মারিনা বে ‘বাইরের আবরণটা খুঁচিয়ে তুলে ফেলো। পেয়ে যাবে চীনা, মালয়, ভারতীয়
আর পাশ্চাত্য রীতিনীতির এক অদ্ভুত মিশেল। আর যা-ই হোক, একেঘেয়ে বলা যাবে
না তাকে।’ লোনলিপ্ল্যানেট ডটকমে ‘শহুরে’ দেশ সিঙ্গাপুর সম্পর্কে লেখা আছে
তা-ই।
সিঙ্গাপুর দেশটা বড্ড যান্ত্রিক। সবকিছু ঝকঝকে তকতকে, সারাক্ষণ সব মানুষও ছুটছে শুধু। বাংলাদেশ থেকে শুনে গিয়েছিলাম এমনটাই। চেঙ্গি বিমানবন্দরে নেমে একটু আশঙ্কাই হচ্ছিল। চার দিনের সফরটা কি হাই তুলেই কাটবে! না, প্রতিদিনই নতুন চমক দেখাল সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের আমন্ত্রণে এই সফর। বার্ড পার্ক, নাইট সাফারি—এসব ছাড়াও সিঙ্গাপুরে নতুন অনেক পর্যটনের স্থান হয়েছে। সেসব দেখানোই তাদের উদ্দেশ্য।
সকালবেলা নাশতা সেরেই বেরিয়ে পড়া। প্রথম গন্তব্য রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড সেনটোসা। সেনটোসা আইল্যান্ডে বেশ কিছু রিসোর্ট মিলে গড়ে উঠেছে জায়গাটি। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ছুটি কাটানোর দারুণ জায়গা। এখানেই হলিউড মুভি থিম পার্ক ইউনিভার্সাল স্টুডিও। ঘুরে দেখতে পারা গেল না। টিকিটের এত চাহিদা, আগে থেকে কাটা না থাকলে পাওয়া মুশকিল।
তবে দিনটা মন্দ গেল না। থিম পার্কের পাশেই ক্যান্ডিলিশাসে ঢোকার আগে হয়ে গেল এক দফা ফটোসেশন। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্যান্ডি স্টোর এটি। ঢোকার মুখে ললিপপের চাঁদোয়া। বসার জন্য জেলি বেলি, এম অ্যান্ড এম, বাটারকাপ বেঞ্চ। ঢুকে মনে হলো প্রথম দিনেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে পুরো সফরের কেনাকাটার টাকা। কত রকম ক্যান্ডি চাই!
খাওয়াদাওয়া সারা হলো ওখানকারই ওশিয়া রেস্টুরেন্ট। এবার একটু অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজ করা যাক। কাছাকাছিই অ্যাডভেঞ্চার পার্ক মেগাজিপ। ঢোকার পথের দুই ধারে জঙ্গল, দুপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে দিচ্ছে পোকার ডাক। অনেক উঁচু থেকে তার বেয়ে নামা, রক ক্লাইম্বিং এমন সব রাইড। নিজের পানিভীতি নিয়ে অনেক হাসিঠাট্টা শুনতে হয়। উচ্চতাভীতিও আছে নাকি! এটা বুঝতেই বেছে নিলাম মেগাজিপ রাইডটা। পাহাড়ের ওপর থেকে তার বেয়ে সমুদ্রসৈকতে নামতে হবে। সেফটি রোপ লাগিয়ে দাঁড়ালাম রেলিংয়ের সামনে। বুকের ধুপধাপ শব্দ কি পাশের জন শুনতে পাচ্ছে? এত লাফালাফি করে এসে শেষমেশ কি ব্যর্থ হব? ভাবতে ভাবতেই দড়িতে পড়ল হ্যাঁচকা টান। পায়ের নিচে কিছু নেই। প্রচণ্ড গতিতে এগোচ্ছি সামনে। নিচে ঘন জঙ্গল। কয়েক মিনিট নাকি সেকেন্ড? খেয়াল নেই সময়েরও। রাইড শেষ হলো সাদা বালুর সৈকতে। নাহ! একদম ভীতু বলা যাবে না তা হলে আমাকে।
সেনটোসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে মারিনা বে স্যান্ডস। পর্যটক আকর্ষণের জন্য নিজেদের মধ্যে দারুণ প্রতিযোগিতা।
মারিনা বে যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ আরেকটি শহর। এর প্রাণকেন্দ্র হলো মারিনা বে হোটেল। তিনটি আলাদা হোটেল ভবনের ছাদ জোড়া একটি সুইমিং পুল। সিঙ্গাপুর শহরের স্কাইলাইন প্রায় পুরোটাই চোখে পড়বে এখান থেকে। এখানেও আর এক দফা পরীক্ষা হয়ে গেল উচ্চতাভীতির।
মারিনা বে কেনাকাটার জন্য স্বর্গই বলা যায়। তবে পকেটে টাকা নিয়ে কুলোবে না। কয়েক রকম কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ফেনডি, বুলগ্যারি, রালফ লরেন, ডিওর—বিশ্বখ্যাত কোন ব্র্যান্ডটা নেই!
ফুডকোর্টে এসে যেন স্বস্তি পেলাম। জাপানি, মালয়, চীনা, ভারতীয় কত ধরনের খাবার। দামটাও মোটামুটি নাগালের মধ্যে। চিকেন-রাইস খাওয়া হলো পেটপুরে। ডেজার্টের বাহারও কম নয়। বলার সঙ্গেই হাজির হবে তাজা ফলের রস। সাগুদানা আর নারকেলের ব্যবহার এখানকার খাবারে খুব।
দুদিন ধরে খুঁচিয়ে গেলাম। কোথায় আসল সিঙ্গাপুর? পরদিন জবাব মিলল। সকালবেলার নাশতা খেতে চললাম ইয়া কুন কায়া টোস্টে। আকাশছোঁয়া স্কাইস্ক্র্যাপার নেই। রাস্তাতেও নেই ঝাঁ চকচকে ভাব। ছোট একটা বাড়ি। তার সামনে ছাতা পেতে বসার ব্যবস্থা। কাপে চলে এল কফি, প্লাস্টিকের বাটিতে আধসেদ্ধ ডিম। চামচে নাড়া দিলেই কফিতে মিশবে কনডেন্সড মিল্ক। খেতে হয় নাকি বেশি দুধ চিনি দিয়ে। ভ্রমণসঙ্গী একজনের মনে পড়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের কথা। ট্যুর গাইড জানালেন, এই কফি সিঙ্গাপুরের ঐতিহ্য। চল্লিশের দশকে এর শুরু করেছিলেন কুন নামের এক দোকানি। এখানে পাওয়া যায় সেদ্ধডিম, টোস্ট ও কফি। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এর চেয়ে পুষ্টিকর খাবার আর কী হতে পারে। এখন সিঙ্গাপুরের মানুষের দিন বদলেছে। বদলায়নি ইয়া কুনের স্বাদ আর ক্রেতার ভিড়।
১৫ মে পর্যন্ত চলবে সিঙ্গাপুর বিনালে। ৬০টি দেশের ৩০ জন শিল্পী প্রদর্শন করবেন তাঁদের শিল্পকর্ম, তা দেখতেই চললাম সিঙ্গাপুর আর্ট মিউজিয়ামে। উন্নত রাষ্ট্র নাকি নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বন্ধ করে বিপ্লবের পথ। সেই হিসেবে সিঙ্গাপুরের মানুষের তো দারুণ সুখী হওয়ার কথা। মিউজিয়ামে গিয়ে মনে হলো কথাটা সব সময় সত্যি নয়। কৃষকের যন্ত্রণা, মানুষের অত্যধিক অর্থপ্রীতি, নারীর অধিকার আদায়ের লড়াই, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি—সব নিয়েই করা হয়েছে নানা শিল্পকর্ম।
মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে এক লাফে পুুঁজিবাদী বিশ্বে বেরিয়ে পড়া। গন্তব্য অরচার্ড রোড। এখানকার তাকাশিমায়া সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় ডিপার্টমেন্ট স্টোর। এখানে কী কী পাওয়া যায়, তারচেয়ে কী পাওয়া যায় না, সেই তালিকাই ছোট হবে। দামও একেবারে কম নয়।
মোস্তফা মার্কেটের কথা না বললেই নয়। সারা রাত খোলা এই ডিপার্টমেন্ট স্টোর, কম দামে কেনাকাটার জন্য আদর্শ।
সিঙ্গাপুরের আসল মজা খাবারদাবারে। রাস্তার পাশের দোকানগুলোতেই হবে রসনাতৃপ্তি। সামুদ্রিক খাবারের বৈচিত্র্য অনেক। পাওয়া যাবে মুরগি, গরুর মাংসের রকমারি রান্না। ভাতটাও এখানে বেশ চলে। বাঙালির জন্য সিঙ্গাপুরের খাবার দারুণ তৃপ্তিরই হওয়ার কথা।
এই কদিনে ট্যুর গাইড উইলসনের কাছ থেকে জেনে নিয়েছি সিঙ্গাপুরের পর্যটন স্থানগুলো সম্পর্কে। ফেরার দিন জানতে চাইলাম এখানকার জীবন নিয়ে। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে কী করো? উইলসনের জবাব, ‘মুভি দেখি আর বউয়ের সঙ্গে “গসিপ” করি।’
সদাব্যস্ত, কাজপাগল সিঙ্গাপুরের মানুষও তা হলে মাততে জানে নির্মল রসিকতায়।
সিঙ্গাপুর দেশটা বড্ড যান্ত্রিক। সবকিছু ঝকঝকে তকতকে, সারাক্ষণ সব মানুষও ছুটছে শুধু। বাংলাদেশ থেকে শুনে গিয়েছিলাম এমনটাই। চেঙ্গি বিমানবন্দরে নেমে একটু আশঙ্কাই হচ্ছিল। চার দিনের সফরটা কি হাই তুলেই কাটবে! না, প্রতিদিনই নতুন চমক দেখাল সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের আমন্ত্রণে এই সফর। বার্ড পার্ক, নাইট সাফারি—এসব ছাড়াও সিঙ্গাপুরে নতুন অনেক পর্যটনের স্থান হয়েছে। সেসব দেখানোই তাদের উদ্দেশ্য।
সকালবেলা নাশতা সেরেই বেরিয়ে পড়া। প্রথম গন্তব্য রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড সেনটোসা। সেনটোসা আইল্যান্ডে বেশ কিছু রিসোর্ট মিলে গড়ে উঠেছে জায়গাটি। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ছুটি কাটানোর দারুণ জায়গা। এখানেই হলিউড মুভি থিম পার্ক ইউনিভার্সাল স্টুডিও। ঘুরে দেখতে পারা গেল না। টিকিটের এত চাহিদা, আগে থেকে কাটা না থাকলে পাওয়া মুশকিল।
তবে দিনটা মন্দ গেল না। থিম পার্কের পাশেই ক্যান্ডিলিশাসে ঢোকার আগে হয়ে গেল এক দফা ফটোসেশন। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্যান্ডি স্টোর এটি। ঢোকার মুখে ললিপপের চাঁদোয়া। বসার জন্য জেলি বেলি, এম অ্যান্ড এম, বাটারকাপ বেঞ্চ। ঢুকে মনে হলো প্রথম দিনেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে পুরো সফরের কেনাকাটার টাকা। কত রকম ক্যান্ডি চাই!
খাওয়াদাওয়া সারা হলো ওখানকারই ওশিয়া রেস্টুরেন্ট। এবার একটু অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজ করা যাক। কাছাকাছিই অ্যাডভেঞ্চার পার্ক মেগাজিপ। ঢোকার পথের দুই ধারে জঙ্গল, দুপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে দিচ্ছে পোকার ডাক। অনেক উঁচু থেকে তার বেয়ে নামা, রক ক্লাইম্বিং এমন সব রাইড। নিজের পানিভীতি নিয়ে অনেক হাসিঠাট্টা শুনতে হয়। উচ্চতাভীতিও আছে নাকি! এটা বুঝতেই বেছে নিলাম মেগাজিপ রাইডটা। পাহাড়ের ওপর থেকে তার বেয়ে সমুদ্রসৈকতে নামতে হবে। সেফটি রোপ লাগিয়ে দাঁড়ালাম রেলিংয়ের সামনে। বুকের ধুপধাপ শব্দ কি পাশের জন শুনতে পাচ্ছে? এত লাফালাফি করে এসে শেষমেশ কি ব্যর্থ হব? ভাবতে ভাবতেই দড়িতে পড়ল হ্যাঁচকা টান। পায়ের নিচে কিছু নেই। প্রচণ্ড গতিতে এগোচ্ছি সামনে। নিচে ঘন জঙ্গল। কয়েক মিনিট নাকি সেকেন্ড? খেয়াল নেই সময়েরও। রাইড শেষ হলো সাদা বালুর সৈকতে। নাহ! একদম ভীতু বলা যাবে না তা হলে আমাকে।
সেনটোসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে মারিনা বে স্যান্ডস। পর্যটক আকর্ষণের জন্য নিজেদের মধ্যে দারুণ প্রতিযোগিতা।
মারিনা বে যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ আরেকটি শহর। এর প্রাণকেন্দ্র হলো মারিনা বে হোটেল। তিনটি আলাদা হোটেল ভবনের ছাদ জোড়া একটি সুইমিং পুল। সিঙ্গাপুর শহরের স্কাইলাইন প্রায় পুরোটাই চোখে পড়বে এখান থেকে। এখানেও আর এক দফা পরীক্ষা হয়ে গেল উচ্চতাভীতির।
মারিনা বে কেনাকাটার জন্য স্বর্গই বলা যায়। তবে পকেটে টাকা নিয়ে কুলোবে না। কয়েক রকম কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ফেনডি, বুলগ্যারি, রালফ লরেন, ডিওর—বিশ্বখ্যাত কোন ব্র্যান্ডটা নেই!
ফুডকোর্টে এসে যেন স্বস্তি পেলাম। জাপানি, মালয়, চীনা, ভারতীয় কত ধরনের খাবার। দামটাও মোটামুটি নাগালের মধ্যে। চিকেন-রাইস খাওয়া হলো পেটপুরে। ডেজার্টের বাহারও কম নয়। বলার সঙ্গেই হাজির হবে তাজা ফলের রস। সাগুদানা আর নারকেলের ব্যবহার এখানকার খাবারে খুব।
দুদিন ধরে খুঁচিয়ে গেলাম। কোথায় আসল সিঙ্গাপুর? পরদিন জবাব মিলল। সকালবেলার নাশতা খেতে চললাম ইয়া কুন কায়া টোস্টে। আকাশছোঁয়া স্কাইস্ক্র্যাপার নেই। রাস্তাতেও নেই ঝাঁ চকচকে ভাব। ছোট একটা বাড়ি। তার সামনে ছাতা পেতে বসার ব্যবস্থা। কাপে চলে এল কফি, প্লাস্টিকের বাটিতে আধসেদ্ধ ডিম। চামচে নাড়া দিলেই কফিতে মিশবে কনডেন্সড মিল্ক। খেতে হয় নাকি বেশি দুধ চিনি দিয়ে। ভ্রমণসঙ্গী একজনের মনে পড়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের কথা। ট্যুর গাইড জানালেন, এই কফি সিঙ্গাপুরের ঐতিহ্য। চল্লিশের দশকে এর শুরু করেছিলেন কুন নামের এক দোকানি। এখানে পাওয়া যায় সেদ্ধডিম, টোস্ট ও কফি। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এর চেয়ে পুষ্টিকর খাবার আর কী হতে পারে। এখন সিঙ্গাপুরের মানুষের দিন বদলেছে। বদলায়নি ইয়া কুনের স্বাদ আর ক্রেতার ভিড়।
১৫ মে পর্যন্ত চলবে সিঙ্গাপুর বিনালে। ৬০টি দেশের ৩০ জন শিল্পী প্রদর্শন করবেন তাঁদের শিল্পকর্ম, তা দেখতেই চললাম সিঙ্গাপুর আর্ট মিউজিয়ামে। উন্নত রাষ্ট্র নাকি নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বন্ধ করে বিপ্লবের পথ। সেই হিসেবে সিঙ্গাপুরের মানুষের তো দারুণ সুখী হওয়ার কথা। মিউজিয়ামে গিয়ে মনে হলো কথাটা সব সময় সত্যি নয়। কৃষকের যন্ত্রণা, মানুষের অত্যধিক অর্থপ্রীতি, নারীর অধিকার আদায়ের লড়াই, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি—সব নিয়েই করা হয়েছে নানা শিল্পকর্ম।
মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে এক লাফে পুুঁজিবাদী বিশ্বে বেরিয়ে পড়া। গন্তব্য অরচার্ড রোড। এখানকার তাকাশিমায়া সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় ডিপার্টমেন্ট স্টোর। এখানে কী কী পাওয়া যায়, তারচেয়ে কী পাওয়া যায় না, সেই তালিকাই ছোট হবে। দামও একেবারে কম নয়।
মোস্তফা মার্কেটের কথা না বললেই নয়। সারা রাত খোলা এই ডিপার্টমেন্ট স্টোর, কম দামে কেনাকাটার জন্য আদর্শ।
সিঙ্গাপুরের আসল মজা খাবারদাবারে। রাস্তার পাশের দোকানগুলোতেই হবে রসনাতৃপ্তি। সামুদ্রিক খাবারের বৈচিত্র্য অনেক। পাওয়া যাবে মুরগি, গরুর মাংসের রকমারি রান্না। ভাতটাও এখানে বেশ চলে। বাঙালির জন্য সিঙ্গাপুরের খাবার দারুণ তৃপ্তিরই হওয়ার কথা।
এই কদিনে ট্যুর গাইড উইলসনের কাছ থেকে জেনে নিয়েছি সিঙ্গাপুরের পর্যটন স্থানগুলো সম্পর্কে। ফেরার দিন জানতে চাইলাম এখানকার জীবন নিয়ে। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে কী করো? উইলসনের জবাব, ‘মুভি দেখি আর বউয়ের সঙ্গে “গসিপ” করি।’
সদাব্যস্ত, কাজপাগল সিঙ্গাপুরের মানুষও তা হলে মাততে জানে নির্মল রসিকতায়।
No comments:
Post a Comment