সোনামুখী বনবাংলো থেকে রাঙামাটির আকাবাকা সামান্য পথ পেরোলেই বেলডাঙা।
জঙ্গল লাগোয়া ছোট্ট ড্যাম। সেখানেই একটা জলাশয়কে ঘিরে রয়েছে বেলডাঙা
প্রকৃতি উদ্যান। সেপ্টেম্বরে দলমা পাহাড় থেকে খাবার জলের সন্ধানে কখনও কখনও
হাতির পাল নেমে আসে এই জঙ্গলে, এই জলাশয়ে।
হিস্ত দর্শন যদি নাও হয়, বাচ্চাদের নিয়ে প্যাডেল বোটে জলে ভাসুন। তারপর সেন্ধ নামার আগেই হাটা পথে অথবা গাড়িতে ফিরুন বাংলোয়। রাত যত গাঢ় হবে শোনা যাবে হায়না বা শেয়ালের ডাক। গাছের পাতার খসখস শেব্দ মালুম হবে আরও কত বন্য জন্তুর আনাগোনা। দিনের বেলায় ওই গভীর অরণ্যের সঙ্গে যখন হবে আপনার ঘনিষ্ঠ মিতালি, চোখে পড়তেও পারে ময়ূর অথবা হরিণ। দুপাশে অরণ্য মোড়া কালো পিচ রাস্তা ফুড়ে ছুটে যায় নেউল, সাদা খরগোশ।
বিস্তৃত শাল জঙ্গলকে ঘিরে কত না গাছগাছালি। বট, অশ্বত্থ, আম, জাম, শিমুল। পায়ের কাছে লজ্জাবতী লতা। তিনটে দিন সবুজ প্রান্তে এমন ভ্রমণ ভাল লাগার কথা। যদি পূর্ণিমার সময় হিসেব কষে আসা হয় তা হলে তো কথাই নেই। মাথার ওপরে সবুজ দিগেন্ত আলো ঠিকরে দেওয়া এক টুকরো চাদ। বাংলোর বারান্দা থেকে তার রূপ আস্বাদন করা যাবে অনেক রাত পর্যন্ত।
যাতায়াত
– হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে বর্ধমান। সেখান থেকে বাকুড়ার বাস ধরে সোনামুখী।
– সরাসরি সোনামুখীর বাসও পাওয়া যায়। জনপ্রতি হাওড়া থেকে ভাড়া পড়বে ৪০ টাকা।
আস্তানা
– সোনামুখী রেেঞ্জর বনবাংলো
ডি এফ ও, বাকুড়া (উত্তর)
ফোন: ০৩২৪২-২৫০৭৫৮
৩ জনের দৈনিক ভাড়া ৪০০ টাকা। এক জন চৌকিদার আছেন। তাকে খরচপাতি দিলে রান্নার ব্যবস্থা করে দেন।
– সোনামুখী পুর আবাসিক ভবন
ম্যানেজার, সোনামুখী,
পুর আবাসিক ভবন,
ফোন: ০৩২৪৪-২৭৫৯৬০
সেখানে ডবল বেড রয়েছে ৮টি। ভাড়া ঘর প্রতি ১২৫ টাকা। ডর্মিটরিতে রয়েছে ১০টি বেড। বেডপ্রতি ভাড়া ৪০ টাকা।
খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে সামনেই খাওয়ার হোটেল। দুবেলা সেখানে খেয়ে হোটেলে ঢুকতে হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন নৈঃশব্দ ভ্রমণে সোনামুখী বনবাংলো উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু একান্তে থাকার ব্যবস্থা না হলে সোনামুখী পুর আবাসিক ভবনই ভরসা। তিন দিনের ট্যুরে জনপ্রতি আনুমানিক খরচ ন্যূনতম ৫০০ টাকা। অতএব, বেরিয়ে পড়া যায় কর্মক্লান্ত কলকাতার খুব কাছে বেলডাঙ্গার নিভৃত জঙ্গলে।
আশেপাশে
– সোনামুখী শহরের ভেতরে পচিশ চূড়াযুক্ত টেরাকোটা অলংকৃত শ্রীধর মন্দির। স্থাপিত ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
– ১৮৩৫-এ তৈরি গিরিগোবর্ধন মন্দিরটিও দর্শনীয়।
– জৈন তীর্থঙ্করের মূর্তি সমিন্বত স্বর্ণমুখী দেবীর মন্দির। যার নাম থেকেই সোনামুখী শহরের নামকরণ।
– কোম্পানি আমলের নীলকুঠির ধ্বংসচিহ্ন। রামনবমীতে এখানে মনোহর দাসের মেলা বসে।
জমে ওঠে বাউল আখড়া। এ ছাড়া কালী ও কার্তিক পুজো এখানে এতই বিখ্যাত, সেখানে ঢল নামে মানুষের।
হিস্ত দর্শন যদি নাও হয়, বাচ্চাদের নিয়ে প্যাডেল বোটে জলে ভাসুন। তারপর সেন্ধ নামার আগেই হাটা পথে অথবা গাড়িতে ফিরুন বাংলোয়। রাত যত গাঢ় হবে শোনা যাবে হায়না বা শেয়ালের ডাক। গাছের পাতার খসখস শেব্দ মালুম হবে আরও কত বন্য জন্তুর আনাগোনা। দিনের বেলায় ওই গভীর অরণ্যের সঙ্গে যখন হবে আপনার ঘনিষ্ঠ মিতালি, চোখে পড়তেও পারে ময়ূর অথবা হরিণ। দুপাশে অরণ্য মোড়া কালো পিচ রাস্তা ফুড়ে ছুটে যায় নেউল, সাদা খরগোশ।
বিস্তৃত শাল জঙ্গলকে ঘিরে কত না গাছগাছালি। বট, অশ্বত্থ, আম, জাম, শিমুল। পায়ের কাছে লজ্জাবতী লতা। তিনটে দিন সবুজ প্রান্তে এমন ভ্রমণ ভাল লাগার কথা। যদি পূর্ণিমার সময় হিসেব কষে আসা হয় তা হলে তো কথাই নেই। মাথার ওপরে সবুজ দিগেন্ত আলো ঠিকরে দেওয়া এক টুকরো চাদ। বাংলোর বারান্দা থেকে তার রূপ আস্বাদন করা যাবে অনেক রাত পর্যন্ত।
যাতায়াত
– হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে বর্ধমান। সেখান থেকে বাকুড়ার বাস ধরে সোনামুখী।
– সরাসরি সোনামুখীর বাসও পাওয়া যায়। জনপ্রতি হাওড়া থেকে ভাড়া পড়বে ৪০ টাকা।
আস্তানা
– সোনামুখী রেেঞ্জর বনবাংলো
ডি এফ ও, বাকুড়া (উত্তর)
ফোন: ০৩২৪২-২৫০৭৫৮
৩ জনের দৈনিক ভাড়া ৪০০ টাকা। এক জন চৌকিদার আছেন। তাকে খরচপাতি দিলে রান্নার ব্যবস্থা করে দেন।
– সোনামুখী পুর আবাসিক ভবন
ম্যানেজার, সোনামুখী,
পুর আবাসিক ভবন,
ফোন: ০৩২৪৪-২৭৫৯৬০
সেখানে ডবল বেড রয়েছে ৮টি। ভাড়া ঘর প্রতি ১২৫ টাকা। ডর্মিটরিতে রয়েছে ১০টি বেড। বেডপ্রতি ভাড়া ৪০ টাকা।
খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে সামনেই খাওয়ার হোটেল। দুবেলা সেখানে খেয়ে হোটেলে ঢুকতে হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন নৈঃশব্দ ভ্রমণে সোনামুখী বনবাংলো উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু একান্তে থাকার ব্যবস্থা না হলে সোনামুখী পুর আবাসিক ভবনই ভরসা। তিন দিনের ট্যুরে জনপ্রতি আনুমানিক খরচ ন্যূনতম ৫০০ টাকা। অতএব, বেরিয়ে পড়া যায় কর্মক্লান্ত কলকাতার খুব কাছে বেলডাঙ্গার নিভৃত জঙ্গলে।
আশেপাশে
– সোনামুখী শহরের ভেতরে পচিশ চূড়াযুক্ত টেরাকোটা অলংকৃত শ্রীধর মন্দির। স্থাপিত ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
– ১৮৩৫-এ তৈরি গিরিগোবর্ধন মন্দিরটিও দর্শনীয়।
– জৈন তীর্থঙ্করের মূর্তি সমিন্বত স্বর্ণমুখী দেবীর মন্দির। যার নাম থেকেই সোনামুখী শহরের নামকরণ।
– কোম্পানি আমলের নীলকুঠির ধ্বংসচিহ্ন। রামনবমীতে এখানে মনোহর দাসের মেলা বসে।
জমে ওঠে বাউল আখড়া। এ ছাড়া কালী ও কার্তিক পুজো এখানে এতই বিখ্যাত, সেখানে ঢল নামে মানুষের।
No comments:
Post a Comment