ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, গুলশানের ডিসিসি মার্কেটে এসব চেয়ার পাবেন। ছোটদের পোশাক এমন হওয়া উচিত যেন তারা ছোটাছুটি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আর বাচ্চারা যেহেতু ভারী খাবার খেতে পারে না, তাই তাদের খাবার বাড়ি থেকেই তৈরি করে নিন। যেহেতু সারা দিনের ঝক্কি, তাই বাচ্চাদের ডায়াপার সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
সুন্দর জায়গার সুন্দর মুহূর্তগুলো কে না চায় ফ্রেমবন্দী করে রাখতে। তাই এত কিছুর পর যদি ছবি তোলার ক্যামেরাটাই সঙ্গে নিতে ভুলে যান, তাহলে পিকনিকের পুরো আনন্দটাই ফিকে হয়ে যেতে পারে। আবার সাউন্ড বক্স আর মাইক্রোফোন না থাকলে পিকনিকটা ঠিক জমজমাট হয় না। তাই এ দুটো জিনিসের ব্যাপারেও সচেতন থাকা উচিত।
অনেকেই পিকনিকের ভ্রমণটা ঠিক উপভোগ করেন না। তাঁরা সঙ্গে নিতে পারেন কিছু জোকস বা হালকা ধরনের বই। মাথাব্যথা বা বমির আশঙ্কা থাকলে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে নিয়ে নিন একটি ফার্স্ট এইডের বক্স। এ ছাড়া পানির বোতল, বিস্কুট কিংবা চিপসের মতো কিছু শুকনো খাবার রেখে দিতে পারেন ব্যাগে। পিকনিক থেকে ফিরতে সাধারণত রাত হয়। তাই ব্যাগে একটি ছোট্ট টর্চলাইটও রাখুন। আর সঙ্গে রাখুন পরিচয়পত্রটি।
শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ছুটি নিন। হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে।
সঙ্গে নিতে পারেন
সানগ্লাস মাথার টুপি হাত ও পায়ের মোজা নরম জুতা ফেসওয়াশ ফোল্ডিং ছাতা ফেসিয়াল টিস্যু ছোট আয়না চিরুনি ময়েশ্চারাইজার বড় ব্যাগ প্লাস্টিকের চাদর বা সুতির কাপড় ফোল্ডিং চেয়ার ছোটদের খেলনা পাম্পার দিয়ে ফোলানো চেয়ার বাচ্চাদের ডায়াপার বাচ্চাদের খাবার ক্যামেরা সাউন্ড বক্স মাইক্রোফোন জোকস বা হালকা ধরনের বই পানির বোতল শুকনো খাবার টর্চলাইট ফার্স্ট এইড বক্স পরিচয়পত্র।
No comments:
Post a Comment