রাবাংলা শহরের কাছে রালং গোম্ফা বলতে দুটো গোম্ফাকে বোঝানো হয়। এর একটা
আদি রালং গোম্ফা আর অন্যটা হাল আমলের। আদি গোম্ফা প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায়
নতুন গোম্ফা তৈরী করার দরকার পড়ে। তিব্বতে বহুল প্রচলিত বজ্রযান বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় কার্মা কাগইউপা ধর্মগুরুরাই সিকিমের অধিকাংশ গোম্ফা
তৈরী করতে উৎসাহ দেন। পুরনো গোম্ফার কাহিনী এইরকম।
সিকিমের প্রখ্যাত বৌদ্ধ শাসক, চতুর্থ চোগিয়াল রাজা গিউরমে নামগিয়াল তীর্থভ্রমণে তিব্বতে যান। তীর্থ সেরে ফেরার পর রাজার ধর্মগুরু, দ্বাদশ কারমাপা ওয়াংচুক দোরজে, রাজাকে আশীর্বাদ করার জন্য তিব্বতের সুরফু নগরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানের নাম ‘রাব্নে’। অনুষ্ঠান শেষে সুদূর সুরফূ থেকে কারমাপা ওয়াংচুক দোরজে কয়েকটি মন্ত্রপূত চাল সিকিমের উেদ্দশ্যে ছড়িয়ে দেন। সেই চালের দানা কটি দক্ষিণ সিকিমের যে পাহাড়ি অংশে এসে পড়ে সেখানেই গুরুর নির্দেশে ১৭৩০ সালে আদি রালং গোম্ফা তৈরী করেন রাজা। এই গোম্ফা এখনকার রাবাংলা শহর থেকে ছ’কিলোমিটার দূরে। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পটভূমিকায় এই গোম্ফার পেছনের অংশ থেকে দেখা যায় মাউন্ট নার্সিং, মাউন্ট জোপুনো আর মাউন্ট কাবুর।
২৭৫ বছর ধরে পুরোন গোম্ফায় বোধিসত্ত্ব কারমাপাদের আরাধনা ও পুজোপাঠ হয়েছে। এই গোম্ফা থেকে অসংখ্য বৌদ্ধ সন্ন্যাসী আর পণ্ডিত লামারা যুগে যুগে চোগিয়াল রাজ দরবার আলোকিত করেছেন। কিন্তু আজ আদি রালং গোম্ফা ভগ্নপ্রায় এবং সঙ্গত কারণেই পরিত্যক্ত। স্থানীয় ভুটিয়াদের কাছে এখনও এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বাস্তব অবস্থাকে মেনে নিয়েছেন কার্মা কাগইউপা সম্প্রদায়। তাই এই গোম্ফা সাধারণের দ্রষ্টব্য হলেও কোনও লামা এখানে বাস করেন না। এর তত্ত্বাবধানে নেই কোনও প্রধান বা রিনপোচে।
আদি গোম্ফার অবশ্যম্ভাবী ভগ্নদশা প্রািপ্ত কতৃপক্ষকে বাধ্য করেছে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। তাই ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে সিকিম সরকারের সহযোগিতায় নতুন রালং গোম্ফা তৈরী শুরু হয়। মন্যািষ্ট্রর পোশাকী নাম, পালচেন চোলিং মন্যািস্টক ইনিস্টট্যুট। এর নির্মাণ শেষ হয় ১৯৯৫ সালে। পুরনো গোম্ফার কাছেই এই মন্যািষ্ট্র। গোম্ফার যাবতীয় নক্সা এবং তত্ত্ববধান করেন কাগইউপা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান গুরু দ্বাদশ গিয়ালত্সাব রিনপোচে। তিনিই এখন এই গোম্ফার অভিভাবক ও রক্ষক। এই গোম্ফা সিকিমের বৃহত্তম। এর স্থাপত্য ও দেওয়াল চিত্রাবলী তিব্বতের শতাব্দী প্রাচীন বিভিন্ন কাগইউপা মন্যািষ্ট্রর পরম্পরা মেনে অনেক যত্ন ও পরিশ্রমে তৈরী হয়েছে।
বৌদ্ধ ক্যালেণ্ডারের সপ্তম মাসের ১৫ তারিখে, অর্থাৎ, ইংরেজী ক্যালেণ্ডারের অাগস্ট- সেেপ্টম্বর মাস নাগাদ প্রতি বছর এই নতুন গোম্ফায় অনুষ্টিত হয় প্যাং লাবসল, যা আদতে কাঞ্চনজঙ্ঘার আরাধনা। কাঞ্চনজঙ্ঘা শুধু পাহাড় নয় সিকিমের মানুষের কাছে। এদের বিশ্বাস, এই বরফের চুড়ো তাদের রক্ষক ও অভিভাবক। তাই প্যাং লাবসল এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তবে সবচেয়ে জনিপ্রয় হল কাগ্ইয়াদ ছাম উৎসব যা পালন হয় সিকিমি নতুন বছর লসুং-এর ঠিক আগে। এই কাগ্ইয়াদ উপলক্ষে দেশ বিদেশের বহু মানুষ আসেন রালং গোম্ফায়। এই সময় দেখা যায় বিশ্ববিখ্যাত ছাম নৃত্য। মুখোশ পরে রঙবেরঙের পোশাকে অপরূপ ভঙ্গিমায় এই নাচ হয়। এক মাত্র লামারাই এই নাচে অংশগ্রহণ করতে পারেন কারণ নাচের ভঙ্গিমায় প্রকাশ পায় অনেক তািন্ত্রক ক্রিয়াকলাপ।
বজ্রযান বৌদ্ধ মতে মিশে আছে তেন্ত্রর বহু গুঢ় তত্ত্ব। এই কারণে রালং গোম্ফার মত সিকিম, ভুটানের সব গোম্ফা বা জংয়ে এর বহিঃপ্রকাশ হয় মুখোশ নাচে আর গোম্ফার নানা দেওয়াল চিত্রে। সাধারণ গৃহস্থ বাড়ির বাইরে যেমন দেখা যায় মন্ত্র লেখা কাপড়ের টুকরো সারিবদ্ধ ভাবে টাঙানো যাকে বলা হয় ‘দাশি’, তেমনই গোম্ফার ভেতরে ঝোলে
বিভিন্ন রং ও নক্সার ‘তাংখা’। বারান্দা আর উপাসনা কক্ষের সিলিং থেকে দেওয়ালের চারপাশে লেখা মন্ত্র। তারা, মহাকাল, কালভৈরব ইত্যাদির ছবি। এই সব ছবিতে ব্যবহার করা হয় লাল, হলুদ, নীল, সোনালীর মতো উজ্জ্বল রং। গোম্ফার বাইরের বিশাল উঠোন ছেড়ে কয়েক ধাপ ঁসিড়ি পেরিয়ে তিনদিক ঘোরানো বারান্দা। তারপর প্রধান প্রার্থনার কক্ষ।
বিশাল হলঘরের সিলিং প্রায় ২৪ ফিট উচু। প্রার্থনা কক্ষের মূল আর্কষণ ১৮ ফিট উচু অবলোকিতেশ্বরের কাঠের মূর্তি। গায়ে তার ঝকঝকে সোনালী রং। মূর্তির সামনে সবসময় জ্বলে ১০৮ খানা মাখনের প্রদীপ। উপাসনার সময় ঘরের দুই দিকে দুই সারিতে মুখোমুখি বসেন লামারা। সমবেত মেন্ত্রাচ্চারণের সঙ্গে বাজে শিঙা, ঘন্টা, শঙ্খ, পেতলের ছোট ও বড় ঝাঝর। লামাদের সারির মাথায় উচু আসনে বসেন প্রধান লামা। দিনে একাধিক বার হয় এই প্রার্থনা।
প্রার্থনা কক্ষ ছাড়াও গোম্ফায় আছে আরও অনেক কক্ষ। সব কক্ষেই বোধিসেত্ত্বর মূর্তি একই ভঙ্গিমায়। গোম্ফার ছাদের সামনের অংশে বসানো আছে বিশাল পেতলের তৈরী ঝকঝকে মঙ্গল চক্র। নীচের তলায়, প্রধান উপাসনা কক্ষের পেছনে আছে রসুইঘর। ভাত, সিব্জ, শুয়োরের মাংস ছাড়াও দফায় দফায় তৈরী হয় তিব্বতি চা। মাখন মেশানো এই চায়ের স্বাদ নোন্তা। পর্যটক বা অন্য অতিথিরা চাইলেও তা পরিবেশন করা হয় চিনা মাটির মগে। তবে সাবধান, যতক্ষণ না চা শেষ করে মগ উল্টে রাখা হচ্ছে, ততক্ষণ বারবার মগ ভরে দিয়ে যাবেন লামারা। আর, চা অর্ধেক পান করে উঠে আসা অত্যন্ত অপমানকর বলে এরা মনে করেন। নতুন রালং গোম্ফায় আছে ছাত্রাবাসও। এখানে ১০০ জন লামা ছাড়াও থাকেন বহু ছাত্র। শিক্ষা শেষ হলে এরাও স্বীকৃত হবেন লামা হিসেবে। ছাত্রদের বয়স ৫ থেকে ৩৫ অবধি। গুরুেত্বর বিচারে রালং গোম্ফা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পূর্ব সিকিমের রুমটেক গোম্ফার মতই নমস্য।
সিকিমের প্রখ্যাত বৌদ্ধ শাসক, চতুর্থ চোগিয়াল রাজা গিউরমে নামগিয়াল তীর্থভ্রমণে তিব্বতে যান। তীর্থ সেরে ফেরার পর রাজার ধর্মগুরু, দ্বাদশ কারমাপা ওয়াংচুক দোরজে, রাজাকে আশীর্বাদ করার জন্য তিব্বতের সুরফু নগরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানের নাম ‘রাব্নে’। অনুষ্ঠান শেষে সুদূর সুরফূ থেকে কারমাপা ওয়াংচুক দোরজে কয়েকটি মন্ত্রপূত চাল সিকিমের উেদ্দশ্যে ছড়িয়ে দেন। সেই চালের দানা কটি দক্ষিণ সিকিমের যে পাহাড়ি অংশে এসে পড়ে সেখানেই গুরুর নির্দেশে ১৭৩০ সালে আদি রালং গোম্ফা তৈরী করেন রাজা। এই গোম্ফা এখনকার রাবাংলা শহর থেকে ছ’কিলোমিটার দূরে। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পটভূমিকায় এই গোম্ফার পেছনের অংশ থেকে দেখা যায় মাউন্ট নার্সিং, মাউন্ট জোপুনো আর মাউন্ট কাবুর।
২৭৫ বছর ধরে পুরোন গোম্ফায় বোধিসত্ত্ব কারমাপাদের আরাধনা ও পুজোপাঠ হয়েছে। এই গোম্ফা থেকে অসংখ্য বৌদ্ধ সন্ন্যাসী আর পণ্ডিত লামারা যুগে যুগে চোগিয়াল রাজ দরবার আলোকিত করেছেন। কিন্তু আজ আদি রালং গোম্ফা ভগ্নপ্রায় এবং সঙ্গত কারণেই পরিত্যক্ত। স্থানীয় ভুটিয়াদের কাছে এখনও এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বাস্তব অবস্থাকে মেনে নিয়েছেন কার্মা কাগইউপা সম্প্রদায়। তাই এই গোম্ফা সাধারণের দ্রষ্টব্য হলেও কোনও লামা এখানে বাস করেন না। এর তত্ত্বাবধানে নেই কোনও প্রধান বা রিনপোচে।
আদি গোম্ফার অবশ্যম্ভাবী ভগ্নদশা প্রািপ্ত কতৃপক্ষকে বাধ্য করেছে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। তাই ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে সিকিম সরকারের সহযোগিতায় নতুন রালং গোম্ফা তৈরী শুরু হয়। মন্যািষ্ট্রর পোশাকী নাম, পালচেন চোলিং মন্যািস্টক ইনিস্টট্যুট। এর নির্মাণ শেষ হয় ১৯৯৫ সালে। পুরনো গোম্ফার কাছেই এই মন্যািষ্ট্র। গোম্ফার যাবতীয় নক্সা এবং তত্ত্ববধান করেন কাগইউপা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান গুরু দ্বাদশ গিয়ালত্সাব রিনপোচে। তিনিই এখন এই গোম্ফার অভিভাবক ও রক্ষক। এই গোম্ফা সিকিমের বৃহত্তম। এর স্থাপত্য ও দেওয়াল চিত্রাবলী তিব্বতের শতাব্দী প্রাচীন বিভিন্ন কাগইউপা মন্যািষ্ট্রর পরম্পরা মেনে অনেক যত্ন ও পরিশ্রমে তৈরী হয়েছে।
বৌদ্ধ ক্যালেণ্ডারের সপ্তম মাসের ১৫ তারিখে, অর্থাৎ, ইংরেজী ক্যালেণ্ডারের অাগস্ট- সেেপ্টম্বর মাস নাগাদ প্রতি বছর এই নতুন গোম্ফায় অনুষ্টিত হয় প্যাং লাবসল, যা আদতে কাঞ্চনজঙ্ঘার আরাধনা। কাঞ্চনজঙ্ঘা শুধু পাহাড় নয় সিকিমের মানুষের কাছে। এদের বিশ্বাস, এই বরফের চুড়ো তাদের রক্ষক ও অভিভাবক। তাই প্যাং লাবসল এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তবে সবচেয়ে জনিপ্রয় হল কাগ্ইয়াদ ছাম উৎসব যা পালন হয় সিকিমি নতুন বছর লসুং-এর ঠিক আগে। এই কাগ্ইয়াদ উপলক্ষে দেশ বিদেশের বহু মানুষ আসেন রালং গোম্ফায়। এই সময় দেখা যায় বিশ্ববিখ্যাত ছাম নৃত্য। মুখোশ পরে রঙবেরঙের পোশাকে অপরূপ ভঙ্গিমায় এই নাচ হয়। এক মাত্র লামারাই এই নাচে অংশগ্রহণ করতে পারেন কারণ নাচের ভঙ্গিমায় প্রকাশ পায় অনেক তািন্ত্রক ক্রিয়াকলাপ।
বজ্রযান বৌদ্ধ মতে মিশে আছে তেন্ত্রর বহু গুঢ় তত্ত্ব। এই কারণে রালং গোম্ফার মত সিকিম, ভুটানের সব গোম্ফা বা জংয়ে এর বহিঃপ্রকাশ হয় মুখোশ নাচে আর গোম্ফার নানা দেওয়াল চিত্রে। সাধারণ গৃহস্থ বাড়ির বাইরে যেমন দেখা যায় মন্ত্র লেখা কাপড়ের টুকরো সারিবদ্ধ ভাবে টাঙানো যাকে বলা হয় ‘দাশি’, তেমনই গোম্ফার ভেতরে ঝোলে
বিভিন্ন রং ও নক্সার ‘তাংখা’। বারান্দা আর উপাসনা কক্ষের সিলিং থেকে দেওয়ালের চারপাশে লেখা মন্ত্র। তারা, মহাকাল, কালভৈরব ইত্যাদির ছবি। এই সব ছবিতে ব্যবহার করা হয় লাল, হলুদ, নীল, সোনালীর মতো উজ্জ্বল রং। গোম্ফার বাইরের বিশাল উঠোন ছেড়ে কয়েক ধাপ ঁসিড়ি পেরিয়ে তিনদিক ঘোরানো বারান্দা। তারপর প্রধান প্রার্থনার কক্ষ।
বিশাল হলঘরের সিলিং প্রায় ২৪ ফিট উচু। প্রার্থনা কক্ষের মূল আর্কষণ ১৮ ফিট উচু অবলোকিতেশ্বরের কাঠের মূর্তি। গায়ে তার ঝকঝকে সোনালী রং। মূর্তির সামনে সবসময় জ্বলে ১০৮ খানা মাখনের প্রদীপ। উপাসনার সময় ঘরের দুই দিকে দুই সারিতে মুখোমুখি বসেন লামারা। সমবেত মেন্ত্রাচ্চারণের সঙ্গে বাজে শিঙা, ঘন্টা, শঙ্খ, পেতলের ছোট ও বড় ঝাঝর। লামাদের সারির মাথায় উচু আসনে বসেন প্রধান লামা। দিনে একাধিক বার হয় এই প্রার্থনা।
প্রার্থনা কক্ষ ছাড়াও গোম্ফায় আছে আরও অনেক কক্ষ। সব কক্ষেই বোধিসেত্ত্বর মূর্তি একই ভঙ্গিমায়। গোম্ফার ছাদের সামনের অংশে বসানো আছে বিশাল পেতলের তৈরী ঝকঝকে মঙ্গল চক্র। নীচের তলায়, প্রধান উপাসনা কক্ষের পেছনে আছে রসুইঘর। ভাত, সিব্জ, শুয়োরের মাংস ছাড়াও দফায় দফায় তৈরী হয় তিব্বতি চা। মাখন মেশানো এই চায়ের স্বাদ নোন্তা। পর্যটক বা অন্য অতিথিরা চাইলেও তা পরিবেশন করা হয় চিনা মাটির মগে। তবে সাবধান, যতক্ষণ না চা শেষ করে মগ উল্টে রাখা হচ্ছে, ততক্ষণ বারবার মগ ভরে দিয়ে যাবেন লামারা। আর, চা অর্ধেক পান করে উঠে আসা অত্যন্ত অপমানকর বলে এরা মনে করেন। নতুন রালং গোম্ফায় আছে ছাত্রাবাসও। এখানে ১০০ জন লামা ছাড়াও থাকেন বহু ছাত্র। শিক্ষা শেষ হলে এরাও স্বীকৃত হবেন লামা হিসেবে। ছাত্রদের বয়স ৫ থেকে ৩৫ অবধি। গুরুেত্বর বিচারে রালং গোম্ফা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পূর্ব সিকিমের রুমটেক গোম্ফার মতই নমস্য।
No comments:
Post a Comment