ধ্যপ্রদেশের এক বড় অংশ জুড়ে বহু বছর ধরে যারা বাস করছে, তাদের নাম
গোণ্ড। অনেকের মতে বহুকাল আগে দেশের এই অঞ্চলকে গোণ্ডোয়ানা বলা হত এই
কারণেই। গোণ্ডোয়ানার লোককাহিনীর একখানা বই উল্টেপাল্টে দেখতে দেখতে চোখে
পড়ল ভৈঁসাসুরের কাহিনী; গোণ্ডরা বহু বহু বছর ধরে যেভাবে গল্পটি জেনে এসেছে।
সেই কাহিনীর কিছু অংশের ভাবানুবাদ করা হল।
এক দিন ভগবান গুরু মহাদেওকে বললেন, যাও তো, দেখে এসো সবাই ঠিকমতো খেয়েপরে বেচে আছে কি না।
আসলে সাধারণ মানুষ কেমন আছে তা জানতে ভগবান একটু ব্যস্তই হয়ে পড়েছিলেন। ভগবানের কথা শুনে গুরু মহাদেও তার সোনার লাঠি হাতে নিয়ে পার্বতীকে একখানা চাদর জড়িয়ে নিতে বললেন। তারপর দু’জনে মিলে বেরিয়ে পড়লেন বিশ্ব পরিক্রমায়।
যেতে যেতে তারা এসে পড়লেন এক ক্ষেতের ধারে। ক্ষেতটা হল নাঙ্গা বৈগার এক বংশধরের। সবে ফসল ফলেছে। কাকপক্ষী যাতে সব খেয়ে নষ্ট না করে তাই মাঠের মাঝখানে এক কাকতাড়ুয়াকে দাড় করানো হয়েছে। সেই কাকতাড়ুয়াকে দেখতে অনেকটাই মানুষের মতো। তবে তালপাতার সেপাইয়ের মতো ল্যাকপ্যাকে। একটু হাওয়া দিলেই হাত পা নেড়ে সে একবার এ দিকে একবার ও দিকে ঘুরতে থাকে।
এখন মাঠের মাঝখানে কাকতাড়ুয়াকে ওইভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে পার্বতীর ভারী মায়া হল। ও তো কোনও কাজেরই নয়, বলতে লাগলেন পার্বতী। পাখিদের তাড়া করতে পারে না, ভয় দেখাতে পারে না। ওর তো প্রাণই নেই। তুমি একটা কাজ করো না, ওকে জ্যান্ত করে দাও না গো! এই বলে পার্বতী ঝুলোঝুলি করতে শুরু করলেন।
গুরু মহাদেও কিছুতেই সে কথায় কান দিতে চান না।
ও সব বাজে কথায় সময় নষ্ট না করে চলো না ভগবান যেমন আদেশ করেছেন আমরা তেমন বিশ্ব পরিক্রমা করতে থাকি, বলে পার্বতীকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেলন। কিন্তু পার্বতী ছাড়ার পাত্রী নন।
তুমি তো এখনও পর্যন্ত কোনও কাজই করে উঠতে পারনি। ফিরে গিয়ে ভগবানকে আমরা কী জবাব দেব?
সেই কথা শুনে গুরু মহাদেব তার হাতের বোতল থেকে সঞ্জীবনী নিয়ে কাকতাড়ুয়ার গায়ে ছিটিয়ে দিলেন। অমনি কাকতাড়ুয়া জীবন্ত হয়ে উঠল। মহাদেও তখন সেই কাকতাড়ুয়াকে মাঠের মাঝখানে রেখে ফের চলতে শুরু করলেন।
গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসে প্রথমে কাকতাড়ুয়া দিক দেখে নিল। তারপর হঠাৎ তার মনে হল, প্রাণ তো পেলাম, কিন্তু একটা নাম তো চাই। তড়াক করে লাফিয়ে উঠে দৌড়তে শুরু করল।
দাড়ান! দাড়ান! বলে চিৎকার করতে করতে ছুটল মহাদেওয়ের পিছন পিছন।
কী হল কী? আমার পিছন পিছন ছুটছ কেন? যাও, মাঠে ফিরে যেমন পাহারা দিচ্ছিলে তেমন পাহারা দাও, বলে উঠলেন মহাদেও।
কিন্তু সে তো আর কাকতাড়ুয়া নয়, সে এখন একটা মানুষ, জানতে চায় তার নাম কী?
তোমার নাম ভৈঁসাসুর, বলে উঠলেন মহাদেও। তারপর আবার যেমন যাচ্ছিলেন তেমন চলতে শুরু করলেন।
ভৈঁসাসুর মাঠের মাঝখানে ফিরে গেল। তারপর একটা গাছের তলায় মহা আনেন্দ শুয়ে পড়ল। কিন্তু ঘুম আর আসতে চায় না। মনের মধ্যে একটা কথা ঘুরে ফিরে আসছে: কত বড় একটা নাম আমার। নিশ্চয় অনেক মহিমা, অনেক ক্ষমতা। কিন্তু কতটা ক্ষমতা আমার? খুব জানতে ইচ্ছে করছে যে! একবার কথাটা গুরু মহাদেওকে জিগ্যেস করলে হয় না! এই না ভেবে, তড়াক করে লাফিয়ে উঠে সে চলল ফের মহাদেবের খোজে।
ও মহাদেও দাড়ান, দাড়ান, বলে দৌড়তে লাগল।
মহাদেও অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে ফিরে দাড়ালেন।
তুমি আমাকে তখন থেকে এত বিরক্ত করছ কেন? জান না আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে?
তখন ভৈঁসাসুর বলল, আমাকে প্রকাণ্ড একটা নাম তো দিলেন, কিন্তু নামের মানে বলে দিলেন না! তা হলে কি ধরে নেব আমার নামের কোনও শক্তিই নেই? আমার কী কী ক্ষমতা আছে যদি বলে না দেবেন তা হলে আমাকে মিথ্যে মিথ্যে জীবনই বা দিতে গেলেন কেন?
তখন মহাদেও তাকে একটা বর দিলেন।
কোনও জীবন্ত মানুষ বা প্রাণীর মাথায় হাত রাখলে তা সঙ্গে সঙ্গে ছাই হয়ে যাবে, বললেন তিনি।
সেই কথা শুনে ভৈঁসাসুর তো মহা খুশি হয়ে মাঠে ফিরে গেল। যেতে যেতে হঠাৎ কী খেয়াল হওয়ায় দাড়িয়ে গেল।
মহাদেওয়ের বউটিকে ভারী সুন্দর দেখতে, মনে মনে ভাবল ভৈঁসাসুর। আচ্ছা একটা কাজ করলে হয় না, আমি যদি মহাদেওয়ের মাথায় হাত রেখে তাকে ভস্ম করে দিই, তা হলে তো আমি পার্বতীকে বিয়ে করে ফেলতে পারি। এই কথা যেই মাথায় এল অমনি ভৈঁসাসুর খুব ডাকাডাকি করতে করতে ফের মহাদেওয়ের পিছন পিছন দৌড়তে শুরু করল।
এ তো আচ্ছা বিপদে পড়া গেল, বলে ওঠেন মহাদেও। এ বার কী চাই? বলে ভৈঁসাসুরের দিকে তাকাতে গিয়ে দেখলেন, সে ব্যাটা তার মাথায় হাত রাখার জন্যে ধেয়ে আসছে।
আরে, করো কী, বলে উঠলেন মহাদেও, আমার মাথায় যেন হাত দিয়ো না!
কিন্তু ভৈঁসাসুর কি আর সে কথা শোনে! আরও কাছে চলে এসেছে দেখে অগত্যা মহাদেও ছুটতে শুরু করলেন। তার পিছন পিছন ছুটতে থাকল ভৈঁসাসুর। এইভাবে গোটা পৃথিবী পরিক্রমা করেও ভৈঁসাসুরকে ছাড়াতে পারলেন না মহাদেও।
শেষকালে হাফাতে হাফাতে এসে হাজির হলেন ভগবানের কাছে।
ভগবান মহাদেওকে এইভাবে ছুটে আসতে দেখে তো বেজায় অবাক।
কী ব্যাপার, হল কী? বলে উঠলেন তিনি।
মহা বিপদে পড়েছি, বলে মহদেও সব কথা খুলে বললেন।
সব শুনে ভগবান বললেন, এ এমন কিছু নয়। যাও, তুমি আর পার্বতী লুকিয়ে পড়ো, আমি দেখছি কী করা যায়।
ভগবানের কথা মতো পার্বতীকে নিয়ে মহাদেও লুকিয়ে পড়লেন। আর ভগবান পার্বতীর রূপ ধরে ভৈঁসাসুরের সামনে এসে দাড়ালেন।
আপনি এত জোরে দৌড়চ্ছেন কেন? জিেজ্ঞ্যস করলেন ভৈঁসাসুরকে।
আমি গুরু মহাদেওকে তাড়া করছি, বলল ভৈঁসাসুর।
তখন পার্বতীরূপী ভগবান বললেন, মহাদেও তো ওই নালায় পড়ে মারা গিয়েছেন।
কথা শুনে নেচে উঠল ভৈঁসাসুর।
হ্যা, দেখুন না, আমাকে আর রক্ষা করার কেউ রইল না।
দুঃখ করো না, বলল ভৈঁসাসুর, আমি তোমাকে বিয়ে করব, তোমাকে রক্ষা করব।
তারপর পার্বতীবেশী ভগবানকে তার বাড়িতে নিয়ে গেল। সেখানে খাওয়াদাওয়া সেরে শোয়ার ব্যবস্থা করছে, এমন সময় পার্বতীরূপী ভগবান বলে উঠলেন, এই ভাবে তো শোয়া যাবে না। প্রত্যেক রাতে শুতে আসার আগে মহাদেও খুব জোরে জোরে নিজের হাত পা মাথা মালিশ করে নিতেন, তার পরেই শুতে আসতেন। আপনাকেও তো তাই করতে হবে।
বেশ তাই হবে, বলে উঠল ভৈঁসাসুর।
তারপর যেই না মালিশ করতে নিজের মাথায় হাত রেখেছে অমনি ভৈঁসাসুর একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
ভগবান তখন তার স্বরূপ ধারণ করে ডেকে উঠলেন, মহাদেও, বেরিয়ে এসো, আর ভয় নেই। ভৈঁসাসুর মরে গিয়েছে।
এক দিন ভগবান গুরু মহাদেওকে বললেন, যাও তো, দেখে এসো সবাই ঠিকমতো খেয়েপরে বেচে আছে কি না।
আসলে সাধারণ মানুষ কেমন আছে তা জানতে ভগবান একটু ব্যস্তই হয়ে পড়েছিলেন। ভগবানের কথা শুনে গুরু মহাদেও তার সোনার লাঠি হাতে নিয়ে পার্বতীকে একখানা চাদর জড়িয়ে নিতে বললেন। তারপর দু’জনে মিলে বেরিয়ে পড়লেন বিশ্ব পরিক্রমায়।
যেতে যেতে তারা এসে পড়লেন এক ক্ষেতের ধারে। ক্ষেতটা হল নাঙ্গা বৈগার এক বংশধরের। সবে ফসল ফলেছে। কাকপক্ষী যাতে সব খেয়ে নষ্ট না করে তাই মাঠের মাঝখানে এক কাকতাড়ুয়াকে দাড় করানো হয়েছে। সেই কাকতাড়ুয়াকে দেখতে অনেকটাই মানুষের মতো। তবে তালপাতার সেপাইয়ের মতো ল্যাকপ্যাকে। একটু হাওয়া দিলেই হাত পা নেড়ে সে একবার এ দিকে একবার ও দিকে ঘুরতে থাকে।
এখন মাঠের মাঝখানে কাকতাড়ুয়াকে ওইভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে পার্বতীর ভারী মায়া হল। ও তো কোনও কাজেরই নয়, বলতে লাগলেন পার্বতী। পাখিদের তাড়া করতে পারে না, ভয় দেখাতে পারে না। ওর তো প্রাণই নেই। তুমি একটা কাজ করো না, ওকে জ্যান্ত করে দাও না গো! এই বলে পার্বতী ঝুলোঝুলি করতে শুরু করলেন।
গুরু মহাদেও কিছুতেই সে কথায় কান দিতে চান না।
ও সব বাজে কথায় সময় নষ্ট না করে চলো না ভগবান যেমন আদেশ করেছেন আমরা তেমন বিশ্ব পরিক্রমা করতে থাকি, বলে পার্বতীকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেলন। কিন্তু পার্বতী ছাড়ার পাত্রী নন।
তুমি তো এখনও পর্যন্ত কোনও কাজই করে উঠতে পারনি। ফিরে গিয়ে ভগবানকে আমরা কী জবাব দেব?
সেই কথা শুনে গুরু মহাদেব তার হাতের বোতল থেকে সঞ্জীবনী নিয়ে কাকতাড়ুয়ার গায়ে ছিটিয়ে দিলেন। অমনি কাকতাড়ুয়া জীবন্ত হয়ে উঠল। মহাদেও তখন সেই কাকতাড়ুয়াকে মাঠের মাঝখানে রেখে ফের চলতে শুরু করলেন।
গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসে প্রথমে কাকতাড়ুয়া দিক দেখে নিল। তারপর হঠাৎ তার মনে হল, প্রাণ তো পেলাম, কিন্তু একটা নাম তো চাই। তড়াক করে লাফিয়ে উঠে দৌড়তে শুরু করল।
দাড়ান! দাড়ান! বলে চিৎকার করতে করতে ছুটল মহাদেওয়ের পিছন পিছন।
কী হল কী? আমার পিছন পিছন ছুটছ কেন? যাও, মাঠে ফিরে যেমন পাহারা দিচ্ছিলে তেমন পাহারা দাও, বলে উঠলেন মহাদেও।
কিন্তু সে তো আর কাকতাড়ুয়া নয়, সে এখন একটা মানুষ, জানতে চায় তার নাম কী?
তোমার নাম ভৈঁসাসুর, বলে উঠলেন মহাদেও। তারপর আবার যেমন যাচ্ছিলেন তেমন চলতে শুরু করলেন।
ভৈঁসাসুর মাঠের মাঝখানে ফিরে গেল। তারপর একটা গাছের তলায় মহা আনেন্দ শুয়ে পড়ল। কিন্তু ঘুম আর আসতে চায় না। মনের মধ্যে একটা কথা ঘুরে ফিরে আসছে: কত বড় একটা নাম আমার। নিশ্চয় অনেক মহিমা, অনেক ক্ষমতা। কিন্তু কতটা ক্ষমতা আমার? খুব জানতে ইচ্ছে করছে যে! একবার কথাটা গুরু মহাদেওকে জিগ্যেস করলে হয় না! এই না ভেবে, তড়াক করে লাফিয়ে উঠে সে চলল ফের মহাদেবের খোজে।
ও মহাদেও দাড়ান, দাড়ান, বলে দৌড়তে লাগল।
মহাদেও অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে ফিরে দাড়ালেন।
তুমি আমাকে তখন থেকে এত বিরক্ত করছ কেন? জান না আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে?
তখন ভৈঁসাসুর বলল, আমাকে প্রকাণ্ড একটা নাম তো দিলেন, কিন্তু নামের মানে বলে দিলেন না! তা হলে কি ধরে নেব আমার নামের কোনও শক্তিই নেই? আমার কী কী ক্ষমতা আছে যদি বলে না দেবেন তা হলে আমাকে মিথ্যে মিথ্যে জীবনই বা দিতে গেলেন কেন?
তখন মহাদেও তাকে একটা বর দিলেন।
কোনও জীবন্ত মানুষ বা প্রাণীর মাথায় হাত রাখলে তা সঙ্গে সঙ্গে ছাই হয়ে যাবে, বললেন তিনি।
সেই কথা শুনে ভৈঁসাসুর তো মহা খুশি হয়ে মাঠে ফিরে গেল। যেতে যেতে হঠাৎ কী খেয়াল হওয়ায় দাড়িয়ে গেল।
মহাদেওয়ের বউটিকে ভারী সুন্দর দেখতে, মনে মনে ভাবল ভৈঁসাসুর। আচ্ছা একটা কাজ করলে হয় না, আমি যদি মহাদেওয়ের মাথায় হাত রেখে তাকে ভস্ম করে দিই, তা হলে তো আমি পার্বতীকে বিয়ে করে ফেলতে পারি। এই কথা যেই মাথায় এল অমনি ভৈঁসাসুর খুব ডাকাডাকি করতে করতে ফের মহাদেওয়ের পিছন পিছন দৌড়তে শুরু করল।
এ তো আচ্ছা বিপদে পড়া গেল, বলে ওঠেন মহাদেও। এ বার কী চাই? বলে ভৈঁসাসুরের দিকে তাকাতে গিয়ে দেখলেন, সে ব্যাটা তার মাথায় হাত রাখার জন্যে ধেয়ে আসছে।
আরে, করো কী, বলে উঠলেন মহাদেও, আমার মাথায় যেন হাত দিয়ো না!
কিন্তু ভৈঁসাসুর কি আর সে কথা শোনে! আরও কাছে চলে এসেছে দেখে অগত্যা মহাদেও ছুটতে শুরু করলেন। তার পিছন পিছন ছুটতে থাকল ভৈঁসাসুর। এইভাবে গোটা পৃথিবী পরিক্রমা করেও ভৈঁসাসুরকে ছাড়াতে পারলেন না মহাদেও।
শেষকালে হাফাতে হাফাতে এসে হাজির হলেন ভগবানের কাছে।
ভগবান মহাদেওকে এইভাবে ছুটে আসতে দেখে তো বেজায় অবাক।
কী ব্যাপার, হল কী? বলে উঠলেন তিনি।
মহা বিপদে পড়েছি, বলে মহদেও সব কথা খুলে বললেন।
সব শুনে ভগবান বললেন, এ এমন কিছু নয়। যাও, তুমি আর পার্বতী লুকিয়ে পড়ো, আমি দেখছি কী করা যায়।
ভগবানের কথা মতো পার্বতীকে নিয়ে মহাদেও লুকিয়ে পড়লেন। আর ভগবান পার্বতীর রূপ ধরে ভৈঁসাসুরের সামনে এসে দাড়ালেন।
আপনি এত জোরে দৌড়চ্ছেন কেন? জিেজ্ঞ্যস করলেন ভৈঁসাসুরকে।
আমি গুরু মহাদেওকে তাড়া করছি, বলল ভৈঁসাসুর।
তখন পার্বতীরূপী ভগবান বললেন, মহাদেও তো ওই নালায় পড়ে মারা গিয়েছেন।
কথা শুনে নেচে উঠল ভৈঁসাসুর।
হ্যা, দেখুন না, আমাকে আর রক্ষা করার কেউ রইল না।
দুঃখ করো না, বলল ভৈঁসাসুর, আমি তোমাকে বিয়ে করব, তোমাকে রক্ষা করব।
তারপর পার্বতীবেশী ভগবানকে তার বাড়িতে নিয়ে গেল। সেখানে খাওয়াদাওয়া সেরে শোয়ার ব্যবস্থা করছে, এমন সময় পার্বতীরূপী ভগবান বলে উঠলেন, এই ভাবে তো শোয়া যাবে না। প্রত্যেক রাতে শুতে আসার আগে মহাদেও খুব জোরে জোরে নিজের হাত পা মাথা মালিশ করে নিতেন, তার পরেই শুতে আসতেন। আপনাকেও তো তাই করতে হবে।
বেশ তাই হবে, বলে উঠল ভৈঁসাসুর।
তারপর যেই না মালিশ করতে নিজের মাথায় হাত রেখেছে অমনি ভৈঁসাসুর একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
ভগবান তখন তার স্বরূপ ধারণ করে ডেকে উঠলেন, মহাদেও, বেরিয়ে এসো, আর ভয় নেই। ভৈঁসাসুর মরে গিয়েছে।
No comments:
Post a Comment