চা-বাগানের এমন সবুজ প্রকৃতি মুগ্ধ করবেই এবারের ঈদ কবে হতে পারে, সেটা
হিসাব কষে ভ্রমণপিয়াসীরা বেড়ানোর একটা মোটামুটি ভালো খসড়া দাঁড় করিয়ে ফেলতে
পারেন। কারণ, এবারের ঈদের সঙ্গে যোগ হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটি। অতএব ‘কোথাও
আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা’। বর্ষা কাগজে-কলমে শেষ হলেও এখনো ঝরছে
অবিশ্রাম জলধারা। এই সময়ে প্রকৃতি দেখে বেড়ানোর আনন্দ অন্য রকম। চারদিক
সবুজ আর সবুজ। চলুন এবেলা না হয় যাওয়া যাক বৃষ্টির দেশে, শ্রীমঙ্গলে।
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে যাত্রাবিরতিসহ সময় লাগবে সব মিলিয়ে চার ঘণ্টা। ট্রেন, বাস অথবা নিজস্ব ব্যবস্থায় যেতে পারেন। ছোট্ট এই শহরের আশপাশে কিন্তু দেখার মতো অনেক কিছু আছে। যদি পৌঁছাতে বিকেল বা সন্ধ্যা হয়ে যায়, তাহলে ওই দিনটা আশপাশে টুকটাক ঘুরেফিরেই কাটিয়ে দিতে পারেন। স্টেশনের কাছে নীলকণ্ঠের সাতরঙের চা খেয়ে আসতে পারেন। সঙ্গে নিজস্ব পরিবহন থাকলে তো কথাই নেই। যদি না থাকে তাহলে স্টেশন রোডে গেলেই ভাড়ায় গাড়ি ঠিক করে নিতে পারবেন।
শ্রীমঙ্গল বেড়ানোর প্রথম দিনের আয়োজনে থাকতে পারে দুটি জায়গা। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবপুর হ্রদ। শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক ধরে এগোতে থাকলে কিছুক্ষণ পর আবিষ্কার করবেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বাংলাদেশের রেইন ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত এই লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। এই জঙ্গলে ঢুকে এগোতেই দেখা যাবে একটি রেললাইন। আর এই রেললাইনের ওপার থেকে জঙ্গলের শুরু। কয়েকটি পথে জঙ্গলের ভেতরে ঘুরে আসা যাবে। বিভিন্ন ধরনের গাছের পাশাপাশি এখানে আছে নানা প্রজাতির পাখি। আর তাই বার্ডওয়াচারদের খুব প্রিয় স্থান লাউয়াছড়া। অন্তত তিন ঘণ্টা লাগবে লাউয়াছড়ার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে।
লাউয়াছড়ায় ট্রেকিং শেষ করে যাওয়া যেতে পারে মাধবপুর হ্রদে। কাছাকাছি দূরত্বের মাধবপুর লেকে যেতে যেতেই উপভোগ করবেন চা-বাগানের সৌন্দর্য। রাস্তার দুই ধারে শুধুই চা-বাগান। কোথাও কোথাও দেখা যাবে, চায়ের পাতা তুলছে চা-শ্রমিকেরা। আর মাধবপুর হ্রদে এসে আরেকবার যেন মন ভরে উঠবে বাংলাদেশের নিসর্গ দেখে। হ্রদের স্থির পানিতে ফুটে থাকা অদ্ভুত সুন্দর পদ্ম ফুল মন কেড়ে নেবে। আর হ্রদের পাশে টিলায় উঠলে দেখতে পাবেন, অদূরেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা। লাউয়াছড়া বা মাধবপুর হ্রদ—এই দুই জায়গা লক্ষ্য করে বেরিয়ে পড়তে হবে খুব ভোরবেলায়। সারাটা দিন কোন দিক দিয়ে চলে যাবে, বুঝতেই পারবেন না।
সারা দিনের ধকল শেষ করে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়াটা ভালো। পরের দিন যদি হামহাম ঝরনা দেখতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে বিশ্রাম নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ গাড়ির রাস্তা ছেড়ে হামহাম ঝরনায় যেতে প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লাগবে; হাঁটাপথ আছে ফিরে আসতে। হাঁটার কথা শুনে আবার ঝরনা দেখার পরিকল্পনা বাদ দেবেন না যেন। এই ঝরনা দেখে অবশ্যই ভুলে যাবেন হেঁটে আসার ক্লান্তি। ঝরনা দেখে ফেরার পথে দেখে নিন খাসিয়াপুঞ্জি। খাসিয়াদের পোশাকের বুনন দেখে একটা পান খেতে আবার ভুলে যাবেন না কিন্তু। এই অঞ্চলের পানে বেশ ঝাঁজ আছে। এই দিন যদি হাতে আরও সময় থাকে, ঘুরে আসতে পারেন কমলগঞ্জ সড়ক। দুই পাশের চা আর রাবার বাগান দেখলে ভালোই লাগবে। শহরের জঞ্জাল দেখে অভ্যস্ত দুই চোখ যেন স্বস্তি পাবে বৃষ্টিধোয়া সবুজ প্রকৃতি দেখে। দুই বা তিন দিনের এই বেড়ানোর আমেজ থাকবে কিন্তু অনেক দিন।
কোথায় থাকবেন
শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো চা-বোর্ডের টি রিসোর্ট। বুকিং দিতে যোগাযোগ করা চাই অনেক আগে থেকেই। বাংলোগুলোয় থাকতে পারবেন অনেকে মিলে। এ ছাড়া আছে নিসর্গের ইকো কটেজ, যা লাউয়াছড়ার কাছাকাছি অবস্থিত। শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক ধরে আধা ঘণ্টা এগোলে হীড বাংলাদেশের কটেজগুলোতেও থাকতে পারবেন সুলভে। যদি শ্রীমঙ্গল শহরের ভেতরে থাকতে চান, সে ক্ষেত্রে রয়েছে হিলভিউ রিসোর্ট, টি টাউন রিসোর্ট এবং আরও কিছু আবাসিক হোটেল। পার্থক্য আছে সেবা ও গুণগত মানের ক্ষেত্রে। তবে ঢাকা থেকে সদলবলে যাওয়ার আগে থাকার জায়গা ঠিক করে তবেই যেতে হবে। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল স্টেশনের কাছাকাছি রেস্তোরাঁতেও খেতে পারেন।
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে যাত্রাবিরতিসহ সময় লাগবে সব মিলিয়ে চার ঘণ্টা। ট্রেন, বাস অথবা নিজস্ব ব্যবস্থায় যেতে পারেন। ছোট্ট এই শহরের আশপাশে কিন্তু দেখার মতো অনেক কিছু আছে। যদি পৌঁছাতে বিকেল বা সন্ধ্যা হয়ে যায়, তাহলে ওই দিনটা আশপাশে টুকটাক ঘুরেফিরেই কাটিয়ে দিতে পারেন। স্টেশনের কাছে নীলকণ্ঠের সাতরঙের চা খেয়ে আসতে পারেন। সঙ্গে নিজস্ব পরিবহন থাকলে তো কথাই নেই। যদি না থাকে তাহলে স্টেশন রোডে গেলেই ভাড়ায় গাড়ি ঠিক করে নিতে পারবেন।
শ্রীমঙ্গল বেড়ানোর প্রথম দিনের আয়োজনে থাকতে পারে দুটি জায়গা। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবপুর হ্রদ। শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক ধরে এগোতে থাকলে কিছুক্ষণ পর আবিষ্কার করবেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বাংলাদেশের রেইন ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত এই লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। এই জঙ্গলে ঢুকে এগোতেই দেখা যাবে একটি রেললাইন। আর এই রেললাইনের ওপার থেকে জঙ্গলের শুরু। কয়েকটি পথে জঙ্গলের ভেতরে ঘুরে আসা যাবে। বিভিন্ন ধরনের গাছের পাশাপাশি এখানে আছে নানা প্রজাতির পাখি। আর তাই বার্ডওয়াচারদের খুব প্রিয় স্থান লাউয়াছড়া। অন্তত তিন ঘণ্টা লাগবে লাউয়াছড়ার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে।
লাউয়াছড়ায় ট্রেকিং শেষ করে যাওয়া যেতে পারে মাধবপুর হ্রদে। কাছাকাছি দূরত্বের মাধবপুর লেকে যেতে যেতেই উপভোগ করবেন চা-বাগানের সৌন্দর্য। রাস্তার দুই ধারে শুধুই চা-বাগান। কোথাও কোথাও দেখা যাবে, চায়ের পাতা তুলছে চা-শ্রমিকেরা। আর মাধবপুর হ্রদে এসে আরেকবার যেন মন ভরে উঠবে বাংলাদেশের নিসর্গ দেখে। হ্রদের স্থির পানিতে ফুটে থাকা অদ্ভুত সুন্দর পদ্ম ফুল মন কেড়ে নেবে। আর হ্রদের পাশে টিলায় উঠলে দেখতে পাবেন, অদূরেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা। লাউয়াছড়া বা মাধবপুর হ্রদ—এই দুই জায়গা লক্ষ্য করে বেরিয়ে পড়তে হবে খুব ভোরবেলায়। সারাটা দিন কোন দিক দিয়ে চলে যাবে, বুঝতেই পারবেন না।
সারা দিনের ধকল শেষ করে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়াটা ভালো। পরের দিন যদি হামহাম ঝরনা দেখতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে বিশ্রাম নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ গাড়ির রাস্তা ছেড়ে হামহাম ঝরনায় যেতে প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লাগবে; হাঁটাপথ আছে ফিরে আসতে। হাঁটার কথা শুনে আবার ঝরনা দেখার পরিকল্পনা বাদ দেবেন না যেন। এই ঝরনা দেখে অবশ্যই ভুলে যাবেন হেঁটে আসার ক্লান্তি। ঝরনা দেখে ফেরার পথে দেখে নিন খাসিয়াপুঞ্জি। খাসিয়াদের পোশাকের বুনন দেখে একটা পান খেতে আবার ভুলে যাবেন না কিন্তু। এই অঞ্চলের পানে বেশ ঝাঁজ আছে। এই দিন যদি হাতে আরও সময় থাকে, ঘুরে আসতে পারেন কমলগঞ্জ সড়ক। দুই পাশের চা আর রাবার বাগান দেখলে ভালোই লাগবে। শহরের জঞ্জাল দেখে অভ্যস্ত দুই চোখ যেন স্বস্তি পাবে বৃষ্টিধোয়া সবুজ প্রকৃতি দেখে। দুই বা তিন দিনের এই বেড়ানোর আমেজ থাকবে কিন্তু অনেক দিন।
কোথায় থাকবেন
শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো চা-বোর্ডের টি রিসোর্ট। বুকিং দিতে যোগাযোগ করা চাই অনেক আগে থেকেই। বাংলোগুলোয় থাকতে পারবেন অনেকে মিলে। এ ছাড়া আছে নিসর্গের ইকো কটেজ, যা লাউয়াছড়ার কাছাকাছি অবস্থিত। শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক ধরে আধা ঘণ্টা এগোলে হীড বাংলাদেশের কটেজগুলোতেও থাকতে পারবেন সুলভে। যদি শ্রীমঙ্গল শহরের ভেতরে থাকতে চান, সে ক্ষেত্রে রয়েছে হিলভিউ রিসোর্ট, টি টাউন রিসোর্ট এবং আরও কিছু আবাসিক হোটেল। পার্থক্য আছে সেবা ও গুণগত মানের ক্ষেত্রে। তবে ঢাকা থেকে সদলবলে যাওয়ার আগে থাকার জায়গা ঠিক করে তবেই যেতে হবে। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল স্টেশনের কাছাকাছি রেস্তোরাঁতেও খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment