Saturday, July 19, 2014

উত্তরবঙ্গ ‘বনানী’র বন্যতা

এক দিকে গরুমারা, অন্য দিকে খুনিয়া। ঠিক মাঝখানে ‘বনানী’। মূর্তির বনবাংলো। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মূর্তি নদী। দোতলার ব্যালকনিতে চুপচাপ বসে মোহময়ী মূর্তির চঞ্চলতা, আরণ্যক সৌন্দর্য, জলের কলকল শব্দ শুনলে মন কেমন করবেই। বুনো হাতির জলক্রীড়াও চোখে পড়তে পারে। দিন কাটানো যায় পাখির গান শুনেও।
মূর্তিতেই তৈরি হয়েছে কিশোর কিশোরীদের জন্য মূর্তি ক্যাম্প। দল বেধে সেখানে থাকা, প্রকৃতি বীক্ষণের সুযোগ হাতছাড়া না করাই ভাল। দেখাশোনার সব দায়িত্ব বন দফতরের।
মূর্তি থেকে বেড়ানো যায় খুনিয়ার চন্দ্রচূড় মিনার, চাপড়ামারি বনবাংলো, ঈগল নজরমিনার, ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্প, কুমাই, ঝালং, বিন্দু, রকি আইল্যাণ্ড। খোজখবর করে ডুয়ার্সের আরও অনেক নাম না জানা জায়গায় যাওয়া যেতে পারে মূর্তি থেকেই। ফেরার সময়ে বাতাবাড়ি চা বাগান, গরুমারায় যাত্রাপ্রসাদ টাওয়ার দেখতে ভুলবেন না।
যাতায়াত
শিলিগুড়ি থেকে মূর্তি ৮০ কিলোমিটার। শিলিগুড়ির মিত্তাল টার্মিনাস থেকে বাসে চালসা। সেখান থেকে জিপ বা ট্রেকার ভাড়া করা যায়। এন জে পি ও শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া নিয়েও যাওয়া যায়।
আস্তানা
– ১৫ই জুন থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর জঙ্গল বন্ধ। এই সময়টুকু ছাড়া সারা বছরই দরজা খোলা মূর্তি বনবাংলোর। সুসজ্জিত ৯টি দ্বিশয্যার ঘর ছাড়াও এখানে আছে জঙ্গল ও নদীমুখো ২টি কটেজ। এই মনোরম পরিবেশে কয়েকটা ছুটির দিন কাটাতে গেলে আগাম বুকিং করতে হবে। মনে রাখা দরকার, এপ্রিল-মে এবং অেক্টাবর-নভেম্বর মাসে পর্যটক সমাগম বাড়ে।
– এই বনবাংলো ছাড়াও রয়েছে ছোট মাপের কটেজ রেতি ও ডায়ানা। হালে আরও একটি কটেজ তৈরি করেছে বন দফতর।
— সরকারি উদ্যোগ ছাড়া মূর্তিতে এখন উত্তর ধূপঝোরার গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালিত মূর্তি পর্যটন আবাস, বনশ্রী, ডুয়ার্স নেস্ট, মূর্তি রিভার বেডের মতো জায়গায় থাকা খাওয়ার
ব্যবস্থা। যোগাযোগ:
বীরেন রায়, উত্তর ধূপঝোরা,
ফোন: ৯৭৩৩১ ৫৭৮৩৮
এবং
পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম
নিগমের ফোন: ০৩৫৩ ২৫১৬৩০৬।
অন লাইন বুকিং করতে হলে: www.wbtourism.com
আশেপাশে
মূর্তির কাছাকাছি বেশ কয়েকটি দর্শনীয় জায়গা আছে। এর মধ্যে ঘুরে আসা যায়:
– ১০ কিলোমিটার দূরের খুনিয়া নজরমিনার। এখানে দাড়িয়ে দেখা মিলতে পারে বন্য জন্তুর।
– জলদাপাড়া অভয়ারণ্য।
– ১৫ কিলোমিটার দূরের গরুমারা অভয়ারণ্য।
– ৬ কিলোমিটার দূরের চাপড়ামাড়ি অভয়ারণ্য।

No comments:

Post a Comment